Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানকে দুদকের অব্যাহতি

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা। রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে নুরুল হুদা তার স্ত্রী ওয়াহিদা হুদার নামে ৫ কাঠার প্লট বরাদ্দ দিয়েছিলেন। পরে দুদকের মামলা থেকে রক্ষা পেতে অবশেষে এ প্লট রাউজককে ফেরত দিয়ে অব্যাহতি পেলেন নুরুল হুদা। এর আগে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দুদকের দায়মুক্তি পেয়েছিলেন রাজউকের সাবেক এই চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অভিযোগ থেকে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদাকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মো. নূরুল হুদার বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়া অভিযোগ নথিভুক্তির (অব্যাহতি) মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। (যার স্মারক নং-দুদক/ বি: অনু: ও তদন্ত-২/৩৫-২০১৪)। দুদকের অনুসন্ধান চলাকালীন রাজউককে দেওয়া এক আবেদনে হুদার স্ত্রী ওয়াহিদা উল্লেখ করেন, আমার স্বামীকে যাতে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয়, সেজন্য প্লটটি রাজউক বরাবর সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাজধানীতে নিজের প্লট থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক প্লট নেওয়ার অভিযোগে নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে নুরুল হুদা রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৩ নম্বর রোডে ১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ নেন। এ সময় স্ত্রী ওয়াহিদা হুদার নামে একই প্রকল্পের সেক্টর-৫, রোড-৩০৯, প্লট-৪৯ নম্বরে পাঁচ কাঠার আরেকটি প্লট বরাদ্দ নেন। সেখানে স্ত্রীকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ‘মূল অধিবাসী’ ও ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দেখানো হয়। এ ছাড়া নুরুল হুদা দম্পতির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায়ও প্লট রয়েছে। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান শুরু করার পর কৌশলের আশ্রয় নেন নুরুল হুদা। প্লট ফেরত দেওয়ার জন্য একাধিক আবেদন করেন নুরুল হুদার স্ত্রী। আবেদনপত্রে ওয়াহিদা হুদা বলেন, ‘রাজউকের প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসারে পূর্বাচল প্রকল্পের মূল অধিবাসী হিসেবে ঘর-বাড়িসহ জমিতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁরা (স্বামী-স্ত্রী উভয়েই) প্লট বরাদ্দ পাওয়ার কথা। আমিও অনুরূপভাবে জমি ও বাড়ির বিনিময়ে মূল অধিবাসী হিসেবে প্লটের বরাদ্দ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচলিত বিধি-বিধানের কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে আমি মনে করি। তারপরও বরাদ্দকৃত প্লটের ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচলিত বিধি-বিধানের কোনোরূপ ব্যত্যয় হয়ে থাকলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির স্বার্থে আমাকে পুরো বিষয়টি অবহিত করলে আমি রাজউক বরাবর প্লটটি সমর্পণ করতে প্রস্তুত আছি।’ এরপর গত বছরের ২৫ নভেম্বর আরেক আবেদনপত্রে প্লটটি সমর্পণ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান ওয়াহিদা হুদা। এরপর গত ৬ ডিসেম্বর তাঁর প্লট ফেরত দেওয়ার আবেদনটি গ্রহণ করে রাজউক কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে রাজউক কর্তৃপক্ষ পূর্বাচলে ওয়াহিদা হুদার প্লটটি বুঝে পেয়েছে বলে দুদককে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানকে দুদকের অব্যাহতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