পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউইয়র্ক থেকে এনা : বাল্যবিবাহে বাধ্য করতে পরিবারের প্রচেষ্টাকে রুখে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উইমেন অব কারেজ পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশী তরুণী শারমিন আখতার। গত ২৯ মার্চ বুধবার সকালে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করে শারমিন আখতার। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারী থমাস শ্যানোন উপস্থিত ছিলেন।
সারা বিশ্বে শান্তি, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে কাজ করার স্বীকৃতি হিসাবে ১৩ জন নারীকে এবার এ পুরস্কার দেয়া হয়।
পুরস্কার দেয়ার সময় ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প বলেন, এখানে যারা আমার সঙ্গে মঞ্চে রয়েছেন তারা সবাই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছেন। লড়ছেন অন্যের অধিকারের জন্যও। তারা জেল-জরিমানা এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন।
২০০৭ সাল থেকে উইমেন অব কারেজ পুরস্কার শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশের ১০০ জন নারীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
বাল্য বিবাহের বিপক্ষে অবস্থানকারী এবং বাবা-মার অন্যায়ের প্রতিবাদকারী এই পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশী শারমিন আখতার রাজাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। লেখাপড়া শেষ করে সে আইনজীবী হতে চায়।
শারমিন আখতার ছাড়াও এ বছর এই পুরস্কার পেয়েছেন বতসোয়নার মালেবোগো মালেফে, কলম্বিয়ার নাতালিয়া পংক দে লিওন, ডেমক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রেবেকা কাবুঘো, ইরাকের জান্নাত আল ঘেজি, নাইজেরিয়ার মেজর আইচাতো ইসাকা উসমান, পাপুয়া নিউগিনির ভেরোনিকা সিমোগুন, পেরুর সিন্ডি আরলেত্তে কন্টোরাস বাতিস্তা, শ্রীলংকার সান্দিয়া একনেলিগোদা, সিরিয়ার সিস্টার ক্যারোলিন তাহান ফ্যাচাখ, তুরস্কের সাদেত ওজকান এবং ভিয়েতনামের নাগুয়েন নগোট নু কুইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।