Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিক দর্শন : পর্দা ও পর্দাহীনতা : প্রেক্ষিত বিশ্ব নারী সমাজ

| প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ কামাল হোসেন
আজ সমগ্র পৃথিবীকে অশ্লীলতা আর বেহায়াপনা গ্রাস করে ফেলেছে। অপসংস্কৃতির বাঁধভাঙা ঢেউ বন্যার ন্যায় গোটা মানব সমাজকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে যুবসমাজ আজ ধ্বংসের পথে, কিশোর-তরুণরা সহসা হারাচ্ছে পুরুষত্ব। নারী-পুরুষের যত্রতত্র অবাধ মেলামেশার পরিণতিতে কিশোরী, যুবতী আর তরুণীরা হারিয়ে ফেলছে তাদের মহামূল্যবান কুমারিত্ব। নারী জীবনের সবচেয়ে অমূল্য বস্তুটি হারিয়ে তারা এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্যভিচারের কুফলস্বরূপ অবৈধ গর্ভপাতের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনুষ্য অধ্যুষিত সমাজ আজ অচল হবার উপক্রম হয়েছে। সমান অধিকারের নামে নারী-পুরুষদের সকল কাজের সঙ্গিনী করা হচ্ছে। অথচ একটুও ভেবে দেখা হচ্ছে না যে, বাস্তবিক নারীরা এসব জটিল ও কঠিন কাজের জন্য কতটা যোগ্য? এদের জন্মগতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষ অপেক্ষা সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বভাব, শক্তি, সামর্থ্য ও কোমল দেহ কাঠামো দিয়ে। সৃষ্টিকুলে মানুষের মধ্যে একমাত্র নারীকে পুরুষ অপেক্ষায় অধিকতর রূপ-লাবণ্য, সুষমা ও আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করা হয়েছে। নারী সৌন্দর্যের প্রতীক। পৃথিবীতে স্ত্রী আর পুরুষ প্রজাতি শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। জীবজন্তু, পশুপাখি, গাছপালা এমনকি নদ-নদীর মাঝেও এ দুই প্রজাতি সমানভাবে বিরাজ করছে। অথচ মজার বিষয় হচ্ছে, এসবের অধিকাংশ ক্ষেত্রে চরম বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। এখানে নারী প্রজাতিটি নয় বরং পুরুষ প্রজাতিটিকে রূপ, সুষমা ও আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন, পশুকুলে পুরুষ প্রজাতি স্ত্রী প্রজাতি অপেক্ষা সুন্দর। সিংহী প্রায় ন্যাড়া গোচের, সিংহের ঘাড়ে দৃষ্টিনন্দন নয়নাভিরাম কেশর। ব্যতিক্রম আরো আছে, মুরগি কাটখোট্টা, অপরদিকে মোরগ নাদুসনুদুস লাল ঝুঁটিওয়ালা চিত্তাকর্ষক। ময়ুরী পেখম মেলে নাচতে জানে না, অথচ ময়ুরের মোহনীয় নৃত্য ঝংকারে বিমোহিত হয় মন। চিত্তকে ভরে দেয়। একটু মেঘ ঘুড়ঘুড় করলে ময়ূরের নাচ এক দুর্লভ সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, পক্ষীকুলের মধ্যেও এমন বৈসাদৃশ্য ব্যাপকভাবে লক্ষণীয়।
নারী ও পুরুষের দেহাকৃতির মধ্যেও বাহ্যিকভাবে বড় একটা পার্থক্য নেই, মূলত পার্থক্য হল অন্তর্গত। নারীর সন্তান ধারণের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে। পুরুষের নেই। নারীর শরীর প্রকৃতগতভাবেই মসৃণ ও পেলব। পুরুষের শরীর লোমওয়ালা ও অমসৃণ। নারীর দীঘলকালো ঘনচুল সুন্দর ও নান্দনিকতার গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়। নারী নারীর মতো হলেই সুন্দর। পুরুষ পুরুষের মতো মানানসই। অথচ আজ তথাকথিত আধুনিক শিক্ষিত সমাজ যথেচ্ছ উপভোগ করছে নারী সমাজকে। ইসলাম নির্দেশিত পর্দা প্রথাকে তারা বর্বরতা আখ্যা দিয়ে পক্ষান্তরে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অধিকার উস্কে দিয়ে ভোগবাদী পুরুষরা ব্যভিচারের পথ সুগম করে নিয়েছে। তাদের দাবি ইসলাম নাকী নারী জাতিকে উপযুক্ত মর্যাদা আর স্বাধীনতা না দিয়ে পর্দার আবরণে গৃহবন্দী করে রেখেছে। যার কারণে দেশে দেশে আজ উন্নতির ব্যাঘাত ঘটছে।