Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘প্রবাসী প্যাকেজ’ ঘোষণা চান সিলেটবাসী

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফয়সাল আমীন : সরকারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন কল্যাণমুখী পদক্ষেপ। তার সুফলতায় দেশ ও জাতির উন্নতির সোপানে এগিয়ে চলছে। সেই অগ্রগতির নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার। এই প্রধানমন্ত্রী আজ সফরে আসছেন সিলেটের পবিত্র মাঠিতে। তার আসা মানেই সিলেটবাসীর সামনে দাঁড়ায় প্রত্যাশা প্রাপ্তির সমীকরণ।
কারণ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সিলেটের প্রশ্নে জানান যেন, সিলেটের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয় এলেই নেত্রী বলে দেন আমি নিজেই দেখবো। এর মধ্যদিয়ে ফুটে উঠে সিলেট ও সিলেটবাসীর স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নিরঙ্কুশ আন্তরিকতা। সেই আন্তরিকতার দাবিতে বর্তমান সরকার প্রধানের নিকট দাবিও অযুত। বিশেষ করে প্রবাসীদের নিয়ে ব্যতিক্রম কিছু ভাবছেন কী প্রধানমন্ত্রী, এমন ভাবানাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। কারণ একটি প্রবাসী প্যাকেজ ঘোষণা সময়ের দাবি। যে আগে বুঝবে, সেই থাকবে এগিয়ে এটাই হবে বর্তমান ভবিষ্যৎ বাস্তবতা। এদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে, সামগ্রিক প্রয়োজনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ নজিরবিহীন। এখন একই ধারায় চলছে তাদের নিবেদিত ভূমিকা। সিলেটের সর্বত্র প্রবাসীদের বিনিয়োগ। গাঁও-গেরাম থেকে শুরু করে নগর, সেই সীমানা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারাই অর্থ ছড়িয়ে পাশে থাকছে দেশের অগ্রগতিতে। শপিংমল, বিশাল সুরম্য অট্টালিকা, তথা বিশেষ করে সিলেটের নান্দনিক স্থাপনায় তারাই। একই সাথে আবাসন, বিদ্যুৎ খাতসহ উৎপাদনশীল বিভিন্ন দিকে তারা বিনিয়োগে অগ্রণী। একদিকে বিনিয়োগের এ চিত্র থাকলে অপরদিকে উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রতিবেশের পাশাপাশি আস্থাশীল নিরাপদ ক্ষেত্র পাচ্ছে না বলে হাজার হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে আছে সিলেটের ব্যাংকগুলোতে। কিন্তু সেই প্রবাসীরা চায়, বিনিয়োগের সঠিক পরিবেশ। কেই উদ্যোগী হয়েছে, নিজ চেষ্টায়, কিন্তু হোচট খেয়ে গুটিয়ে নিয়ে অনেকে ফিরে গেছে প্রবাসে। প্রবাসীদের এ ব্যর্থতায় তাদের নতুন প্রজন্মে দেশ বিমুখ এখন। কোনো মতো বাপ-দাদার ভিটেমাঠির সাথে সর্ম্পক রাখাতেই সীমাবন্ধ হয়ে উঠছে। দেশে নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা মাথায় রাখতে চাইছে না তারা। বাস্তবতা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, বেশির ভাগ প্রবাসীরা দেশের সহায় সম্পত্তি পর্যন্ত গুটিয়ে চিরতরে পাড়ি জমাচ্ছেন প্রবাসে। কেউ সম্পত্তি বিক্রিতে নানাবিধ জঠিলতায় আটকে আছেন। অপেক্ষা করছেন সময় সুযোগের। অথচ এই প্রবাসীরা আশায় বুক বেধে দেশের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন। মন-মগজে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সম্পত্তির সূত্র ধরেই তার নতুন প্রজন্ম দেশের সাথে গভীর বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবতার নানা বেড়াজালে ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। এখন ছেড়ে দেই মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা তাদের। অবস্থার এ বাস্তবতা মোঠেই সুখকর নয়, দেশ তথা সিলেটবাসীর জন্য। তাই প্রয়োজন যথাযথ উদ্যোগ। সিলেটের প্রবাসী পরিবারগুলো মনে করে, বর্তমান সরকার এ উদ্যোগ দ্রুত নিলে দেশ ও জাতি তথা দেশ-বিদেশের বসবাসকারীদের অর্থনৈতিক স্বার্থকেন্দ্রিক বন্ধন রচিত হবে। এই পথ ধরে অর্থনীতির শক্তিশালী বিকল্প একটি উপায় নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের জন্য। বিশেষ করে সিলেটবাসীর জন্য তা হবে কাক্সিক্ষত পাওয়া। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সিলেট বারের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন বলেন, সিলেটের প্রতিটি পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য প্রবাসে বসবাস করছে। তাদের উপার্জনই মূলত আমাদের পারিবারিক অর্থনীতির ভিত্তি। সেই ভিত্তি দীর্ঘমেয়াদি রক্ষায় প্রয়োজন প্রবাসীদের নিয়ে পারস্পরিক অর্থনীতিক বিনিয়োগ। এর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানসহ প্রবাসী প্রজন্মের দেশমুখী হওয়ার সুযোগ ঘটবে। তাদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা অনগ্রসর হিসাবে আমাদের সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু বলেন, প্রবাসীদের নিয়ে বিশেষ কিছু করা খুবই দরকার। বর্তমান সরকার যদি এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখে তা হলে তা হবে ঐতিহাসিক। কারণ যার হাতে স্বাধীনতা নিরাপদ সেই দলের নিকট প্রবাসীরা মূল্যায়িত হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ স্বাধীনতা, প্রবাসী ও আওয়ামী লীগ একই সূত্রে গাথা। সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ বলেন, আমরা প্রবাসীদের পারিবারিক ভরণপোষণ অর্থমুখী সর্ম্পকে সীমাবদ্ধ রয়েছি। কিন্তু সত্যিকার সর্ম্পক গড়তে না পারলে, খুব শিগ্গিরই আমার প্রবাসীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, যা সীমাহীন ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
সিলেটে নিজ দলের ক্যাডারদের হাতে ছাত্রলীগ কর্মী খুন
সিলেট নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় গ্রুপ বদলের জের ধরে খুন হয়েছেন কাজী হাবিব নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। কাজী হাবিব সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তিনি শামীমাবাদ এলাকার ছাত্রলীগ ক্যাডার সাগর গ্রুপ ছেড়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার গ্রুপে যোগ দেন। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার সাগর গ্রুপের নেতাকর্মীরা হাবিবের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা হাবিবকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাবিবকে মাউন্ট অ্যাডোরা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে হাবিব রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘প্রবাসী প্যাকেজ’ ঘোষণা চান সিলেটবাসী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