ইনকিলাব ডেস্ক : আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ১৯ লাখ ৭৮ হাজার কোটি রুপির বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। গতকাল সোমবার ভারতের লোকসভায় এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, আনন্দবাজারসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা নেয়ার পর এটা হচ্ছে এ সরকারের তৃতীয় বাজেট ঘোষণা। ৭.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। বাজেটে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৪ শতাংশ।
বাজেটের নজরকাড়া অংশের মধ্য রয়েছেÑ তামাকের উপর কর ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ; কর নিয়ে বিবাদ এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা; পেট্রোল, ডিজেল কেনার উপর নতুন সেস; লেনদেনের উপর নতুন সেস; ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য কর ছাড়; ১০ লাখ রুপির উপরে গাড়ি কেনার উপর নতুন কর; ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত প্রথম গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের উপর বিশেষ ছাড়; ৬০ বছরের পর পেনশন তহবিল থেকে তোলা অর্থের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত করমুক্ত; নতুন উৎপাদন সংস্থার জন্য সহজ কর ব্যবস্থার ঘোষণা; বার্ষিক ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত আয়ে কর ছাড় বাড়ল; বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সমঝোরা বাড়াতে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রকল্পের ঘোষণা; সরকারী ব্যাঙ্কে ২৫ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ, দরকারে আরও টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি; পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে; খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ করার চেষ্টা; নতুন গ্যাস এবং পেট্রোক্ষেত্রের অনুসন্ধানে বিশেষ উৎসাহ প্রকল্পের কথা ঘোষণা; সড়ক প্রকল্পে ৫৫ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করা হবে; প্রধানমন্ত্রী ঔষধি যোজনায় ৩০০০ ড্রাগ স্টোর গড়ে তোলা হবে; স্বচ্ছ ভারত অভিয়ানে ৯০০০ কোটি রুপি বরাদ্দ; তফসিলি জাতি ও উপজাতিদেরর মধ্যে ব্যবসায় উৎসাহ বাড়াতে বিশেষ প্রকল্প; গ্রামীণ নারীদের জন্য বিশেষ এলপিসি প্রকল্প চালু করা হবে; দীর্ঘমেয়াদী সেচ উন্নয়নে জোর দিচ্ছে সরকার; কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ ৩৫, ৯৮৪ কোটি রুপি; ডায়ালিসিস যন্ত্রে বিশেষ কর ছাড় দেয়া হবে; ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের সব গ্রামে বিদ্যুৎ; ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য; কৃষিতে গুরুত্ব। সামাজিক ক্ষেত্রে আরও লগ্নি; বিশ্ব বাজারের অবস্থা আরও খারাপ হবে। তাই আমাদের দেশের বাজারকে শক্তিশালী করতে হবে। কর ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে; বিশ্ব বাজারে মন্দার মধ্যেও ভারতীয় অর্থনীতি মজবুত, বৃদ্ধির হার বেড়ে ৭.৬ শতাংশ।