বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মহিউদ্দিন খান মোহন : গঠনতান্ত্রিক বিধান অনুযায়ী বিএনপি’র পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ২০১৯ সালের ১৯ মার্চের মধ্যে। কেননা, দলটির গঠনতন্ত্রে তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। সে হিসেবে গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর নতুন কমিটির মেয়াদের এক তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই দেশের রাজনীতি সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে- এ সময়ের মধ্যে দলটি কতটা সংগঠিত হতে পেরেছে বা সামনের দিকে কতটুকু পথ এগোতে পেরেছে। বলে নেয়া দরকার মনে করছি যে, জনমনে সৃষ্ট এ ঔৎসুক্য অসঙ্গত নয়। কেননা, যারা এ দলটিকে পছন্দ করেন, সমর্থন করেন এবং চান বাংলাদেশ এ দলটির দ্বারা পরিচালিত হোক, তারা সবসময় এর ভালো মন্দের খোঁজ-খবর রাখতে চান। ফলে বিএনপি এর সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের মনে আশার আলো কতটা জ্বালতে সক্ষম হয়েছে বা তাদের প্রত্যাশা পূরণে কতটা সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে সে হিসাব তারা কষতেই পারেন। পাশাপাশি দলটির হোঁচট খাওয়া, ব্যর্থতা, অভ্যন্তরীণ সমস্যাদি নিয়ে সমালোচনা করার অধিকারও তাদের রয়েছে বলে আমি মনে করি। তবে, সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের সেসব সমালোচনাকে বিএনপি কীভাবে গ্রহণ করে বা করবে সেটা একটি বড়ো প্রশ্ন। অবশ্য এটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট যে, শুভ্যার্থীদের গঠনমূলক সমালোচনা দলটির ওপর লেভেলের নেতারা খুব একটা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তারা বলতে চান, দলটির ‘দুঃসময়ে’ এসব সমালোচনা দলটিকে অধিকত দুর্বল করে দিতে পারে।
বিএনপি’র কতিপয় নেতা-কর্মী যাই ভাবুন বা বলুন না কেন, ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর গত এক বছরে দলটি যে এক কদমও সামনে এগোতে পারেনি সেটা বলা অসঙ্গত হবে না। কেননা, গত বছরের ১৯ মার্চের কাউন্সিলের আগে পরে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা যেসব কথা বলেছিলেন, পরবর্তীতে সেগুলোর বাস্তব প্রতিফলন কাজকর্মে দেখা যায়নি। কেউ বলেছিলেন- ‘ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়াবে’ আবার কেউ বলেছিলেন ‘এবার বিএনপির নতুন যুগের সূচনা হবে।’ আর পর্যবেক্ষকরা মন্তব্য করেছিলেন- ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু বাস্তবে তা হতে দেখা যায়নি। কেন হয়নি সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। মূলত যে স্থবিরতা বিএনপিকে বেশ কয়েক বছর ধরে গ্রাস করেছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারায় দলটির নেতা কর্মী সমর্থকরা ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছেন। বিএনপি নেতৃত্ব তা স্বীকার না করলেও বাস্তবতা এটাই।
ষষ্ঠ কাউন্সিলের এক বছর পূর্তির দিন গত ১৯ মার্চ ২০১৭ বেশ কয়েকটি দৈনিক বিএনপিকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেসব প্রতিবেদনে গত এক বছরে দলটির যে পারফর্মেন্স তুলে ধরা হয়েছে তা কোনোভাবেই আশাব্যঞ্জক নয়। প্রায় প্রতিটি দৈনিক দলটির একই চিত্র তুলে ধরেছে। তারমধ্যে রয়েছে- কাউন্সিলে গৃহীত ও অনুমোদিত হওয়ার পর এক বছরেও দলের গঠনতন্ত্র মুদ্রিত না হওয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করা, এক নেতার এক পদ নীতি বাস্তবায়িত না হওয়া, মন্ত্রণালয়ভিত্তিক উপ-কমিটি গঠন না হওয়া, জেলা সম্মেলন সম্পন্ন না হওয়া ইত্যাদি। একটি রাজনৈতিক দলের জন্য যেসব কাজ অপরিহার্য এবং দ্রæত সম্পন্ন করা জরুরি, সে কাজগুলো বিএনপিতে কেন যেন প্রধান্য পাচ্ছে না এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে একটি গা ছাড়া ভাব লক্ষণীয়। গত কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এক বছরেও গঠনতন্ত্র কেন বই আকারে ছাপানো হয়নি- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একটি পত্রিকাকে বলেছেন-‘গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির সদস্য হিসেবে যতটুকু দায়িত্ব ছিল তা করেছি। ছাপা হয়েছে কি না জানি না।’ দলের গঠনতন্ত্রের হাল-হকিকত সম্পর্কে সে দলেরই শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা যখন এমন ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ ধরনের মন্তব্য করেন, তখন দলটির অভ্যন্তরের অগোছালো পরিবেশের বিষয়টি আর অপ্রকাশিত থাকে না। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে- সংশোধিত গঠনতন্ত্র ছাড়া দলটির সাংগঠনিক কর্মকাÐ চলছে কি করে!
প্রতিক‚ল পরিস্থিতির মধ্যেও একটি সাড়া জাগানো কাউন্সিল করেছিল বিএনপি। তৃণমূল পর্যায়ে অনেকেই মনে করেছিলেন- এরপর হয়তো বিএনপি গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে। কিন্তু গত এক বছরের চিত্র সে কথা বলে না। বরং গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা দূরের কথা, বিএনপি এখনো আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসতে পেরেছে বলে মনে হয় না। তৃণমূল পর্যায়ের পুনর্গঠন পরের কথা, দলটি জাতীয় নির্বাহীকমিটিই এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। এখনো জাতীয় স্থায়ী কমিটির তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য রয়েছে কয়েকটি সম্পাদকীয় পদ। দলটির একজন দফতর সম্পাদক পর্যন্ত নেই। যিনি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তিনিই পালন করছেন দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব। ‘এক নেতা এক পদ’ সিদ্ধান্ত এখনো মুখের বুলিই রয়ে গেছে। কাগজ-কলমেও বাস্তবায়িত হয়নি (কারণ গঠনতন্ত্র ছাপা হয়নি)। শোনা যায়, এ নীতিটি বাস্তবায়নে শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেরই প্রবল অনীহা রয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও ‘অতিরিক্ত’ দায়িত্ব পালনের উছিলায় দলের কেন্দ্রীয় দফতর এবং সারা দেশের কমিটি গঠন ও পরিচালনায় খবরদারির ক্ষমতার অবসান ঘটতে পারে। এ আশংকায় দলের গঠনতন্ত্র ছাপানোর কাজে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে নেতাকর্মীদের ধারণা।
ঘোষিত গঠনতন্ত্র মোতাবেক বছরে অন্তত দুইবার জাতীয় নির্বাহী কমিটর বৈঠক করার কথা। কিন্তু কাউন্সিলের এক বছর এবং কমিটি ঘোষণার সাত মাস অতিক্রান্ত হলেও কোন বৈঠক ডাকা হয়নি। গত ফেব্রæয়ারি মাসে ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে চেয়ারপার্সন বৈঠক করেছিলেন। সেসব বৈঠকেও সবাই উপস্থিত ছিলেন না। অন্যদিকে তৃণমূল পুনর্গঠনের কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ ক’বছর ধরেই। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা সম্মেলন শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। পরে তা বর্ধিত করা হয়। অবাক কাÐ হলো মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি দিয়েই জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার পর এক বছর পার হলেও জেলা কমিটি পুনর্গঠনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৪/২৫ টির পুনর্গঠন করা হয়েছে। তাও অধিকাংশই আংশিক। কোনো কোনোটি পাঁচ সদস্যের সুপার ফাইভ কমিটি। একটি জেলারও পুর্ণাঙ্গ কমিটি এখন পর্যন্ত গঠন করতে পারেনি তারা। আবার এসব কমিটির নব্বই শতাংশ হয়েছে কোনো রকম কাউন্সিল অধিবেশন কিংবা ভোটাভুটি ছাড়া। ঢাকায় বসে প্রভাবশালী নেতাদের ইচ্ছানুযায়ী তাদের পছন্দের লোকদের জায়গা করে দেয়া হয়েছে ওইসব কমিটিতে। পত্র-পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রায় নিয়মিত খবর বেরুচ্ছে। সারা দেশের জেলা কমিটি গঠন কবে সম্পন্ন হবে কেউ বলতে পারে না। যদিও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলছেন-‘সামগ্রিকভাবে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাÐ পুরোদমে চলছে। জেলা কমিটি পুনর্গঠন প্রায় ৫০ ভাগ হয়ে গেছে’ (প্রথম আপলো, ১৯ মার্চ ২০১৭)। কিন্তু যে গতিতে জেলা কমিটি পুনর্গঠন চলছে তাতে আগামী তিন বছরেও তা সম্পন্ন হবে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই এও বলছেন যে, দেশের ৭৫টি জেলা কমিটি পুনর্গঠন যেদিন শেষ হবে, সেদিন দেখা যাবে এক তৃতীয়াংশ কমিটির মেয়াদ আবারও শেষ হয়ে গেছে। বিএনপি যদি তাদের গঠনতান্ত্রিক রীতি নীতির অনুসরণ করে নির্ধারিত সময়ে সপ্তম জাতীয় কাউন্সিল করে, (যদিও সে সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ) তাহলে আবারো তাদেরকে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি নিয়েই সে কাউন্সিল করতে হবে।
অনেকেই বলেন যে, বিএনপি বোধকরি কোনো একটি গোলক ধাঁ ধাঁ’র চক্করে পড়ে গেছে। বাইরে থেকে যতটুকু দেখা যায় তাতে এ অনুমান অসঙ্গত বলে মনে হয় না। দলটির মধ্যে আগের সে কর্মচাঞ্চল্য নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ‘এমনি এমনি যায় যত দিন’ ধরনের একটা ভাব। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য, জনসম্পৃক্ত করার জন্য যে ধরনের উদ্যোগ আয়োজন দরকার তা দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন, প্রেসক্লাব, ডিআরইউতে আলোচনা সভা, আর দলীয় কার্যালয়ে প্রাত্যহিক প্রেস ব্রিফিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ বিএনপি’র দলীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডÐ!
