দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুনশী
স্বপ্নে সুখ ও দুঃখ
মানুষ যখন নিদ্রা যায়, তখন তার অনুভূতি ও ইন্দ্রিয়গুলো স্বীয় বস্তুভিত্তিক কার্যক্রম থেকে বাহ্যিকভাবে বেখবর হয়ে যায়। কিন্তু এগুলোর অনুভ‚তিসুলভ চিন্তা অথবা মানসিক ধারণার প্রভাব এই বস্তুময় পৃথিবীর অন্যান্য উপাদানের মতোই পরিচিত্রিত ও বিকশিত হয়ে ওঠে। এমতাবস্থায় সে নিজের দেহ থেকে পৃথক কিন্তু হুবহু সেই দেহই অবলোকন করে, যা আসা-যাওয়া, চলাফেরা, দেখাশোনা সব কিছুই করছে। তার সামনে পানাহার ও শান্তি লাভের যাবতীয় মাল-মসলার সমাহার থাকে। একই অবস্থায় সে দুঃখ, বেদনা ও যাতনার যাবতীয় অবস্থাও অনুভব করে, যা বাস্তব দুনিয়ায় লক্ষ্য করা যায়। এমতাবস্থায় তার সেই কাল্পনিক দেহ যদি বেদনাতুর হয়, তবে সে চিৎকার দিয়ে ওঠে। সে সময় যদি সে সুখ অনুভব করে বা সুখের সামগ্রীর সাহচর্যে আসে, তাহলে পুলক অনুভব করে এবং এই উভয়বিধ প্রক্রিয়ার প্রভাব জাগ্রত হওয়ার পরও নিজ দেহে অবলোকন করে। মোটকথা, স্বপ্নজগতের খেয়ালী ও কাল্পনিক দুনিয়া এবং বস্তুময় দুনিয়ার দৈহিক ও উপাদানভিত্তিক সুখ-দুখ, আরাম-আয়েশের মাঝে কোনোই পার্থক্য বা তারতম্য থাকে না। কিন্তু যেটুকুন পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়, তা হলো স্বপ্নজগতের সুখ ও দুঃখ জাগ্রত হওয়ার পর শেষ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে বস্তুময় দুনিয়ার সুখ-দুঃখের অনুভ‚তি ও উপলব্ধি অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তাছাড়া বন্তুভিত্তিক সজাগ অবস্থার সুখ ও দুঃখ স্বপ্নের মাঝে বিলীন হয়ে যায়, তেমনি স্বাপ্নিক দুঃখ-সুখও জাগ্রত অবস্থায় অবসর গ্রহণ করে। স্বপ্ন সংক্রান্ত বিভিন্ন দুঃখ-কষ্টের বিভিন্ন দৃশ্যাবলী এবং এগুলোর বৈশিষ্ট্য ও কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর যদি দার্শনিক দৃষ্টিতে অবলোকন করা হয়, তাহলে বহু আশ্চর্যজনক কর্মকাÐ সামনে এসে হাজির হয়। কখনো এমনও হয় যে, ওই সকল অনুভব ও অনুভূতি যা কখনো মানব মনে রেখাপাত করেছিল এবং এগুলোকে জাগ্রত অবস্থায় বস্তুভিত্তিক দুনিয়ার কর্মব্যস্ততা এবং জামানার দীর্ঘসূত্রতার কারণে মানুষ বিস্মৃত হয়ে পড়েছিল, সেগুলো স্বপ্নযোগে বস্তুতান্ত্রিক নিগড় হতে মুক্তিলাভ করে দৈহিক আকৃতিতে এসে উপস্থিত হয়। মধ্যবর্তী সংযোগ বিস্তৃত হওয়ার কারণে সে এগুলোকে অসংলগ্ন বলে মনে করে। এর দ্বারা বোঝা যায় যে, মানুষ যে সকল বস্তুতে বিস্মৃত হয়ে যায়, সেগুলো তার স্মৃতিপট হতে লীন হয়ে যায় না; মনের মণিকোঠায় বিভিন্ন কারণসমূহের ভিড়ে প্রচ্ছন্ন হয়ে যায়, লুকিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আবার ফিরে আসে। ফলে ওই সকল উত্তম ও বৃহৎ কর্মকাÐ যা মানুষ জীবনভর সম্পাদন করেছে, সেগুলো যদিও সে আজ বিস্মৃত হয়েছে কিন্তু তবুও তার স্মরণের পর্দায় সেগুলো অবিকল লুকিয়ে রয়েছে। বরং মনের পর্দা হতে সেগুলো কখনো হারিয়ে যায়নি, নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। স্বপ্নের আজব ও অত্যাশ্চর্য চিত্র হচ্ছে এই যে, একে ‘তামছিলী’ বা উপমাসুলভ বলা হয়। যেমন হযরত