বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মাহমুদ ইউসুফ : নবি করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে কোনো সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখবে সে তাদেরই একজন’ (আবু দাউদ)। আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি অনারবীয় দেশে বসবাস করে সে যদি সে দেশের নববর্ষ, মেহেরজান উদযাপন করে এবং বাহ্যিকভাবে তাদের সাথে সাদৃশ্য রাখে এমনকি এ অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে তাদের (কাফের) সাথে হাশর করা হবে’ (বায়হাকি, সনদ বিশুদ্ধ)। প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার, টিভি ভাষ্যকার, মুহাদ্দিস কাজী মুহাম্মাদ ইবরাহীম বলেন, ‘কাফের, পৌত্তলিক, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নববর্ষ, ভ্যালেন্টাইন ডে, থার্টিফার্স্ট নাইট, বৈশাখী মেলা, র্যাগ ডে ইত্যাদি উদযাপন করা হারাম। এ উৎসবসমূহ কাফের ও আল্লাহদ্রোহীদের ধর্মীয় উৎসব। এগুলোর সাথে বাহ্যিক সাদৃশ্য আন্তরিক সাদৃশ্যে পরিণত হতে পারে এবং একজন মুসলমানকে কুফরের দিকে টেনে নিতে পারে। বাহ্যিক সম্পর্ক ও মিলের কারণে অন্তরের সম্পর্ক ও মিল সৃষ্টি হয়। অতএব কাফেরদের সাথে বাহ্যিক সাদৃশ্য সৃষ্টি হয় এমন যে কোনো কাজকর্ম থেকে বিরত থাকা ফরজ’ (কাজী মুহাম্মাদ ইবরাহীম : তাওহীদ জিজ্ঞাসা জবাব, পৃ. ১৭৯-১৮০)।
২০১৭ সাল থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদযাপন হিসেবে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য, ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ (দৈনিক সমকাল, ১ এপ্রিল ২০১৭)। এই বাক্যটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত দুর্গাদেবীর প্রশংসামূলক একটি কবিতার অন্তর্ভুক্ত। কবিতাটি মন্দিরে পুরোহিতদের প্রার্থনা সঙ্গীতও বটে।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় যে সূর্য, ইঁদুর, হনুমান, গাভী, ক্ষ্যাপা ষাঁড়, ঈগল, পেঁচা, রাজহাস, সিংহ, বাঘ, হাঁস, ময়ূর, মহিষ, বহন করা হয় সেগুলো হিন্দুদের বিভিন্ন বিশ্বাসেরই উপাত্ত। দৃষ্টান্ত ইঁদুর গণেশের বাহন, ঈগল বিষ্ণুর বাহন, সিংহ বাঘ দুর্গার যানবাহন, হাঁস ব্রহ্মা ও স্বরস্বতীর বাহন, মহিষ মৃত্যু দেবীর যানবাহন, ক্ষ্যাপা ষাঁড় শিবের যানবাহন, পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও ল²ীর বাহন, ময়ূর কার্তিকের বাহন ইত্যাদি (বিস্তারিত : সুধীর চন্দ্র সরকার সংকলিত পৌরাণিক অভিধান)। শোভাযাত্রায় জন্তু জানোয়ারের মুখোশ কেন? উদ্যোক্তারা কী সারা বছর জনগণের সাথে পশুর মতো আচরণ করবে?
মঙ্গল শোভাযাত্রার সমগ্র চিত্রই হচ্ছে হিন্দুতত্তে¡র উৎস ও ভিত্তিভূমি। গণেশ মঙ্গল ও সিদ্ধির জনক বলে সবার আগে পূজিত হন (সুধীরচন্দ্র সরকার সংকলিত পৌরাণিক অভিধান, পৃ. ১১২)। পুরাণমতে শিব পার্বতীর কনিষ্ঠ সন্তান গণেশ সাফল্য ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে। গণেশের উপাসনা করলে সব বাধা ও অশুভ প্রভাব কেটে যায় বলে বিশ্বাস। পাশাপাশি তিনি জ্ঞানের দেবতাও। হিন্দুধর্মে পাঁচ দেবতার অন্যতম হলো গণপতি পান্না। এই পাঁচ প্রধান দেবতা হলো ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা ও গণেশ। গণেশের হাতির মাথা আত্মাকে প্রতিফলিত করে। যা কিনা মানুষের অস্তিত্বের চরম রূপ। গণেশের মাথা জ্ঞানের প্রতীক। আর শুড় বোঝায় হিন্দুধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘ওম’কে’ (এই সময়, কলকাতা, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। এই গণেশই মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রধান আকর্ষণ। আর বলা হচ্ছে, এটা ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি উৎসব! কী সুন্দর মুসলিম রাষ্ট্র!
