মটর সাইকেল: নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে (নতুন বাস্তবতায়)
মটরসাইকেল নিরাপদ, অধিক সুবিধাজনক, খরচ এবং সময় বাঁচায়। গণপরিবহনে একে অন্যের গা ঘেঁষে চলাচলে প্রতিদিন
জি. কে. সাদিক : আমাদের প্রধানমন্ত্রী ৭-৮ এপ্রিল ভারত সফরে যাচ্ছেন বেশ কিছু বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতা সই করতে। তার মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সামরিক চুক্তি বা সমঝোতাটি হলো অন্যতম। এটি নিয়ে সম্প্রতি মিডিয়াতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সুশীল সমাজ ও দেশপ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কী ধরনের সামরিক চুক্তি হবে তা জেনে নেওয়ার দরকার। ভারতীয় সংবাদপত্র কুয়োরা লিখেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তি এমন হওয়া উচিত যাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে অবাধে ভারতীয় সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করা যায়। তার ফলে ওই সাত রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা ও সেখানের সন্ত্রাসী গ্রæপগুলোর বিরুদ্ধে ৫০ বছর ধরে লড়াই করে আসছে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য তারা ব্যর্থ হচ্ছে। তাই ভারত এখন বাংলাদেশের ভ‚মিকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা ’৭১-এ বাংলাদেশ সৃষ্টির সূচনা থেকেই। ভারত বেশ সাহায্য করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ভারতের প্রতি আর ভারত প্রতিবেশী হিসেবে তার কর্তব্যও পালন করেছে বটে। সে হিসেবে ভারত একটি বন্ধুত্বপরায়ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
একজন মানুষ বা একটি পরিবার তার প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় না রেখে চলতে পারে না। তেমনি একটি দেশও ভালোভাবে চলতে পারে না যদি তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকে। যেমন ভারত তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান ও চীনের সাথে সারা বছর ছোটখাটো যুদ্ধ করেই যাচ্ছে, যা একটি রাষ্ট্রের জন্য ভালো বা ইতিবাচক দিক নয়। কোন শান্তিকামী রাষ্ট্রের পরিবেশ এমন হতে পারে না। ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষগুলো তাদের জীবন নিয়ে বেশ শঙ্কিত থাকে। আর এই নিয়ে দেশটি বেশ বিড়ম্বনায় আছে। ভারতের অন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে সেটা উভয় পক্ষ থেকে ভালো নয়। বাংলাদেশ ভারতের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ সচেষ্ট বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার থাকলে সম্পর্কটা চলে গলায় গলায়। সম্পর্কটা এমন যে, দিলেই ভালো নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
প্রতিবেশীর উন্নয়ন হোক এটা কোনো হিংসুক প্রতিবেশীই চাইবে না। আর আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতও তার চাইতে ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ফলে ভারতের যেন গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কেমন যেন পোড়া পোড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পরও বাংলাদেশ কেনো আবার সাবমেরিন কিনল? তাও আবার চীনের কাছ থেকেÑ এ ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছে না বা কোনোভাবেই বুঝে আসছে না ভারতের। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হলো চীন এবং সেনাবাহিনীর অফিসারদের ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে চীন। বিষয়গুলো ভারতের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ কেন তাদের বাদ দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করছে? বাংলাদেশ কেন ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র না কিনে চীন বা রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে?