ইব্রাহীম (আ.) প্রাণপ্রিয় পুত্রকে কাবার খেদমতে উৎসর্গ করাকে কোরবানির আকৃতিতে দেখেছিলেন। হযরত ইউসুফ (আ.) পিতামাতাকে সূর্য এবং চাঁদের সুরতে এবং এগারজন ভাইকে এগারটি তারকাকারে দেখেছিলেন। মিসর স¤্রাট কর্তৃক শূলদÐপ্রাপ্ত আসামি নিজের শূলদÐকে এই রংয়ে অবলোকন করেছিল, যেন সে মাথায় রুটি বহন করেছ এবং বড় বড় পাখি চঞ্চু দ্বারা তা ছিঁড়ে কেড়ে খাচ্ছে। আর মিসর স¤্রাট সাত বছর খরাকে সাতটি হাল্কা, শুকনো গাভীর আকারে অবলোকন করেছিল।
(এ সকল উপমাসুলভ স্বপ্নের কথা আল কোরআনে বিবৃত রয়েছে) স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কা বিজয়কে এ আকৃতিতে দেখেছিলেন, যেন মুসলমানগণ মাথা মুড়ায়ে চুল ছোট করে ছেঁটে হজ আদায় করছেন। মুসায়লামা এবং আসওয়াদ আনাসী নামক দুজন ভÐ নবীকে দুটি স্বর্ণের চুড়ির আকারে দেখেছিলেন। শুহাদায়ে অহুদকে মোটাতাজা গাভীর আকারে অবলোক করেছিলেন। মদিনার মহামারীকে পেরেশানহাল কৃষ্ণকায় মহিলার সুরতে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। খেলাফতকে বালতি দ্বারা পানি তোলার আকারে, হযরত ওমর (রা.)-এর জ্ঞানকে দুধের আকারে এবং তার দ্বীনদারিকে লম্বা কোর্তার আকারে দর্শন করেছিলেন। (এ সকল স্বপ্নের কথা সহীহ বুখারী : ‘স্বপ্ন রহস্য উন্মোচন’ কাÐে উক্ত আছে) তাছাড়া এ জাতীয় উদাহরণ প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হতেও বেশুমার সংগ্রহ করা যায়। এর চেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই যে, মানবদেহে যদি কোনো প্রকারের উপাদান বেড়ে যায়, তাহলে স্বপ্নযোগে তার উপযোগী চিত্র আকৃতি নজরে পড়ে। যেন কাহারো উদরে অজীর্ণসুলভ দ্রব্য-সামগ্রী বেশি হলে সে স্বপ্নযোগে পানি, দরিয়া ও সমুদ্র দেখতে পায়। অনুরূপভাবে অন্যান্য ঘটনাবলী ও নিজের দৈহিক সামঞ্জস্যপূর্ণ আকৃতিতে স্বপ্নযোগে আকর-আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে দেখা দেয়। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ : শাহ ওয়ালী উল্লাহ রহ. বরযখ অধ্যায়) একইভাবে যাবতীয় কর্মকাÐ স্বপ্নে উপযোগী সুরত ধারণ করে মানসপটে উদিত হয়। যদি কেউ স্বীয় ভ্রাতার হক আদায় না করে তাহলে সে স্বপ্নে দেখবে যে, সে তার গলা কাটছে। যদি কারো গীবত করে, তাহলে দেখতে পারবে যে সে মৃতের গোশত ভক্ষণ করেছে। আর যদি সোনা-রূপা জমা করে চ‚ড়ান্ত কৃপণ হয়ে যায়, তাহলে দেখতে পাবে যে, এগুলো সাপ হয়ে গলা পেঁচিয়ে ধরছে এবং তাকে ছোবল মারছে। নিন্দা ও অপমানকে কুকুরের আকারে, নির্বুদ্ধিতাকে গাধার আকারে এবং বীরত্বকে সিংহের আকারে দেখতে পাবে। মি’রাজের রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে প্রকৃতিকে দুধের আকারে এবং অপ্রকৃতিকে শারাবের আকের পেশ করা হয়েছিল। অনুরূপভাবে বৃদ্ধা পৃথিবীকে একটি বৃদ্ধা মহিলার আকারে দেখতে পেয়েছিলেন। এই শ্রেণীর উপমাসুলভ বর্ণনা আল কোরআনেও এসেছে। যেমনÑ গীবত সম্পর্কে বলা হয়েছে : “তোমরা একে অন্যের পিঠ পেছনে বসে মন্দাচার করো না, তোমাদের মাঝে কি কেউ পছন্দ করবে যে, সে নিজের মৃত ভ্রাতার গোশত ভক্ষণ করছে? সুতরাং তোমরা অবশ্যই এটাকে খারাপ বলে বিবেচনা করবে।” (সূরা হুযুরাত : রুকু-২০) সুদ খাওয়াকে পাগল ও উদাসীনদের আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে : “যারা সুদ খায়, তারা দাঁড়াতে পারবে না, কিন্তু ওইসব লোকের মতো যাদেরকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা জ্ঞানহারা করে দিয়েছে।