মঙ্গল শোভাযাত্রায় সূর্যের প্রতিকৃতি দেখা যায়। এটা হচ্ছে হিন্দুদের সূর্য দেবতার প্রতিকৃতি। সূর্য আর্যদের উপাস্য দেবতা (সুধীরচন্দ্র সরকার সংকলিত পৌরাণিক অভিধান, পৃ. ৪৫১)। উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে, হিন্দুধর্মের প্রধান সৌর দেবতা সূর্য। তিনি আদিত্যগণের অন্যতম এবং কশ্যপ ও তার অন্যতমা পতœী অদিতির পুত্র। কোনো কোনো মতে, তিনি ইন্দ্রের পুত্র। হিন্দুধর্মীয় সাহিত্যে সূর্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। কারণ তিনিই একমাত্র দেবতা যাকে মানুষ প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করতে পারে। বৈষ্ণবেরা সূর্যকে সূর্যনারায়ণ বলে থাকেন। শৈব ধর্মতত্তে¡, শিবের অষ্টমূর্তি রূপের অন্যতম হলেন সূর্য (উইকিপিডিয়া; ৪ এপ্রিল ২০১৭ সংগৃহীত)। আসলে শোভাযাত্রায় বহনকৃত সকল মুখোশ-ফটোই যে হিন্দুধর্ম থেকে গ্রহণ করা হয়েছে এটা সর্বজনস্বীকৃত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিসার হোসেন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যেসব শিল্প-কাঠামো মঙ্গল শোভাযাত্রার সম্মুখভাগে ছিল, সেগুলো ফিরিয়ে আনা হবে। যেমন ১৯৮৯ সালের প্রথম শোভাযাত্রার ঘোড়া ও বিশাল বাঘের মুখ এবারের শোভাযাত্রায় থাকছে। থাকছে সমৃদ্ধির প্রতীক হাতি (দৈনিক সমকাল : ১ এপ্রিল ২০১৭)। শ্রী অন্নদা শঙ্কর রায়ের মতে, ‘মুসলিম তবে মস্তিষ্ক হিন্দুর।’ নইলে তিনি হাতিকে সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করেন কীভাবে? সমৃদ্ধির দাতা হলেন মহান ¯্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী, দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় তিথিতে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে হিন্দু ধর্মগুরুরা। যেমন : শ্রীগুরু সংঘের ৫৫তম ধর্মীয় উৎসবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। হিন্দুধর্মীয় শ্রীগুরু সংঘের উদ্যোগে সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রীমদ দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের স্মরণে পাঁচ দিনব্যাপী ৫৫তম ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ভাÐারিয়া কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে প্রাতঃকালীন প্রার্থনা ও শ্রীগুরু বন্ধনা, গীতাপাঠ, সংঘ পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। শ্রীগুরু সংঘের ভক্তরা বাদ্যযন্ত্র, জাতীয় ও সংঘ পতাকা হাতে এবং তাদের গুরুদেবের বিগ্রহ সহকারে শহরে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে (দৈনিক কালের কণ্ঠ; ৩০ মার্চ ২০১৭)। এই মঙ্গলকে ইমানদারদের ওপর চাপানো হচ্ছে!
মুঘল স¤্রাট আকবরের সভাসদ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহ উল্লাহ সিরাজি বাংলা সনের জনক। তিনি হিজরি সনকে ভিত্তি করে বাংলা সন বা ফসলি সন প্রবর্তন করেন ১৫৮৪ সালের ১০ মার্চ। ওই বছর হিজরি সন ছিল ৯৬৩। বাংলা সনকে ৯৬৩ ধরে তিনি বাংলা বর্ষপঞ্জি চালু করেন। তাই বাংলা সন ইসলাম, আরবি ও মুসলিম সংশ্লিষ্ট। মুশরিক, মূর্তি পূজকদের ঢোলবাদ্য, গানবাজনা, মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে এর কোনো রিশতা নেই। তারপরও কেন বাংলা নববর্ষকে হিন্দুয়ানি করা হচ্ছে? বর্তমানে নববর্ষের নামে যা হচ্ছে তা পুরোপুরি মুশরিকি, পৌত্তলিকতা, কুফরি এবং বৈদিক মতবাদে ভরপুর। দেশে সৃষ্টি হয়েছে এক বিশাল হিন্দুস্তানি দালাল বাহিনী। এই মতলববাজ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাজই হলো বাঙালি ও ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মাবরণে মুসলিম সভ্যতা-সংস্কৃতির মূলোৎপাটন।
প্রখ্যাত রাজনীতি বিশ্লেষক, কলামিস্ট গৌতম দাস যথার্থই বলেছেন, ‘ভারতীয় উপমহাদেশে যে সেক্যুলারিজম ধারণা পাওয়া যায় সেটা আসলে খাঁটি ইসলামবিদ্বেষ। ইসলামের বিরুদ্ধে এই ঘৃণা-বিদ্বেষকে আড়াল করতেই সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষবাদী শব্দটা ব্যবহার করা হয়’ (সূত্র : গৌতম দাস ডট কম, ফরেন অ্যাফেয়ার্সে ইসলামবিদ্বেষ শীর্ষক প্রবন্ধ)। ভারতীয় অর্থনীতিবিদ নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ড. অমর্ত্য সেন বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের উৎস হিন্দু ধর্ম। কেউ ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিশ্বাস করলে তাকে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে হবে। আর বিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে হিন্দুধর্মের প্রথায়’ (ড. অমর্ত্য সেন : দি আরগুমেন্টেটিভ অব ইন্ডিয়ান)।
বাংলাদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা জানে মঙ্গল, মঙ্গলঘট, মঙ্গলচÐী, মঙ্গলাবতার, মঙ্গলপ্রদীপ, মঙ্গল প্রার্থনা, মঙ্গল শোভাযাত্রা বেদান্ত, সনাতন ও হিন্দুত্ববাদের অনুষঙ্গ। ইসলাম, মুসলিম, তাওহিদ, আলেম উলামা, সাহাবি, নবী রাসূলের সংশ্লেষের বাইরে। প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী গোপাল হালদার বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি মুসলমান বিজেতাদের আত্মসাৎ করতে পারল না। তার কারণ মুসলমান ধর্ম সেই প্রয়াস ব্যর্থ করে দিল। ইসলামের একেশ^রবাদ ‘তত্তে¡র’ বেশি পরোয়া করে না, কোনো বিচার-বিশ্লেষণের সূ²তা সহ্য করে না। ইসলাম সেমিটিক গোষ্ঠীর ধর্মÑ তার হিসাবপত্রও সেই গোষ্ঠীর মতোই একেবারে পরিষ্কার। হিন্দু বলতে পারে ‘একমেবাদ্বিতীয়াং’ ‘সর্বখল্বিদ্বং’ ব্রহ্ম; আর এরপরে ব্যাখ্যা দ্বারা শুধু দ্বিতীয় কেনÑ গাছ, পাথর, পশু, মানুষ যে কোনো জিনিসকেই দৈব শক্তির আধার বলে পূজা করতে হিন্দুদের বাধে না। ইসলামে এরূপ তত্ত¡কথা গোঁজামিলের স্থান নেই। তেমনি কোনো তর্কেই ইসলাম মূর্তি উপাসনাও সহ্য করবে না। অথচ হিন্দুর জীবনের অনেকখানি জুড়িয়াই সেই মূর্তি, বিগ্রহ, মন্দির” (গোপাল হালদার: সংস্কৃতির রূপান্তর, পৃ. ১৭৯-১৮০)। কুলিন বর্ণহিন্দু সাহিত্যিক বুঝল, আর আমার দেশের মুসলিম নাগরিকরা কুরআন-সুন্নাহর বিধান বুঝল না। বড়ই আফসোস।
সুতরাং মঙ্গল শোভাযাত্রা যে হিন্দু মুশরিকদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান তাতে সন্দেহ করার কোনো অবকাশ নেই। এই হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের পালন করতে নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। অথচ সংবিধানের ধর্মীয় স্বাধীনতা অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ‘কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোনো ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাহাকে কোনো ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনালয়ে অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না’ (বাংলাদেশের সংবিধান : ৪১/২)। এক সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য দীনের অনুষ্ঠান করতে বাধ্য করা যাবে না। অথচ এ বছর থেকে তাই হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নববর্ষ উদযাপনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ইসলামী দলের জোট ‘ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি’ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ইসলামের আকিদা বিরোধী মূর্তি প্রত্যাহার ও প্রকাশ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আল্লাহর গজব নেমে আসবে। মূর্তি মানলে, মঙ্গল শোভাযাত্রা মানলে মুসলমানিত্ব থাকবে না। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি না সরালে মুসলমানরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবে না’ (দৈনিক ইত্তেফাক : ১ এপ্রিল ২০১৭)।
ইসলাম আল্লাহ মনোনীত দ্বীন। এখানে অন্য কোনো পূজা-অর্চনা বন্দেগির সুযোগ নেই। সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি, স্থিতিশীলতা, সফলতা, কল্যাণ, সুশাসন, ইনসাফ একমাত্র আল্লাহই দিতে পারেন। মঙ্গল শোভাযাত্রা, অগ্নিশিখা, মুখোশ, প্রতিকৃতি, দেবতা, জন্তু-জানোয়ারের ভাস্কর্য মানব জাতির কোনো উপকারে আসতে পারে না। আল কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “তারপর আমি তাদের দুঃখ-কষ্টকে সৌভাগ্যে পরিবর্তন করে দিই যতদিন না তারা প্রাচুর্যে ও সংখ্যায় সমৃদ্ধি লাভ করে এবং বলতে শুরু করে : আমাদের পূর্ব পুরুষেরাও তো দুঃখ ও সুখ ভোগ করেছে” (সুরা আল আরাফ : আয়াত ৯৪ ও ৯৫)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।