পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : জাহাজ থেকে দ্রæত পণ্য খালাস করতে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম বন্দরের বহরে যুক্ত হয়েছে নিউমেটিক কনভেয়ার (বায়ুচাপযুক্ত পণ্য স্থানান্তর যন্ত্র) ও প্যাকেটজাত করার ইকুইপমেন্ট। গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রাম বন্দরের ছয় নম্বর জেটিতে এক অনুষ্ঠানে এ ইকুইমেন্ট দু’টির উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌমন্ত্রী বলেন, নিউমেটিক কনভেয়ার যুক্ত হওয়ার ফলে জাহাজের গড় অবস্থানকালীন সময় কমবে। আগে একটি ৪০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ থেকে শ্রমিক দিয়ে পণ্য খালাস করতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগত। এখন এ যন্ত্র দিয়ে একই ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ থেকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় দিনে পণ্য খালাস করা যাবে। এতে করে বন্দরের গতিশীলতা আরও বাড়বে।
এসব ইকুইপমেন্ট যুক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর লয়েড লিস্টে (সমুদ্র বন্দরের সেবামান তত্ত¡াবধানকারী সংস্থা) আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বেলজিয়ামে তৈরী ভিগান টাইপ-১০০ মডেলের নিউমেটিক কনভেয়ারটি কিনতে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এটি জাহাজ থেকে প্রতি ঘণ্টায় ১৭০ টন খাদ্যশস্য খালাসে সক্ষম। এটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরবরাহ করেছে বড়তাকিয়া কনস্ট্রাকশন কোম্পানী। এছাড়াও কানাডার তৈরী ওয়েয়িং ও ব্যাগিং মেশিন দুটি কিনতে ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এটির সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড।
নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আগে যেভাবে পণ্য খালাস হত তাতে শ্রমিকদের কায়িক পরিশ্রম ছিল বেশি। নিয়মিত দুর্ঘটনাও ঘটতো। এ যন্ত্র শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য খুব শিগগির একটি ৪০ তলা টাওয়ার (ভবন) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান তিনি। তিনি বলেন, এটি হবে দেশের সর্বোচ্চ ভবন। বন্দরের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দপ্তর এ টাওয়ারে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে একটি জাদুঘর ও একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বিশেষ অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ চট্টগ্রাম বন্দরের নিকটবর্তী এলাকায় আইন অমান্য করে গড়ে উঠা বেসরকারি টার্মিনালের কারণে ওই অঞ্চলে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে জানিয়ে এ ব্যাপারে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, পতেঙ্গা এলাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দেশের সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটি, বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক, দেশের সবচেয়ে বড় ইপিজেড, জ্বালানি তেলের তিনটি স্থাপনাসহ ১১টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বা কেপিআই থাকার পরও সেখানে অসংখ্য কন্টেইনার টার্মিনাল গড়ে উঠার কারণে সড়কে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে জনঅসন্তোষ বাড়ছে। বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় যানজটের কারণে দেশের সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিমানবন্দর থেকে আগ্রাবাদ আসতে দুই ঘণ্টা রাস্তায় আটকা পড়ছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বে-টার্মিনাল নির্মাণসহ চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে গৃহীত প্রকল্পসমূহ দ্রæত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি দ্রæত বাড়ছে। সে তুলনায় বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নতুন সংযোজিত ইকুইপমেন্টের কারণে বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমবে জানিয়ে তিনি বলেন, মাল খালাসের অপেক্ষায় একেকটি জাহাজকে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আর এ কারণে আমদানিকারককে কোটি কোটি টাকার ডেমারেজ দিতে হয়। এখন এ ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইশবাল বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।