পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : দু’টি গরু বিক্রি ও ঋণ করে ওমানে যাওয়ার টাকা যোগাড় করতি হইছে। নভেম্বর মাসে ওমানে গেছিলাম। কথা ছিল সেখানে ইলেকট্রিক কাজ করতি হবে। মাসে বেতন দেবে ৪২ হাজার টাকা। কিন্তু বেতন ধরা হইছে মাত্র ২১ হাজার টাকা। সেখানে যাওয়ার পর পাথর টানার কাজ করতি হইছে। পাথর টানতি টানতি হাতের তলা শক্ত হয়ে গেছে। এত কষ্ট সহ্য করতি না পাইরে কাউরে না কয়ে নিজ দেশে চলে আসি। আদম ব্যাপারী খুলনা শহর দিয়ে চলাচল করলিও কেউ তাকে কিছু বলতি সাহস পায় না। তাকে কিছু বললি মেরে ফেলার হুমকি দেয়। চরম ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে একনাগাড়ে এ সব কথা বলেন বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা গ্রামের পীর আলী খানের ছেলে ইলেকট্রিশিয়ান মো. হারুনার রশীদ খান।
প্রায় একমাস কাজ করার পর বেতন না পেয়ে কাউকে না জানিয়ে নিজ দেশে চলে আসেন তিনি। গত সোমবার এ ব্যাপারে তিনি বটিয়াঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে না নিয়ে অজ্ঞাত কারণে রয়েছে নীরব। সংশ্লিষ্ট থানার ওসির সাথে তিনবার দেখা করেও কোনো কাজ হয়নি। বর্তমানে বিচারের আশায় তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রতারণার শিকার হারুন। আরেক ভুক্তভোগী ডুমুরিয়া উপজেলার মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগমও ওমানে যান একই ব্যক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে। তাকে পাঠানো হয় ওমান প্রবাসী ইউসুফের মামাতো ভাই আহাদুল গাজীর কাছে।
তাসলিমার স্বামী জানান, আহাদুল গাজী তার স্ত্রীকে প্রথমে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন এক মালিকের কাছে। পরে তাকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয় আর এক মালিকের কাছে। একমাস পর তাসলিমাও কৌশলে দেশে চলে আসেন। বর্তমানে তাসলিমার পরিবার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একইভাবে ইউসুফের প্রতারণার শিকার হয়েছেন খুলনা জেলার আরও সাত নর-নারী। এরা হলেন-হেলেনা বেগম, সালমা আক্তার, নাহার বেগম, ফাতেমা, লিপি আক্তার, মাহাবুর রহমান ও জাহাঙ্গীর শেখ। এরা ২৯ নভেম্বর ওমানে যান এবং ডিসেম্বরে নিজ দেশে ফিরে আসেন। ইউসুফ শেখের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। বটিয়াঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। উভয় পক্ষকে ডাকা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।