পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ টি এম রফিক, খুলনা থেকে : জেলা পুলিশ খুলনার ৫৯৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪২৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে। ২২ মার্চ খুলনা জেলার ৯ উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৭১ শতাংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিটি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১০ জন করে পুলিশ চাইলেন থানার অফিসার ইনচার্জরা। ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী থাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে পুলিশ।
খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পরপরই দলীয় মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে। আজ প্রত্যাহার এবং আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ শেষে পুরোপুরি নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করবে। জেলা পুলিশের সূত্র জানায়, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।
সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, দক্ষিণ বেদকাশি ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে দু’টি করে, উত্তর বেদকাশি ও মহারাজপুর ইউনিয়নে একটি করে কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য এসআইয়ের নেতৃত্বে ৯ জন করে পুলিশ বরাদ্দের জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জানিয়েছে।
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম জানান, দামোদর, জামিরা ও ফুলতলা ইউনিয়নে ১৫টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে শনাক্ত করেছি। এসব কেন্দ্রে উত্তেজনা হতে পারে।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম জানান, ১৪টি ইউনিয়নের ৭৮ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন ও শোভনা ইউনিয়ন শীর্ষে রয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিনি পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশরাফ হোসেন জানান, উপজেলার ১০০ কেন্দ্রের মধ্যে ৬৯টিই ঝুঁকিপূর্ণ। এ তালিকায় হরিঢালি, কপিলমুনি, গদাইপুর ও চাঁদখালি ইউনিয়ন শীর্ষে রয়েছে। কেন্দ্রে নাশকতা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে তিনি জানান। ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন করে পুলিশ বরাদ্দের দাবি করেছেন তিনিও।
জেলা পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য প্রাথমিকভাবে একজন এসআই ও তিনজন সিপাহি বরাদ্দ করা হয়েছে। সাথে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর বেশি পুলিশ মোতায়েনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।