পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বাধার কারণে বিরোধী দলের যেসব প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, সেখানে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান এই দাবি জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের যদি ন্যূনতম স্বচ্ছতা থাকে, এবার তাদের একটা সুযোগ আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যারা নির্বাচনী অফিসে গিয়েছিলেন, সেই অফিস পর্যন্ত যারা পৌঁছতে পারেননি, সেই নির্বাচন নতুন করে করা হোক। আমরা দাবি করছি, যেসব জায়গায় যারা (ক্ষমতাসীন) জোর করে একক প্রার্থী হয়েছেন, সেই প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন নিজস্ব ক্ষমতা দিয়ে নতুন করে সেখানে নির্বাচন করার জন্য প্রক্রিয়া করুক। তাহলে প্রমাণিত হবে, অতীতে তারা (নির্বাচন কমিশন) যে দুষ্কর্ম করেছে, সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করেছে, সেই জায়গা থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করার একটা সুযোগও এটা বটে এবং সেই সুযোগ তারা গ্রহণ করুক।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে মহানগর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিসব উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের শহীদ জিয়াউর রহমান ও আজকে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
দলের জাতীয় কাউন্সিলের স্থান অনুমতি না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমাদের জাতীয় কাউন্সিল করার জন্য ১৯ মার্চ যে তারিখ আমরা নির্ধারণ করছি, আমরা দেখছি, এখন পর্যন্ত আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে সরকার স্থান দিচ্ছে না। না দেয়ার কারণ তাদের (সরকার) মধ্যে ভয়। ভয়টা এই জায়গা যে প্রচার করবে না, কিন্তু বিএনপি যে কাউন্সিল করবে, সেই জায়গায় সারা দেশ থেকে লাখ লাখ দর্শক-ডেলিগেট এসে এই কাউন্সিল দেখবে। এই উপলব্ধি থেকে তারা মনে করছে, এটা একটা ভীতির কারণ। যেখানে বিএনপির নেতা-কর্মী, সেখানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি, এই মানুষকে সরকার ভয় পায়।
জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পেতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহবানও জানান তিনি।
গণমাধ্যমের ওপর সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে অভিযোগ করে গতকাল (সোমবার) সংসদে দু’টি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন আব্দুল্লাহ আল নোমান।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারÑ এই দুই সম্পাদকের সাথে তাদের বেশ খাতির ছিল। হঠাৎ করে এই সম্পর্কে জেদ পড়ল কেন, আমরা তা বুঝতে পারছি না। আমরা বলতে চাই, ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন বক্তব্য থাকতে পারে, তবে সেখানে আইনও আছে, সে আইন দিয়ে ভিন্নমতকে যদি বেআইনি মনে হয়, তাহলে তার বিচার হতে পারে। কিন্তু আজকে এগুলো বলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা, সাংবাদিকদের ইচ্ছায় লিখায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার যে একটা অপচেষ্টা পরোক্ষভাবে জনগণকে দমানো। সংবাদপত্রের মাধ্যমে যে বাস্তব অবস্থাটা জনগণ জানছে, সেটাকে খবরদারির মধ্য দিয়ে স্তব্ধ করে দেয়ার একটা অপচেষ্টা আগে থেকে শুরু হয়েছে, এটা এখন খোলামেলা যা আজ স্পষ্টভাবে সবাই উপলব্ধি করছে। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার সপক্ষে আমাদের অবস্থান আছে ও থাকবে।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক এমপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, কল্যাণ পার্টির সহসভাপতি শাহিদুর রহমান তামান্না, এনডিপির সভাপতিম-লীর সদস্য মঞ্জুর হোসেন ঈসা, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মো: আনোয়ার হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।