Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাহজালাল বিমানবন্দরের গোলচত্বরে নিজের বহন করা বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১

প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:৩১ এএম, ২৫ মার্চ, ২০১৭

এটা আত্মঘাতী বোমা হামলা নয় : ডিএমপি কমিশনার
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহঃ) বিমান বন্দরের সামনের সড়কের গোলচত্বরে পুলিশ বক্সের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এটি কোন আত্মঘাতী হামলার ঘটনা নয়। এক ব্যক্তি ব্যাগে করে বোমা বহন করেছিলো। চেকপোস্টে পুলিশ দেখে অতি সতর্ক হতে গিয়ে সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে বোমা বহনকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় আতঙ্ক হবার কিছু নেই।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী কমিশনার তানজিলা আক্তার জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কোনো পুলিশ সদস্য এ ঘটনায় হতাহত হননি বলে জানান এপিবিএন এর এই কর্মকর্তা জানান। ঘটনার পর পরই বিস্ফোরণস্থল সামিয়ানা দিয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ। বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনির সদস্য পুরো এলাকা ঘিরে রাখে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশে আর কোনো ধরনের বিস্ফোরকদ্রব্য রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে তল্লাশি চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১৭ মার্চ আশকোনায় র‌্যাবের ব্যারাকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়। ওই ঘটনার পর পর দেশের সব বিমানবন্দর ও কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহের মাথায় আগের ঘটনাস্থল থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে স্পর্শকাতর বিমানবন্দর এলাকায় একই ধরনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে এটিকেও আত্মঘাতী হামলা বলে ধারণা করা হয়েছিল।
গতকাল সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর বিমানবন্দরসহ পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায় গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরাসহ বোম্ব ডিসপোজাল টিম। তারা বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করেন। ঘটনাস্থলেই দীর্ঘ সময় পড়েছিল বোমা বহনকারী নিহতের লাশ।
এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিএমপি কামিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এটি আত্মঘাতী হামলার ঘটনা নয়। এটি নিছক ঘটনা। নিহত ব্যক্তি ব্যাগে করে বোমা বহন করছিল। বিমানবন্দর এলাকায় পুলিশের বলয় ও নিরাপত্তা দেখে ওই ব্যক্তি নিজের সাথে থাকা ব্যাগ অতি সতর্কতার সাথে বহন করতে গিয়ে সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এতে জনগণের আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্যরা সতর্ক রয়েছে। মোড়ে মোড়ে চেক পোস্ট রয়েছে। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি করছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের গোলচত্বর এলাকায় পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এ ঘটনাকে আত্মঘাতী হামলা বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি। আইএস পরিচালিত আমাক নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রæপ এ কথা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রæপ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারি করে থাকে।
আমাক নিউজ এজেন্সিতে দাবি করা হয়, ‘বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকি লক্ষ্য করে এই হামলা হয়েছে।’



 