তাই আজ নারী জাতিকে পর্দার খোলস ছিঁড়ে পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জীবন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তাদের এই অন্যায্য অযৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনেক আগেই মাঠে নেমে পড়েছে মুসলমান নামধারী নাস্তিক-মুরতাদ আর এনজিও গোষ্ঠীরা। অবুঝ নারী সম্প্রদায়ও পঙ্গপালের মতো তাদের এই কুৎসিত আহŸানে রাজপথে নেমেছে। তাদের ধারণা, পর্দা প্রথা সমূলে উচ্ছেদ করতে পারলে ফিরে আসবে নারী জাতির প্রকৃত স্বাধীনতা। ফিরে আসবে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তির সুবাতাস। তাদের বিবেক বুদ্ধি এতটাই লোপ পেয়েছে যে, তারা ভুলে গেছে নারী জাতির স্বর্ণালি ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। নারী জাতি ইচ্ছা করলে কী না করতে পারে? বরং শিক্ষা-দীক্ষায় ও জ্ঞান-গরিমায় সর্বক্ষেত্রে তারা পুরুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। একথা বাস্তবে প্রমাণ করে গেছেন পূর্ববর্তী যুগের পর্দানশীল নারীরা। তারা কখনো বেপর্দা বা পর্দাহীনতার কাছে নতজানু হয়নি। কোন আপসও করেনি। প্রতিভা শত পর্দার আবরণে থাকলেও সেটা তার দীপ্তময় শিখা দিয়ে বের হয়ে আসবে। এজন্য বেপর্দা হবার প্রয়োজন পড়ে না। পর্দাকে যারা বন্দিত্ব বলেন- তাদের নিকট আমার বিনীত প্রশ্ন, সে যুগের পর্দানশীল নারী জাতির মোকাবেলায় এ যুগের বেপর্দা বেহায়া নারী সমাজ কতটুকু অগ্রগতি সাধন করতে পেরেছে? বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সে যুগের নারী সমাজের তুলনায়-এ যুগের নারীরা ইসলামকে বর্জন করে এক-শতাংশও সুখি হতে পারেনি। কখনো পারবেও না। কারণ, নারী জীবনের সবচেয়ে আকাক্সিক্ষত মূল্যবান বস্তু হল তাদের -সতীত্ব। পর্দাহীনতার কারণেই যখন নারী তার মূল্যবান সতীত্ব খুইয়ে বসে, তখন সীমাহীন আফসোস করেও কোন লাভ থাকে না। স্পষ্টতই তখন বেপর্দা নারী বুঝে, নারী স্বাধীনতা কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? দুঃখজনক হলেও সত্য, তখন জন্মের তরে নারী স্বাধীনতার বুলি ভুলে যায়। বোকা নারী বুঝে না, এটাও সুবিধাবাদী এক শ্রেণীর ধূর্ত পুরুষদের ফাঁদ! এ ফাঁদে পেলে নারীকে ভোগ করাই তাদের উদ্দেশ্য। অধিকার দেয়া নয়। পত্রপত্রিকায়, ফেসবুকে কিংবা স্যাটেলাইট চ্যানেল খুললে চোখে পড়ে বিভিন্ন পন্থায় নারী নির্যাতনের বীভৎস চিত্র। মনে কষ্ট জাগে, জাগে প্রশ্ন- এরই নাম কী নারী মুক্তি? নারী স্বাধীনতা? নারীরা আজ পর্দা প্রথাকে অভিশাপ মনে করছে। তারা পুরুষের মতো সমান অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছে। পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নতিতে অংশ নিতে চাচ্ছে। সেটা ভাল কথা। কিন্তু সেটা করতে পর্দা বাধা হবে কেন? পর্দার ভেতরে থাকলে করা যায় না, কেবল বেপর্দা হলেই করা সম্ভব!? এটা কেমন কথা? পর্দা প্রথা সত্যিই উন্নতির জন্য প্রতিবন্ধক? পর্দা প্রথাকে তুলে দিলে কী, নারী তার যথাযথ মান-মর্যাদা ফিরে