পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সেনবাগ (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সেনবাগে ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের কারণে ব্রিক ফিল্ডের কালো ধোঁয়ায় আশপাশের ইরি-বোরো ধান ক্ষেতের ফসল ও ফলজ এবং বনজ গাছপালা নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। সম্প্রতি উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বিরাহিমপুর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ওই কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন শেখ কামাল, জামাল হোসেন, মুন্সি জালাল আহম্মদ, কামাল উদ্দিন, জসিম আহমেদ, বাচ্চু মিয়া ও নাছির মিয়া প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিলটি বিরাহিমপুর দক্ষিণ বাজার থেকে শুরু হয়ে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার দক্ষিণ বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নিরীহ শতাধিক কৃষকসহ এলাকার সর্বস্তরের লোকজন উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নষ্ট হওয়া ফসল হাতে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ওই বিরাহিমপুর এলাকায় চারটি ইটভাটা রয়েছে। ওই ইটভাটার আশপাশের প্রায় ২৪-২৫ কানি জমির ইরি-বোরো ধানের ফসল ব্রিকফিল্ডের কালো ধোঁয়ায় ধানের গাছগুলো শুকিয়ে গেছে। ওই ধানের গাছগুলোতে কোনো ধান নেই। এ অবস্থায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে বর্গাচাষিদের অবস্থা খুবই খারাপ। কৃষকরা জানান, কয়েক দিন আগে ইটভাটায় গিয়ে কিছু ক্ষতিপূরণ চাইলে মালিক পক্ষ তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে বলেন, আমরা সরকারিভাবে অনুমোদন নিয়ে ইটভাটা চালাই, তাই কারো ক্ষতি হলে আমাদের কিছুই করার নেই। কৃষক জামাল হোসেন, কুদ্দুস মুন্সি, জালাল আহমেদ, বাচ্চু মিয়া, নাসির মিয়াসহ কৃষকদের অভিযোগ ইটভাটার পাইপ বা চিমনিগুলো নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে অনেক নিছু হওয়ায় কালো ধোঁয়া অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে ফসল ও ফল গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।