পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সর্তক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্র বানানোর জন্য দেশবিরোধী নানা অসম চুক্তির মহড়া চলছে বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
মহান স্বাধীনতার ৪৬তম দিবসের প্রাক্কালে গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আজও বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার তৎপরতায় লিপ্ত দেশ-বিদেশী চিহ্নিত মহল। এখন নানা অসম চুক্তির মহড়া চলছে। এ বিষয়ে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভুমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সকলকে সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আজ দেশবাসীর প্রতি আমি এ আহ্বান জানাই।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন স্বাধীনতা দিবসের গৌরবোজ্জল এই দিনে দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে মোনাজাত করেন।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, একটি শোষণ-বঞ্চনাহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে। নানা কারণে আমরা সে লক্ষ্যে সক্ষম হইনি। বার বার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পুরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলা বার বার হোঁচট খেয়েছে।
বিঘিœত হয়েছে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে প্রচেষ্টা। দুর্বল করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এই মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বজাতির মুক্তি। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করি সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয় মাসের জীবন মরণ লড়াইয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভুমির স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
২৬ মার্চ আমাদের এমন এক মহিমান্বিত দিন, এদিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন জাতীয় নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে তার ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। ফলে দীর্ঘ নয় মাস ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা প্রিয় মাতৃভুমির স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।