পাবে? পারবে কী সে সুখি, সুন্দর ও সাবলীল জীবনযাপন করতে? এই যদি হয় তাহলে চলুন, পাশ্চাত্যের দিকে একটু দৃষ্টি নিবন্ধ করা যাক। ওখানে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশায় কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। “দেহ যার সিদ্ধান্ত তার”-এ থিওরিতে তারা অবাধ যৌনাচারে মেতে ওঠে। নেই পর্দার কোন বালাই বা বাধ্যবাধকতা। পশুর ন্যায় ইনসেস্ট সেক্স বা নিষিদ্ধ অজাচারেও তারা লিপ্ত হয়। পারিবারিক কোন দৃঢ় মজবুত বন্ধন নেই। যে যেভাবে পারছে যত্রতত্র অবাধ মেলামেশা করছে। প্রশ্ন হলো- সেখানকার নারীরা কতটুকু সামাজিক মর্যাদা লাভ করেছে? জীবনের নিরাপত্তা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছে? যারা কথায় কথায় পাশ্চাত্য সভ্যতাকে শ্রেষ্ঠ সভ্যতা বলে দাবি করছে, সে আমেরিকা, বৃটেন ও ফ্রান্সের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, সেখানে নারী জাতি কী চরম দুরবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। নারী মর্যাদা ওখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। মাত্র ১২ বছরের কিশোরী থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধারা পর্যন্ত প্রতিবছর অবৈধ গর্ভপাত করে চলেছে। ওখানে আইন বলতে যা আছে তা হলো, ধর্ষণ করলে দÐের ব্যবস্থা আছে। পরস্পর যৌনাচার বা লিভ টুগেদার করলে কোন সমস্যা নেই। ঘরে বাহিরে কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই। তাইতো অবৈধ জারজ সন্তানের সংখ্যা সেখানে দিন দিন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সে দেশের গভর্মেন্ট বেওয়ারিশ সন্তানগুলোকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে উন্নত শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে কর্মক্ষেত্রে ছেড়ে দিচ্ছে। অবাধ মেলামেশার কারণে সেখানকার পরিবেশ আজ কলুষিত। অধিকাংশ যুবক-যুবতী আজ এইডসসহ বিভিন্ন যৌন রোগে আক্রান্ত। বৃদ্ধাদের ঠিকানা হচ্ছে হোমে বা বৃদ্ধাশ্রমে। কেউ তাদের খোঁজখবর নেয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। সারা পৃথিবীতে আজ নারী নিছক ভোগ বিলাস ও বিজ্ঞাপনের সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে। মনুষ্যরূপী দো পেয়ে পশুরা লোভাতুর চোখে নারীর যৌবন উপভোগ করার জন্য বিভিন্ন ছল-ছুতো বা উপায় বের করেছে। শাড়ি-গহনা, জামা-জুতা থেকে শুরু করে জাঙ্গিয়া পর্যন্ত সব ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপনে উলঙ্গ, অর্ধলগ্ন নারী চিত্র, বিচিত্র হাসি, বিচিত্র ভঙ্গিমা ক্রেতাদের প্রভাবিত ও প্রতারিত করছে। একই সাথে তাদের চরিত্র হরণ করে নিচ্ছে। অবাক বিষয় হচ্ছে, যে জিনিস শুধুমাত্র পুরুষরা ব্যবহার করে থাকে সেখানেও নারীর ছবি লাগানো থাকে। সমান অধিকারের নামে নারী স্বাধীনতার রঙিন স্বপ্ন দেখিয়ে হায়েনার দল স্বর্বস্ব লুটেপুটে খাচ্ছে। বোকা নারী পদে পদে ধোঁকা খাচ্ছে। তাদের সরলতা আর কমনীয়তার সুযোগ নিয়ে স্বর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, যুগে যুগে দেশে দেশে যে বিপর্যয় ও অবনতি নেমে এসেছে, তা নারী জাতির মাত্রারিক্ত নিলর্জ্জতা, বেহায়াপনা আর ইসলাম নির্দেশিত পর্দা প্রথাকে চরম উপেক্ষার পরিণতিতে। পুরুষ ও নারীর জগৎ সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেউ কারো রাজত্বে যাতে বেখেয়ালে অনধিকার প্রবেশ করতে না পারে, কারো অধিকার ও মান-মর্যাদা যাতে ক্ষুণœ না হয়, যার যার সীমারেখায় স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে অবাধ চলাফেরা ও শান্তিপূর্ণ কর্মকাÐ চালিয়ে যেতে পারে এবং সর্বোপরি প্রত্যেকের সীমারেখার সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে কোন অপ্রীতিকর ও সাংঘর্ষিক কর্মকাÐ যাতে সৃষ্টি না হয়- সেজন্য মহান আল্লাহতায়ালা দ্বীন ইসলামের মাধ্যমে যে বাঁধা বন্ধনের লৌহ প্রাচীর এবং সদা সর্বদা সীমান্ত প্রহরার যে দুর্লভ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে, তারই নাম পর্দা বা হিজাব।
সেই সীমান্ত প্রহরায় প্রত্যেকে (বিশেষ করে নারী জাতিকে) আলাদা আলাদাভাবে বলিষ্ঠ ভ‚মিকা পালন করতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে, দায়িত্ব পালনে একটু অসচেতন হলে যে কোন মুহূর্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ কিংবা পুশইন করে নারীর গরিমা ও অস্তিত্ব নিঃশেষ করে দিতে পারে। নারী স্বভাবতই কোমল কমনীয় লাজ লজ্জার প্রতীক। তার নৈতিক মাহত্ম্যের মান তার চরিত্র মর্যাদার মূল্য পুরুষ অপেক্ষা অধিকতর বেশি। কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নারীর এই সরলতার সুযোগে দুষ্টবুদ্ধি, দুর্ধর্ষ লম্পট কতক পুরুষ যুগে যুগে নারীকে আক্রমণ করেছে। নারীত্বের মহিমা বিনষ্ট ও কলংকিত করেছে। ভোগের রসদ পরিবেশনে যখন ইচ্ছা নারীকে ঘরের বাহিরে সমধিকারের নামে টেনে এনেছে। আবার প্রয়োজন শেষে তাকে অত্যাচারের দুর্লংঘ কারাগারে বন্দী রেখেছে। পুরুষজাতি অপকর্ম করে সাধুতার মুখোশ পরে বেঁচে যেতে পারে, সমাজে আত্মগোপন করে থাকতে পারে। কিন্তু নারী তা পারে না। নারীর পতনের পথ যতটা সুগম, পুরুষের ততটা সুগম নয়। সামান্য পতনেই নারীর সর্বনাশা কলংকের সম্ভাবনা, বিন্দু পরিমাণ উদাসীনতায় নারী জীবনে কলংকের ধস নেমে আসার আশঙ্কাই বেশি। নারী জীবনে পর্দার কোন বিকল্প নেই। পর্দাই পারে নারীকে মুক্তি দিতে। একমাত্র ইসলাম নারীকে সবচেয়ে বেশি অধিকার দিয়েছে। রাসূল (সা.) মাকে তিনগুণ খেদমতের কথা বলেছেন। প্রতিটি নারী পিতা-মাতা, স্বামী ও সন্তানের কাছে পর্যায়ক্রমে অধিকার পাবে। মহান আল্লাহ নির্দেশিত একমাত্র পর্দা প্রথাই পারে নারীর মান-মর্যাদা তথা সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে। অপরদিকে বেপর্দা বা পর্দাহীনতা নারীকে কোন কালেই মান-মর্যাদা ও মুক্তি দিতে পারেনি। বরং তার তিলে তিলে সঞ্চিত সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়ে দুঃখ, কষ্ট ও বঞ্চনা সমেত এক অনিশ্চিত জীবনের পথে নিষ্ঠুরভাবে ঠেলে দিয়েছে।



 

Show all comments
  • মোঃ ঈমান হোসাঈন ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:০০ এএম says : 0
    জাজাকাল্লাহ খাইরান
    Total Reply(0) Reply
  • Feroz Bahauddin ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:১৭ পিএম says : 0
    পর্দা করা এবং ইসলাম মেনে তার বিধান অনুযায়ী চলা অবশ্যই প্রতিটি নারীর কর্তব্য। তবে আপনি নারী কে একা দোষারোপ করছেন কেনো? পর্দা কি কেবল নারীই করবে?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