এদিকে গণসংগঠন হিসেবে বিএনপি’র এখন কী করা উচিত তা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দলটির শুভানুধ্যায়ী কয়েকজন বুদ্ধিজীবী। গত ১৩ মার্চ চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যা নানা মাধ্যমে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছেন- ‘গুলশান কার্যালয়ের এই নিজস্ব অন্তরীণ অবস্থা থেকে তাকে বের হয়ে জনগণের কাতারে শামিল হতে হবে।’
বিএনপি ঘরানার ওই বুদ্ধিজীবী যে কথাটি বলেছেন তার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। প্রকৃতই বিএনপি এখন গুলশান কার্যালয়ে অন্তরীণ অবস্থায় আছে। পাশাপাশি নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আছে বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পদ ক্রয় বিক্রয় হয় এমন অভিযোগ প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমের সেসব প্রতিবেদনে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের অভিযোগেরও উল্লেখ থাকে। কিন্তু সেসব অভিযোগ দলটির নীতি নির্ধারক ও শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে বলে মনে হয় না। যদি তা হতো তাহলে অনেক আগেই অনেক অনিয়মের অবসান ঘটতো, দলটিও হাঁটুভাঙা অবস্থা থেকে অন্তত উঠে দাঁড়াতে পারত।
গত বছরের আগস্ট মাসে বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর পরই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন। তার সে খোলা চিঠি নিয়ে সে সময় বেশ আলোচনা হয়েছিল। বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ থাকার পরও কেন তিনি গণমাধ্যমে তাকে উদ্দেশ্য করে খোলা চিঠি লিখলেন সে প্রশ্নও উঠেছিল। যদিও সে প্রশ্নের কোনো জবাব ডা. চৌধুরী দেননি। অনেকে মনে করেন তিনি যেসব পরামর্শ বেগম জিয়াকে দিতে চেয়েছেন সে সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করে রাখতেই এ পথ বেছে নিয়েছিলেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার কারণে সে খোলা চিঠি সম্বন্ধে আমরা সবাই জ্ঞাত। সে চিঠি প্রকাশের পর সাত মাস পার হয়ে গেছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কোনো একটি পরামর্শ বিএনপি চেয়ারপার্সন গ্রহণ করেছেন, কিংবা তদানুযায়ী কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নিয়েছেন এমন খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। হতে পারে বেগম জিয়া সে খোলা চিঠির কথা বিস্মৃত হয়েছেন অথবা ওই চিঠি সম্পর্কে তাকে ভিন্নরূপে বোঝানো হয়েছে! ওই সময় সে চিঠি নিয়ে একটি টিভি টক শো’তে আলোচনাকালে একজন সাংবাদিক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বলেছিলেন- ‘এ খোলা চিঠি দেয়ার কারণে বেগম খালেদা জিয়ার চায়ের দাওয়াতের খোলা দরজা তার (ডা. জাফরুল্লাহ) জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে! না সে আশংকা সত্যি হয়নি। সে কারণে ১৩ মার্চ বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে সাক্ষাতের তালিকায় পাঁচ বুদ্ধিজীবীর মধ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ছিলেন।
ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর এক বছরে বিএনপি’র অর্জন বিসর্জন কিংবা আগানো পেছানোর নিকাশ করতে গেলে নেতিবাচক স্থিতিই ধরা দেবে। এভাবে চলতে থাকলে এক বছর কেন বহু বছরেও জনপ্রিয় এ রাজনৈতিক দলটি গণপ্রত্যাশিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবে কী না সন্দেহ। এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাম্প্রতিক একটি উক্তি উল্লেখ করেই লেখার সমাপ্তি টানতে চাই। গত ১৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রাক্তন সিনিয়রমন্ত্রী মরহুম মশিয়ূর রহমান যাদু মিয়ার স্মরণসভায় তিনি বলেছেন- ‘দেশে এত কিছু ঘটে যাচ্ছে অথচ বিএনপি নেতারা যেন গভীর সুখ নিদ্রায় শায়িত। এ নিদ্রা ভেঙে তাদের জেগে উঠতে হবে। নাহলে বিপদ আছে।’ বিএনপি নেতৃত্বের সে সুখ নিদ্রা কবে ভাঙবে কিংবা আদৌ ভাঙবে কি না সেটাই এখন ভাবনার বিষয়।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।