এটা মোটামুটি সবার জানা যে, ভারতের অস্ত্রের মান চীনের অস্ত্রের চেয়ে অনেক খারাপ। আর চীন সামরিক শক্তির দিক দিয়ে বিশ্বের পরাশক্তি রাষ্ট্রসমূহের কাতারে। আর ভারতের সমরাস্ত্র মানসম্পন্ন নয়। নেপাল ও মিয়ানমারে ভারতের অস্ত্রের মান কেমন তার চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের সম্পর্ক উন্নয়ন ভারত ভালোভাবে নিচ্ছে না। অবস্থাটা এমন যে, বন্ধুত্বের আবরণে চরম বিদ্বেষ ঢেকে রেখেছে। যা ভারতের চরম হিংসাত্মক মনোভাবেরই প্রকাশ। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত স্থলবন্দর মুক্তভাবে ব্যবহার করার চুক্তি করতে চায়, সমুদ্র বন্দর মুক্তভাবে ব্যবহার করার চুক্তি করে, সামরিক চুক্তি করতে চায় সব কটায় ভারতের স্বার্থে। এতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ তো নেই বরং একটা স্বাধীন দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। ভারত বাংলাদেশের সাথে যে কয়টা চুক্তি করতে চায় প্রায় সব কটায় সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে। যেটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, যে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য হলো হুমকিস্বরূপ। কিন্তু ভারত এই চুক্তিগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে একরমভাবে বাধ্য করতে চাচ্ছে। প্রলোভন ও ক‚টনৈতিক চাপের মাধ্যমে। যেটা কোনো বন্ধু বা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকে কাম্য নয়। একটা রাষ্ট্র আগে নিজেদের সার্বিক উন্নয়ন করবে পরে অন্য কারো বিষয়ে ভাববে। কিন্তু এটা ভারতের সহ্য হচ্ছে না। তারা চাচ্ছে বাংলাদেশ সব সময় তাদের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। অনেকটা দাদাগিরি। সীমান্ত হত্যা, তিস্তা চুক্তি, বৈষম্যমূলক বাণিজ্য চুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভারত কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। বরং যে কয়টা চুক্তি হয়েছে তার বাস্তবায়ন পর্যন্ত করছে না।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত যে সামরিক চুক্তি করতে চাচ্ছে যদি সেটা সফল হয় তাহলে বাংলাদেশ ভারতের দাসত্বকারী রাষ্ট্র হয়ে পড়বে। সেটা আমদের স্বাধীনতাকে চরমভাবে অপমানিত করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত যে সামরিক চুক্তি করতে চাচ্ছে তাতে আমাদের সার্বভৌম ক্ষমতা বিঘিœত হবে এবং আমাদের সেনাবাহিনী হয়ে পড়বে অনেকটা ভারতের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। এই চুক্তি সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সন্ত্রসবাদকে উসকে দেবে এবং বহু দিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান উপজাতি সমস্যাকে বেশ প্রভাবিত করবে। তাই বাংলাদেশ-ভারতের এই সামরিক চুক্তি করার আগে বাংলাদেশ সরকারকে দুটি বিষয়ে ভেবে দেখতে হবে।
১. ভারতের সঙ্গে এরূপ সম্পর্ক স্থাপনের ফলে শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানের অবস্থা কী হয়েছে? সবাই মোটামুটিভাবে স্বার্থপর। তবে ভারত হলো সীমাহীন চরম স্বার্থপর একটা রাষ্ট্র। তারা তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর শান্তি ও তাদের ভিতরকার সুষ্ঠু পরিস্থিতিকে ব্যাহত করে দিতে প্রস্তুত। যা তারা শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানে করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্তু লারমাকে ভারত খুব সুন্দরভাবেই পালন করেছে এবং আর তারা সেটা করছে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার জন্য।
২. বাংলাদেশ সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে যে, এটা এমন একটা চুক্তি যেটা দেশের স্বাধীনতা বা অস্তিতের সাথে জড়িত। ভারত এই চুক্তির ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে সামরিক যোগাযোগ বাড়ানো হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও তার সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাতায়ত করবে। যা আমাদের দেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি। আর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের স্বাধীনতাকামী গ্রæপগুলো প্রায় ৫০ বছর ধরে সংগ্রাম করে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে। ভারত তাদের দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই চুক্তির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এদের দমন করা। আর এই চুক্তি স্বাক্ষর হলে সে বিদ্রোহী