পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসির ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করায় এক হাজার ২০৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপরই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল (রোববার) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের সময় তিন হাজার ৩৮টি প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর ৮৩০টি প্রতিষ্ঠান আদায় করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিয়েছে। ৯৯৯টি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে তারা বোর্ডের নির্ধারিত ফি নিয়েছে। এর অতিরিক্ত কোন অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়নি। আর এক হাজার ২০৯টি প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কোন জবাব দেয়নি। জবাব না দেয়া এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কেন তাদের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি এসব প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে জবাব দেয়ার জন্য ৩০ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান (৮৩০টি) দাবি করেছে অতিরিক্ত ফি ফেরত দিয়েছে এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেনি (৯৯৯টি) বলে দাবি করেছে তাদের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার জন্য শিক্ষাবোর্ডসমূহ বিজ্ঞান বিভাগের জন্য এক হাজার ৪৫০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য এক হাজার ৩৩০ টাকা ফি নির্ধারণ করে। তারপরও সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফরম পূরণে শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি অর্থ নিচ্ছে গত ১ ডিসেম্বর এক আদেশে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও ফি হিসেবে এবং এসএসসির ফরম পূরণের সময় আদায় করা বাড়তি টাকা ফেরত দিতে সাতদিন সময় বেঁধে দেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই সময় শেষ হয়।
অতিরিক্ত বেতন-ফি: চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেতন, ভর্তি ফিসহ নানা খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত ফি আদায় করা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা অনুযায়ী গতকালই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। একইসাথে সরকারের একটি সংস্থার মাধ্যমেও প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে, অনিয়ম করে কেউ রেহাই পাবে না। কতগুলো প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত বেতন-ফি আদায় করেছে জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, সেই সংখ্যা এখনও ফাইনাল করিনি, তাই বলছি না। তবে অনেকেই অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি সরকারের অনুমোদন না নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বর্ধিত বেতন ও ফি আদায় না করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, যৌক্তিক’ কারণ দেখাতে পারলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।