পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ওয়ান ইলেভেন প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেই সময় বিরাজনীতিকরণের যে লক্ষ্য হাসিলের জন্য মঞ্চের কুশীলবদের পেছন থেকে সহযোগী হিসেবে রাজনীতিবিদ যারা সে দিন সহযোগিতা করেছেন, আজ তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাজনীতিবিদরা যদি তাদের ভুল স্বীকার করেন তাহলে আমরা অনেক অবাঞ্ছিত সত্য উদঘাটন করতে পারবো। তিনি বলেন, রাজনীতিকদের সংযত হওয়া উচিত। আজকেও যদি কেউ আবার আরেকটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় যাদুঘরে ‘আমরা সূর্যমুখী’ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন : দেশ ও গণমানুষের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন পলিটিশিয়ানরা রাতের আঁধারে সামরিক মাজারে গোয়েন্দাদের সঙ্গে সহযোগিতায় শামিল হয়েছেন। ছোট ছোট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বড় বড় নেতৃবৃন্দ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। রাজনীতি যদি ঠিক হয়, রাজনীতিবিদরা যদি ঠিক থাকেন অন্তত নৈতিকতার প্রশ্নে- তাহলে অশুভ শক্তির যে কোন ষড়যন্ত্র বা পাঁয়তারা কোন দিনও সফল হবে না। রাজনীতি ঠিক হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, কারা কুশীলব, কারা কারিগর, কারা মঞ্চে, কারা নেপথ্যে তা একদিন বেরিয়ে আসবে। ওয়ান ইলেভেনের লক্ষ্য ছিলো মাইনাস টু ফর্মুলা অর্থাৎ বিরাজনীতিকরণ। বিরাজনীতিকরণ যখন উদ্দেশ্য তখন পলিটিশিয়ানরা কেন সেদিন সেখানে নেপথ্যে ছিলো?
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেন নিয়ে ২০০৯-এ একটা ঝড় উঠেছিলো। তুমুল আলোচনা, তুমুল বিতর্ক। এক সময় কোন ইঙ্গিতে সঙ্গীত থেমে গেছে আমি বলতে পারবো না। তখন দাবি উঠেছে, ওয়ান ইলেভেন কুশীলবদের বের করে আনতে হবে, তাদেরকে বিচার করতে হবে। সত্য একদিন বের হবেই। ওয়ান ইলেভেনের মতো ঘটনা-দুর্ঘটনা নিয়ে একদিন বাংলাদেশে গবেষণা হবেই।
তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তার একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, যা সত্য তা সবাই জানে। রাজনীতিতে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম-নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভুল করা, তাদের ব্যর্থতার জন্য আজকে তারা চমক দেয়ার জন্য মাঝে মাঝে ইতিহাসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। কিন্তু তারা একদিন ইতিহাসের চালুনির ছিদ্র দিয়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠাতা নায়ক, সেখানে জিয়াউর রহমান সাহেব একটা ফুটনোট হতে পারে। প্রতিষ্ঠাতা নায়কের সঙ্গে একজন ফুটনোটের তুলনা করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা হাসান ইমাম, সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উপহার দেয়া হয়। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে ওঠেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।