পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসিনা-মমতা বৈঠকে প্রণব-মোদিও থাকতে পারেন
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে তা হলো কানেকটিভিটি। বাংলাদেশে নিয়োজিত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গতকাল সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র সচিব মো: শহীদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ভারতের ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, তিস্তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি হচ্ছে না। তবে খসড়া হতে পারে। বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি আনুষ্ঠানিক চুক্তির দিকে যেতে পারে। এছাড়া ভারতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে ফলপ্রসূ করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য ভারতের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তাদের বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে।
গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রীংলা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের প্রস্তুতি বেশ জোরেশোরে চলছে। এ কারণেই পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা। আলোচনায় কিছু সংযোজন ও বিয়োজন হচ্ছে। সফরের জন্য বেশ কিছু বিষয়ের অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কানেকটিভিট হাইপ্রায়োরিটি। আমি এখনই কিছু বলতে চাই না, এসব ঠিক সময়ে প্রকাশ হবে। এ অগ্রগতি রেল, সড়ক এবং বিদ্যুৎ আদান-প্রদানে ও সংযোগ বাড়ানোর বিষয়ে হতে পারে।
এক প্রশ্নের উত্তরে শ্রিংলা বলেন, এ অঞ্চলে বিবিআইএন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটি এ অঞ্চলে যুগান্তকারী ফলাফল বয়ে নিয়ে আসবে।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ভারতের অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা চূড়ান্ত কোনো চুক্তি নয়, বরং একটি খসড়ায় সম্মত হতে পারে বাংলাদেশ ও ভারত। সাংবাদিক দিপাঞ্জন রায় চৌধুরীর লেখা এ বিষয়ক প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘ড্রাফট পেপার অন তিস্তা ডিল লাইকলি ডিউরিং শেখ হাসিনা’জ ভিজিট’।
এতে বলা হয়েছে, পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা এখনও অমীমাংসিত। এ অবস্থায় নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা চূড়ান্ত কোনো চুক্তি সম্পন্ন না-ও হতে পারে। ৮ এপ্রিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এদিন এ বিষয়ে একটি খসড়ায় সম্মতি জানাতে পারেন তারা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ নদীর পানি বণ্টন নিয়ে খসড়ায় সম্মতি জানালে পরবর্তী পর্যায়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে, তা একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তির দিকে যেতে পারে।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ইঙ্গিত মিলেছে, নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে থাকার কথা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভারতের অন্য চারটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। পশ্চিবঙ্গের পত্রিকা আনন্দবাজারেও শেখ হাসিনার সাথে মমতার বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তিস্তা ইস্যুতে এ বৈঠকে থাকতে পারেন ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বৈঠকে সমর্থন দেয়ার জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।