পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরু হত্যা মামলার তদন্ত করবে না পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠায় বিব্রতবোধ করছে পুলিশ কর্মকর্তারা।
আর এজন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি অথবা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে দিয়ে মামলাটি তদন্ত করাতে চায় জেলা পুলিশ। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গতকাল (সোমবার) জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দফতরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে বাসা থেকে হাতকড়া পরিয়ে আটক করার পর গুলি করে হত্যার ৫দিন পর মামলার তদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করল পুলিশ।
গত বুধবার মধ্যরাতে নগরীর চন্দনপুরার বাসা থেকে নুরুল আলম নুরুকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। নুরুর পরিবারের অভিযোগ রাউজান থানার নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জাবেদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ নুরুকে হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে গেছে। পরদিন সকালে রাউজানের বাগোয়ানে কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে নুরুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ নুরুকে পুলিশ তুলে নিয়ে নির্যাতন শেষে গুলি করে হত্যা করেছে। এমন অভিযোগ করলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করছে। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলেও এখনও পর্যন্ত মামলার তদন্তও শুরু হয়নি। আলোচিত এ হত্যাকাÐের ৫দিন পর জেলা পুলিশ মামলাটি তদন্তে সিআইডি কিংবা পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়ার অনুরোধ করেছে পুলিশ সদর দফতরে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, যেহেতু নিহতের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সেহেতু জেলা পুলিশ এ মামলার তদন্ত করবে না। তিনি বলেন, পুলিশ বা ডিবি পরিচয় দিয়ে কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক আমরাও চাই। নিহতের পরিবারকে পুলিশ মামলা দিতে বলেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা মামলা করেনি। গণমাধ্যমে দেখেছি তারা এ ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করছে।
পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার প্রসঙ্গে এসপি বলেন, হত্যাকাÐের পর যেহেতু সিআরপিসি অনুযায়ী ওসির কাছে মামলা করতে হয় সেজন্য সুরতহালকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তবে পরিবার চাইলে আদালতে মামলা করতে পারে বলে জানান পুলিশ সুপার।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দিন মাহমুদ ইনকিলাবকে জানান, আলোচিত মামলাটির তদন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দফতরে গতকালই পত্র পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে মামলার তদন্ত দ্রæত সময়ে হস্তান্তর করা হবে।
রাউজান থানার ওসি কেফায়েত উল্লাহ বলেন, শুক্রবার মামলা হওয়ার পর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এস আই মহসিন রেজাকে। মামলা তদন্ত চলছে তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। হত্যাকাÐের রহস্য সম্পর্কেও স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি।
এদিকে নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।