গ্রæপগুলো বাংলাদেশের ওপর ক্ষেপে যাবে এবং প্রতিশোধ নিতে চাইবে। ফলে তারা নানাভাবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্যক্রম চালাবে এবং হামলা করবে। বাংলাদেশে যেসব সন্ত্রাসী সংগঠন বা জঙ্গি সংগঠন আছে তাদের অস্ত্রের জোগানদাতা হলো ভারতীয় সন্ত্রাসী গ্রæপগুলো। তারা সীমান্ত পথে এই অস্ত্র পাচার করে থাকে আর ভারতীয় বিএসএফ তা ঠেকাতে ব্যর্থ। এই চুক্তি হলে ভারতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে সাহায্য করবে। ফলে দেশের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো অনেকটা প্রাণ ফিরে পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে, যা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ভিতরে রয়েছে ভারতীয় মদদপুষ্ট কিছু উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ভারতের রাষ্ট্রীয় ও ভারতীয় সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ সাহায্যপ্রাপ্ত। এই চুক্তি হলে এই উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ভারতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কাছ থেকে বেশ সাহায্য পাবে। বাংলাদেশের উপজাতি সমস্যা নতুনরূপ পাবে। বাংলাদেশের আদিবাসীদের নিয়ে অনেক দিন ধরেই একটা সমস্যা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে চলছে বিশাল ঘোলাটে রাজনীতি ও ক‚টনীতি যা আমাদের স্বাধীনতার জন্য বড় ধরনের হুমকি। মনে রাখতে হবে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে জড়িত চট্টগ্রাম সমুদ্রের ভাগ্য। ২০০১ সালে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) গঠন করে ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।’ এই ফোরাম গঠনের জন্য তিনি রাজশাহী সফর করেন সাঁওতালদের সাথে ও অন্যান্য উপজাতিদের সাথে আলোচনা করতে। সন্তু লারমার মূল উদ্দেশ্য হলো ‘আদিবাসী’দের নিয়ে কথিত ‘আদিবাসী’ রাষ্ট্র গঠন করা।
২০০১ সালে সন্তু লারমা ‘আদিবাসী ফোরাম’ গঠনের আগে থেকেই ভারতের সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে আসছে। ভারতের এক সময়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের সেক্রেটারি ছিলেন মুচকন্দ দুবে। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে একটা বই লিখেছেন। বইটির নাম ওহফরধহ’ং ঋড়ৎবরমহ চড়ষরপু। এই বইতে দুবে বলেছেনÑ শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক উন্নত হতে পারেনি। শ্রীলংকার সাথে সম্পর্কে অবনতি ঘটার কারণ হলো শ্রীলংকার তামিল গেরিলাদের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ। ভারত শ্রীলংকার তামিল নেতা প্রভাকরণকে তার তামিল স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রণোদনা প্রদান করেছিল। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কে অবনতির কারণ হলো ভারত কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধীনতাকামীদের আশ্রয় প্রদান। দুবের এই বই পড়ে বোঝা যায় যে, সন্তু লারমার শক্তির উৎস হচ্ছে ভারত। বাংলাদেশ-ভারতের এই সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর হলে সন্তু বাবু একে দুই সুযোগ পাবে। একদিকে ভারতের সাহায্য অন্যদিকে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সাহায্য। যা সন্তুকে বেশ শক্তি জোগাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মানে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। চট্টগ্রাম বন্দর হাতিয়ে নেয়ার জন্য ভারতের একটা চালাকিও হতে পারে এই সামরিক চুক্তি।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে পড়েছে সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে ভারত নিশ্চুপ কোন ধরনের সাড়া দিচ্ছে না। তিস্তাসহ প্রায় সব নদী নাব্যতা হারিয়ে মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষি আবাদ প্রায় অচল হয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে ভারত কোনো ধরনের আন্তরিকতার বা কোনো সমাধান করতে চায় না। নিজের স্বার্থ ছাড়া কোন ধরনের কথা বলতে ভারত নারাজ।
চীন, রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশ থেকে অস্ত্র বা অন্য যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক চুক্তিতে ভারতের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। এটা কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে না ভারতের স্বার্থে কোনো ধরনের দেশবিরোধী চুক্তি করা।
লেখক : কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।