পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে প্রকৌশল সরঞ্জাম রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, যা রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪৪ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে এই খাতে রপ্তানি আয় হয়েছিল ২৫ কোটি ৫৭ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৯ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। প্রকৌশল পণ্যের মধ্যে আয়রন স্টিল রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে আয় হয়েছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ দশমিক ৬০ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে তামার তার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে স্টেইনলেস স্টিল তার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ লাখ ১০ মার্কিন ডলার। এই টার্গেটকে ছাড়িয়ে ১১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাত থেকে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে স্টেইনলেস স্টিল তার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায় ১৮৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। গত অর্থবছরে এই সময়ে স্টেইনলেস স্টিল রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৬ লাখ ৮০ মার্কিন ডলার। প্রকৌশল সরঞ্জাম রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে আয় হয়েছে ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩৬ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের চেয়ে এই খাতের বৈদেশিক মুদ্রা আয় বেড়েছে ২২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এই সময়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬ দশমিক ৮১ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায়ও ৩১ দশমিক ০৩ শতাংশ আয় কমেছে এই খাতে। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে বাইসাইকেল রপ্তানিতেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। আলোচ্য সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২ দশমিক ২১ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায়ও ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। অন্যান্য প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৮০ শতাংশ আয় বেড়েছে এই খাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।