Show all comments
  • Nashir Uddin ২৫ মার্চ, ২০১৭, ২:০৮ পিএম says : 0
    deshe je ki suru holo
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৬ মার্চ, ২০১৭, ৯:০৩ এএম says : 0
    আমি অপর একটি বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় পুলিশের বক্তব্যে দেখেছি পুলিশ বলেছে এই ঘটনাটি আত্মঘাতি হামলা এবং তার শরীরে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে এবং একটি অক্ষত অবস্থায় তাজা বোম রয়েছে। আবার আত্মঘাতির ব্যাগেও একটি অক্ষত তাজা বোমা পাওয়া গেছে এবং বোমা নিষ্ক্রিয় বাহিনী দুটো বোমাই নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। আমি সেই পত্রিকায় ঐ সংবাদের উপর পুলিশের বক্তব্যের সমালোচনা করে মন্তব্য করেছি। এখানে পুলিশের যে বক্তব্য দু’জন উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা দিয়েছেন যেটা পাকাপোক্ত বক্তব্য ধরা ছোয়ার কিছুটা বাইরে। এতে পুলিশেরই ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য আমাদেরকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কি বলা যায়??? পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বক্তব্যে গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে তিনি বলেছেন লোকটা বোমা বহন করছিল পুলিশ দেখে ভীত হয়ে বেশী সাবধান হতে গিয়ে দূর্ঘটার সৃষ্টি। আবার আই এস বলছে আত্মঘাতি হামলা কিন্তু পুলিশের আওতার মধ্যে গিয়ে আত্মঘাতী হামলায় পুলিশকে নিয়ে মৃত্যু বরন করেনি এটাও ভাববার বিষয়। কিন্তু নিরাপদ দূরত্ব থেকে শুধু নিজেই মারা যাওয়া এটাও প্রশ্ন ও ভাববার বিষয়। বিভিন্ন সংবাদের বিভিন্ন দিক বিচার বিবেচনা ও বিশ্লেষন করে তার উপর মন্তব্যই আমি এযাবৎ করে আসছি। এই সংবাদ বিশ্লেষন করতে গিয়ে আমি হতভম্ব। কারন মিয়ার কথা শুনে বিষয়টা নিছক দূর্ঘটনা এবং বিষয়টা পুলেশের পূর্ন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে র্যাগবের আস্তানার ঘটনার মত। মিয়ার বক্তব্যের সাথে ঘটানাস্থলে পুলিশদের বক্তব্যের সাথে কোন মিল নেই। সাথে সাথে আবার আইএস এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। এই যে কয়েক রকম বক্তব্য দেয়া হয়েছে এটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে। এখানে কোন বক্তব্যের যেহেতু মিল নেই কিন্তু আবার আইএস জড়িতে বিষয়টাও সন্দেহ জনক। কারন জঙ্গি ইতিহাসে আত্মঘাতি হামলায় কেহই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না এটা কোন ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। আবার যদি মনে করা হয় বিএনপি স্টাইলে পুলিশই ঘটনা ঘটিয়েছে তাহলে মিয়ার কথায় মনে করা যায় কিন্তু আইএস তাহলে আসছে কোথা থেকে??? পুলিশের সাথে আইএস জড়িত এটাও বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। মৃত্য ব্যক্তিটা যে আইএস এর লোক নয় এটা আবার বিশ্বাস করা যায় ব্যাক্তিটার কর্ম কান্ডে কারন জঙ্গীর কোন ট্রেনিং তার মধ্যে নেই। আবার মৃত ব্যাক্তিটা যে কোন কোন দেশীয় জঙ্গী দলের পাকা পোক্ত সদস্য নয় এটাও বিশ্বাস করা যায় কারন ঐ ট্রেনিং। তাহলে কি আওয়ামী লীগের ভাষায় বিএনপি ভাড়া করা রোহিঙ্গার কান্ড নয়ত নয়ত??? কারন ওদের কোন ট্রেনিং নেই তাই ওদেরকে বেশী পয়সা দিয়ে ক্ষুদার্থ রোহিঙ্গাকে ভাড়া করা শুনেছি খুবই সহজ তাই ওকে বিষয়টাকে সহজ ভবে বুঝানো হয় আর মিথ্যা কথা বলা হয় যেখানে সে ছিল সেখানে কেহ তার কাছ থেকে জিনিষ্টা নিবে তাই সে ঝুকি নিয়ে বোমা হস্তান্তের দায়িত্ব নিয়ে লোক খুঁজে বেড়াচ্ছে আর নাপেয়ে ভীত হয় যানাকি মিয়ার কথার বিশ্লেষন তাই করেছে। তারপরও আরও একটা বিষয় এসে যায় সেটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক খেলা; এই প্রশ্নেরও জন্ম দেয় তাই না??? এটা বিশ্বাস করতে মন চায় এটা আন্তর্জাতিক খেলা কারন কিছুদিন যাবত দুই বৃহৎ শক্তিদের প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী যে ধমক দিয়েছে এবং ওরা তার কোন জবাব দিতে পারেনি এতে মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে চাপে রাখার জন্য ও একহাত দেখে নেবার জন্য ওরা এই খেলা খেলতে পারে। আবার র্যাতবের দপ্তরের বাহিরে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা ঘটেছিল প্রধানমন্ত্রীর ধমকের আগে। এখন আবার হিসাবের গঢ় মিল হয়ে যাচ্ছে তাই আমার মনে হয়ে এখন বিষয়টা সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়া ছাড়া আমার কিছুই বলার নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শাহজালাল

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