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-৩৮) আর নাহক পন্থায় এতিমদের মাল ভক্ষণ করাকে উদরে আগুন ভর্তি করার সাথে তুলনা করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে : “ওই সকল লোক যারা এতিমদের মাল নাহক পন্থায় ভক্ষণ করে, তারা উদর পুরে আগুনই ভক্ষণ করছে এবং পরবর্তীতে তারা জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে।” (সূরা নিসা) যে সকল আত্মম্ভরী লোক দুনিয়াতে অন্যের উপকারে আসেনি, রোজ কিয়ামতেও তাদের উপকারে কেউ আসবে না। আর যে সকল আত্মতৃপ্তিকামী লোক নিজেরা পেট পুরে আহার করে কিন্তু গরিব ও দুস্থদের প্রতি সুনজরে দেখে না এমনকি নি¤œমানের মাল-সম্পদ বা যাকাতের সামান্যতম অংশও গরিবদের মাঝে বিতরণ করে না, তারা দোজখে গলিত পুঁজ ভক্ষণ করবে। আল কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে : “অবশ্যই তারা মহিমাময় আল্লাহর ওপর ঈমান আনেনি এবং মিসকিনদের আহার্যদানে উৎসাহ বোধ করেনি, তাই রোজ কিয়ামতেও তারা কোন বন্ধু খুঁজে পাবে না এবং জখমিদের গলিত পুঁজ ছাড়া তারা কিছুই খেতে পাবে না, আর এ খাদ্য গোনাহগারদের জন্যই।” (সূরা হাক্কাহ : রুকু-১) আর সবুজ-শ্যামল বাগানের আকৃতিতে নিঃস্বার্থ দানশীলতাকে তুলনা করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে : “আর ওই সকল লোকের উদাহরণ যারা নিজেদের মাল-সম্পদ আন্তরিক দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে খরচ করে যেন একটি বাগান যা সমুচ্চ শৃঙ্গে অবস্থিত।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-৩৬) আর আল্লাহর পথে প্রাণদানকারীদেরকে নতুন জীবন দানের চিরস্থায়ী জীবন লাভের খোশ-খবরি দেয়া হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে : ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে, তাদেরকে তোমরা মৃত বলে সম্বোধন করো না; বরং তারা জীবিত।” (সূরা বাকারাহ) অনরূপ নির্দেশ এ সম্পর্কেও পাওয়া যায় যে, “যে ব্যক্তি আল্লাহকে ঋণদান করবে, আল্লাহপাকও বহুল পরিমাণে দান করবেন। আর যে ব্যক্তি অন্যকে ক্ষমা করে দেবে, আল্লাহপাকও তার দোষ গোপন করবেন।” আল-কোরআন ও সহীহ হাদিসে বিনিময়মূলক শাস্তি ও পুরস্কারের কথা বহুল বিবৃত রয়েছে। আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজ মাল খরচ করে না, তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, “যারা কৃপণতা প্রকাশ করেছে, রোজ হাশরে তাদের গলায় শিকল পরানো হবে।” (সূরা আলে ইমরান : রুকু-১৮)। অপর এক আায়াতে ঘোষণা করা হয়েছে : “যে দিন সেই সোনা এবং রূপাকে দোজখের আগুনে গরম করা হবে এবং সেগুলো দ্বারা তাদের কপালে, পার্শ্বদেশে, পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে, এটাই হচ্ছে বিনিময় যা তোমরা জমা করেছিলে নিজেদের জন্য এখন উপভোগ কর, যা তোমরা জমা করেছিলে।” (সূরা তাওবাহ : রুকু-৫) দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন নূর হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়া আখেরাতে বাহ্যিক অন্ধত্বের আকারে প্রতিভাত হবে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি দুনিয়াতে আল্লাহকে বিস্মৃত হবে, আল্লাহপাক আখেরাতে তাকে বিস্মৃত হবেন। সুতরাং হযরত আদম (আ.)