পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও প্রচেষ্টায় দেশীয় ফলদের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফুলফল ও চারা উৎপাদনে অবিস্মরণীয় সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জিত হওয়ায় রাজস্ব আয়ও হয়েছে সন্তোষজনক। হর্টিকালচার সেন্টারের যুগোপযোগী কর্মকান্ড অনুসরণ করে প্রায় দুই শতাধিক নার্সারির মালিকসহ সম্পৃক্ত শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা ও নজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। পোলাও, বিরিয়ানিতে ব্যবহৃত ইরান ও উজবেকিস্তানে উৎপাদিত আলুবোখারা। আর সেই আলুবোখারা উত্তর আমেরিকা থেকে সরবরাহ করা অ্যাভোগেডো উৎপাদন হয় এই হর্টিকালচার সেন্টারে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে আনা লাল জাতের ড্রাগন ফ্রুট এবং ব্রাজিল থেকে ফুল ও ফল ধরা অবস্থায় সরবরাহ করা জাবাটিকাভা, ভারতের কেরালা হাইব্রিড নারিকেল ও ভিয়েতনামের খাটো জাতের নারিকেল উৎপন্ন হচ্ছে ওই হর্টিকালচার সেন্টারে। যাতে ৩ বছরেই ফল ধরবে। আর প্রতিটি গাছে ২০০-২৫০টি নারিকেল পাওয়া যাবে। তাছাড়া এই হর্টিকালচার সেন্টারের কার্যক্রম অনুসরণ করে প্রায় ১৯০টি নার্সারি গড়ে উঠেছে। যুগোপযোগী কর্মকান্ড অনুসরণ করে এসব নার্সারির মালিকসহ সম্পৃক্ত মালিক-শ্রমিক পরিবারের সদস্যরাও নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। এদিকে উদ্যানতত্ত¡বিদ কৃষিবিদ মতিউল আলম, এস এম এস কৃষিবিদ শামীম আশরাফসহ অপর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে হর্টিকালচার সেন্টারকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে অবিরাম শ্রম দিয়ে আসছেন। আইএফ এমসির প্রশিক্ষণসহ বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রংপুর হর্টিকালচার সেন্টারের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩০। সেখানে অর্জিত হয় ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৮ চারা-কলম। এর বিপরীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৩২ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। রংপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুুর ইকবাল বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৩২ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়তই নতুন নতুন জাতের ফুল-ফলের চারা বিভিন্ন দেশ থেকে এনে আমাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে তা উৎপাদন করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমাদের অনুসরণ করে নার্সারির মালিকরাও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে এসব সরবরাহ করছে। তারাও ব্যবসায়িক সফলতার মুখ দেখছেন। আর জনসাধারণ তাদের পছন্দনীয় ও আকর্ষণীয় ফুল ও ফলের চারা কিনছেন এ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে। প্রতিদিনই লোকজন আসে ফুল-ফলের চারা কিনতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।