পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নিকলী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওড় অধ্যুষিত অঞ্চল নিকলী উপজেলার এক সময়ের বোরো ধান ছিল এ এলাকার প্রধান অর্থকরী ফসল। বর্তমান সময়ে ধান চাষ আবাদে কৃষক লাভবান না হওয়ায়। কৃষকরা ঝুঁকছে মরিচসহ নানা ধরনের সবজি আবাদে। এবার নিকলী উপজেলায় মরিচের বাম্পার ফলন ফলেছে। এ এলাকার কৃষকের মনে করে মরিচ চাষে তাদের ভাগ্য বদলে দিবে। মরিচ বিক্রি করে বাড়তি অর্থে কৃষক পরিবারের জীবনে ভরে উঠেছে স্বাচ্ছন্দ্য। অনেক কৃষক পরিবারে দিন দিন মরিচ চাষে তাদের খরচ মিটিয়ে সঞ্চয় করতে পারছে। সম্প্রতি উপজেলার নানশ্রী, টেংগুরিয়া, আলিয়াপাড়া, ধামপাড়া, জালালপুর, কুর্শা, পুড্ডা, গোড়াদিঘাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে পাকা লাল দেশী ও বিদেশী মরিচ তোলা হচ্ছে। মরিচ তোলার কাজ করতে দেখা যায় বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ ও শিশুরা। চুক্তিতে তারা এসব কাজ করে থাকে। এমন এক নারী শ্রমিক আলিয়াপাড়া গ্রামের আয়শা বেগম (৫৫) এ বিষয়ে তার সাথে কথা হলে, এ প্রতিনিধিকে জানায় আমরা বৃদ্ধা মানুষ অন্য কোন কাজ করতে পারি না। প্রতি বৎসর এ মৌষুমে ২০ কেজি বস্তা ৫০ টাকা বা প্রতি মণে ৬ কেজি মরিচের বিনিময়ে আমরা কাজ করি। এখন চলছে কৃষকের বাড়ীর উঠান, রাস্তার পাশে, খলায় মরিচ শুকানোর কাজ। প্রান্তিক চাষীরা হাঁটবাজারে শুকনা মরিচ বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে। কৃষক কৃষাণীদের সাথে কথা বলে জানা যায় শীতের মৌষম ডিসেম্বরের শুরুতে তাদের জমিতে মরিচ চাষ করে। চার মাসের কম সময়ে তাদের জমিতে মরিচের ফলন আসে এবং চৈত্র মাসের শুরুতে জমি থেকে পাকা আধা পাকা লাল মরিচ জমি থেকে উত্তোলন শুরু করে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সব জাতের মরিচের ফসল ঘরে তুলে আনে কৃষক। হাওড় ঘুরে দেখা যায় নিকলীতে এবার দেশী জাতের বালুজুরি মরিচ মাঠে আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশী। কৃষকরা মনে করে বিগত বৎসরের তুলনায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন ফলেছে। অতীতে তুলনায় বাজারে মরিচের দাম ও ভাল। ইতিমধ্যে এলাকার হাঁটবাজারে প্রাণ মসলা কোম্পানীসহ বিভিন্ন মসলা কোম্পানীর ব্যাপারীরা আসতে শুরু করেছে। মরিচের চাষের লাভবান হওয়ায় ধানের পরিবর্তে মরিচ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে এ এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা। টেংগুরিয়া গ্রামের কৃষক শান্তি রহমানের সাথে মরিচ বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হলে, তিনি জানান, ২৬ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করে চার মণ লাল মরিচ উৎপাদন করে, তিনি ২২ হাজার ৫ শত টাকা বিক্রয় করেন। একই জমি থেকে ৮ মণ কাঁচা মরিচ ৮ হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন। মরিচ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুণ অর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান এ মৌসুমে ২৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল, কিন্তু আবাদ হয়েছে ৩২০ হেক্টর জমিতে। অফিসের পরামর্শ নিয়ে কৃষকেরা মরিচ চাষ করায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।