Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করুন

ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় জনগণ ও উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ১শ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেয়ার জন্য স্থানীয় জনগণ এবং এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যত্রতত্র, সেখানে-সেখানে শিল্প গড়ে তোলা যাবে না। আমরা সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী আমাদের উন্নয়ন করব।
শিল্প উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিল্প কারখানা গড়ার ক্ষেত্রে পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। শিল্পায়নের নামে যেন পরিবেশ নষ্ট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ করতে বলবো। যেন পরিবেশ নষ্ট না হয়, যেন ফসলী জমি নষ্ট না হয়। নদী-পরিবেশ দূষণ না হয়। যেন ঘনবসতি বারবার উঠিয়ে দিতে না হয়। তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলগুলো পরিবেশবান্ধব হতে হবে, জলাধার থাকতে হবে, সবুজ বৃক্ষরাজি থাকতে হবে, সুন্দর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ইটিপি) থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রবৃদ্ধি ৬-এর ওপরে উন্নীত করেছে। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নামিয়ে এনেছে, ২০২১ সাল নাগাদ আরও অন্তত ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। মাথাপিছু আয় এক হাজার ৩১৬ ডলারে উন্নীত করেছে। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দেশে বর্তমানে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার উল্লেখ করে বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলের ডেভেলপার ও শিল্প ইউনিটগুলোর জন্য আমরা অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্যাকেজ ও প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। এ সব প্যাকেজের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে কর অবকাশ, শুল্কমুক্ত আমদানি ও রপ্তানি এবং সহজ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালা রয়েছে।
সরকারের এসব প্রণোদনাকে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চাইতে প্রতিযোগিতামূলক উল্লেখ করে উৎপাদনে সক্ষম আমাদের দক্ষ ও কার্যকর জনশক্তি থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিশ্বাস দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ সরকার ঘোষিত বিনিয়োগ প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণ করে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন।
সরকার বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়েছি, তা বাস্তবায়নে এসব শিল্পাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আমাদের বাংলাদেশব্যাপী এমন অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। দেশে আমরা ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলবো। সরকারি, বেসরকারি, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ ও অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে জিটুজি ভিত্তিতে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্রমতে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে আগামী ১৫ বছরে ১ কোটি কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি সম্ভব হবে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে ৭৫ হাজার একর জমি লাগবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সারা বিশ্বের কাছেই বাংলাদেশের অবস্থান এখন গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে শিল্প উৎপাদনের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত জনবল। ভৌগোলিক অবস্থানের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল (বিবিআইএন) এর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক কর্মকা- ও যোগোযোগ ‘উন্মুক্ত’ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার (বিসিআইএম) এর লক্ষ্যও হচ্ছে অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে কাজ করা। এদিকে চারটা দেশ ওদিকে চারটা দেশ; যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আমরা স্থাপন করলাম, এতে করে শিল্প প্রতিষ্ঠা করা, বাণিজ্য বৃদ্ধি করা এবং আমাদের যে বিশাল বাজার সৃষ্টি হলো, যার ফলে এ দেশগুলোর মাঝে একটা বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে দেশের ভেতরেও ‘বিশাল বাজার’ সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে না এলে দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে না। আমরা বেসরকারি খাততে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং বিনিয়োগে সব ধরনের সুযোগ করে দিচ্ছি। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, একটা সময় সরকারি বিটিভি ছাড়া বেসরকারি খাতে কোনো টেলিভিশন ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চালানোর সুযোগ দেয়। একটি মাত্র মোবাইল কোম্পানি ছিল, এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিল মোবাইল সেটের দাম, কল করলেও মিনিটে ১০ টাকা ধরলেও মিনিটে ১০ টাকা খরচ হতো। সেখান থেকে আজ মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন চলে এসেছে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দেওয়াই এর মূল কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অঞ্চল গড়ে তুলতে যারা বেসরকরিভাবে এগিয়ে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ। যারা জায়গা-জমি দিয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ। যত ধরনের সুযোগ আছে আমরা সব ধরনের সুযোগ কাজে লাগাতে চাই দেশের উন্নয়নের জন্য। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এলাকাভিত্তিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার সুফল তুলে ধরে তিনি বলেন, এতে আমাদের যুব সমাজের কর্মসংস্থান হবে। কর্মক্ষম যুব সমাজ নিয়ে আমরা কাজ করবো। বিশ্ববাজারে পণ্য রফতানির জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রাখার ব্যবস্থা করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক শিল্পের বিকাশ ঘটানোর জন্য দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে। যত বেশি ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে তত বেশি শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
প্রস্তাবিত পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও এসময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের সফলতার কথা উল্লেখ করেন।
বর্তমান সরকারকে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিনিয়োগবান্ধব নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। নীতিমালা করেছি। আমরা ব্যবসা করতে নয়, ব্যবসায়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাই। বিনিয়োগকারীদের প্রতি সরকারের উদার মনোভাব ও বিভিন্ন সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ সরকার ঘোষিত বিনিয়োগ প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণ করে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন।
শ্রমিকদের সুবিধার্থে অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় আবাসন সুবিধা বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের আবাসন ব্যবস্থা করা গেলে উৎপাদন বেশি হবে। প্রয়োজনে শ্রমিকেরা ওভারটাইম কাজ করলেও পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুবিধা পাবে।
দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে সরকারি, বেসরকারি ও কোঅপারেটিভ উদ্যোগ নিয়েছিলেন সে কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে গড়ে ওঠা এ ১০টি অঞ্চলের মধ্যে চারটি সরকারি ও ছয়টি বেসরকারি। এগুলো হলো মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২১৬ একর জমির ওপর আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল, নরসিংদীর পলাশে ২০০ একর জমির ওপর এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বৈদ্যের বাজার এলাকায় ১৫০ একর জমির ওপর আমান অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়িতে ৪০ একর জমিতে বে অর্থনৈতিক অঞ্চল, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এর মেঘনাঘাট এ ২৪৫ একর জমিতে মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, একই উপজেলার ছোট শিলমান্ডিতে ৮০ একর জমিতে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রায় ১৫ হাজার একর জমিতে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাগেরহাটের মংলায় ২০৫ একর জমিতে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল (এটি ডেভেলপ ও অপারেট করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পাওয়ারপ্যাক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রাইভেট লিমিটেডকে), কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ৮৮২.২৬ একর জমিতে সাবরাং টুরিজম পার্ক এবং মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলায় ৩৫২ একর জমিতে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপক এএসএম মাইনুদ্দিন মোনেম, এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন কাশেম খান, মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল, বে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান, আমান অর্থনৈতিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম ও পাওয়ারপ্যাক এর ব্যবস্থাপক রন হক শিকদার। এছাড়া, চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
সোনারগাঁওয়ে তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন:
সোনারগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ৩টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে আমান গ্রুপে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবালী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মুহিদ উদ্দিন আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া। এসময় স্থানীয় প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফলক উন্মোচন করেন।



 

Show all comments
  • Manik ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ৫:২২ এএম says : 0
    of course
    Total Reply(0) Reply
  • রুহুল আমিন ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ৫:২৩ এএম says : 0
    এই ব্যাপারে সকলের এগিয়ে আশা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahlam Khan ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:১১ এএম says : 0
    Change the destiny by this excellent step
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করুন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