-কে জান্নাত হতে বহিষ্কারের সময় বলা হয়েছিল : “এবং যে আমার স্মরণ হতে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল, তার জন্য রয়েছে বেদনাময় জীবনকাল এবং আমি তাকে আখেরাতে অন্ধ করে তুলব, সে বলবে, হে আমার পরওয়ারদিগার! তুমি আমাকে কেন অন্ধ করে তুলেছ? কিন্তু দুনিয়াতে আমিত চক্ষুষ্মান ছিলাম। আল্লাহ বলবেন, এভাবেই তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ আগমন করত, তুমি সেগুলো ভুলে ছিলে, অনুরূপভাবে আজো তোমাকে বিস্মৃতির অতলতলে হারিয়ে যেতে হবে।” (সূরা ত্বাহা : রুকু-৭)। একই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে আরোও সংক্ষিপ্ত আকারে এই আয়াতে ব্যক্ত করা হয়েছেঃ “যে এই পৃথিবীর জীবনে অন্ধ ছিল সে আখেরাতেও অন্ধই থাকবে এবং বহুদূর গোমরাহীতে সে নিমগ্ন থাকবে।” (সূরা নবী ইসরাঈল) এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহীহ হচ্ছে ওই হাদিসটি, যার মাঝে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : বখীলের মাল-সম্পদ সাপের আকারে গলায় হাররূপে পরিদৃষ্ট হবে। অর্থাৎ সে মাল ও সম্পদ, সোনা-রূপা সাপের আকৃতিতে প্রতিভাত হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : “যাকে আল্লাহপাক মাল-সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু সে এর যাকাত আদায় করল না, তাহলে তার ধন-দৌলতকে ফণাযুক্ত সাপের আকৃতিতে দেখানো হবে, যার মস্তক তীব্র বিষের প্রতিক্রিয়ায় কুঁজো হয়ে পড়বে এবং তার মুখে থাকবে দুটো দাঁত। এই সাপ কিয়ামতের দিন গলা জড়িয়ে ধরবে এবং উভয় চোয়ালে দংশন করতে থাকবে ও বলবে, আমি তোমাদের ধন-দৌলত।” (সহীহ বুখারী : তফসীরে সূরা আলে ইমরান : ২য় খÐ : ৫৫ পৃ.) অনুরূপভাবে এ সকল হাদিস, যেগুলোতে বিভিন্ন কর্মকাÐকে বিভিন্ন আকৃতিতে সমুপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, যেমন : মৃত্যুর পর কবরে নামাজ, রোজা বিভিন্ন আমলকে আজাব হতে নিষ্কৃতির জন্য ঢালস্বরূপ ডানে এবং বামে পরিদৃষ্ট হবে। এ কথাও হাদিসে আছে যে, মৃত্যুর পর একবার যখন আল্লাহর ফেরেশতা মৃত ব্যক্তিকে সজাগ করে, তখন সে সূর্যকে অস্তোন্মুখ অবস্থায় দেখতে পায়। পুণ্যবান মুসলমান এই সংকীর্ণ সময় অবলোকন করে নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি গ্রহণে তৎপর হয়। (মুসনাদে ইবনে হাম্বল ও সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩৬৫ পৃ.) তবে এটা সুস্পষ্ট যে, এই পৃথিবীর সূর্য সেখানে নেই; বরং এর সাদৃশ্যরূপ পরিদৃষ্ট হবে। যেমন হাদিসের ভাষ্যে বিদ্যমান আছে। অর্থাৎ সে মৃত ব্যক্তি তেমনই দেখতে পাবে এবং মূলত তা সূর্য নয়, বরং সূর্যের সাদৃশ্যময় সুরত বটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।