পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাবি সংবাদদাতা : দু’দশ টাকা নয় পুরো একলাখ টাকা পেয়ে তার মালিককে খুঁজে বের করে তা ফিরিয়ে দিয়ে সততার আরেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী সুমি খাতুন। তার এমন সততার ব্যাপারটি শুধু ক্যাম্পাস নয় নগরজুড়েই আলোচনা হচ্ছে। অনিয়ম-দুর্নীতি যেখানে স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সমাজে লাখ টাকা কুড়িয়ে পেয়ে মালিককে খুঁজে বের করে কেউ ফেরত দিবেন এটা কল্পনা করা এখন কষ্টকর হলেও সমাজ যে এখনো পচে যায়নি। এখনো ভালো মানুষ আছে বলেই এমন সততার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিল।
জানা যায়, সুমি গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী। গত বুধবার সকালে আবাসিক হল থেকে সাহেব বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়। বাজারে পৌঁছে সমবায় মার্কেটে কেনাকাটা করার পর আর ডি মার্কেটে উষা ফ্যাশনের দোকানে যান। তার হাতে পূর্বের কেনাকাটার কিছু ব্যাগ ছিল। সে ব্যাগ গুলো উষা ফ্যাশনে রাখে। ব্যাগগুলি তাকে ফেরত দেয়ার সময় ভুলক্রমে এক লক্ষ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ দিয়েছিলেন দোকানের কর্মচারীরা।
জানতে চাইলে সুমি জানান, আমার বান্ধবীর ছেলের পোশাক ক্রয় করতে বাজারে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করার পর উষা ফ্যাশনের দোকানে যাই। পূর্বের কেনাকাটার ব্যাগগুলো দোকানে রাখি। পোশাক কেনা শেষে ওই ব্যাগগুলোর সাথে ভুলক্রমে তাদের এক লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগটি আমাকে দিয়ে দেয়।
পরে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে তার ছেলের পোশাক বের করতে গিয়ে দেখি ব্যাগে এক লক্ষ টাকা। দোকানের ব্যাগে যে মোবাইল নম্বর ছিল সে নাম্বারে ফোন করে তাদের গণিত বিভাগের অফিসে আসতে বলি। প্রমাণ সাপেক্ষে টাকার প্রকৃত মালিক উষা ফ্যাশানের আশরাফুল আলমকে গতকাল সকালে গণিত বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তা ফেরত দিয়েছি। এ ব্যাপারে উষা ফ্যাশনের মালিক সেতু বলেন, ‘সততার পরিচয় দিয়ে টাকা ফেরত দেয়ায় আমি সুমির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।