পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্মাণাধীন র্যাব সদর দপ্তরের ব্যারাকে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ব্যক্তির সঙ্গে আরও সাত-আটজন ছিলেন বলে র্যাব দাবি করছে। এ ঘটনায় র্যাবের ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ফরেনসিক উইংয়ের উপপরিদর্শক রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে নিহত ব্যক্তিসহ সাত-আটজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে গত শুক্রবার বিমানবন্দর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। এ মামলার এজাহার থেকে জানা যায় হামলাকারীরা যুবকের সাথে আরো ৭/৮ জন ছিল। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই মামলায় বলা হয়, গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে দুই ব্যারাকের মধ্যবর্তী গোসলখানায় রাশেদুজ্জামানসহ ছয়জন গোসল করছিলেন। বেলা একটার দিকে ল্যান্স করপোরাল মিজানুর রহমান অজ্ঞাত একজনকে প্রাচীর টপকে গোসলখানার দিকে আসতে দেখে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন, এভাবে ভেতরে ঢোকার কারণ ও পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। এ সময়ই লোকটি তাঁর ডান হাত বুকের ওপর রাখার সঙ্গে সঙ্গে প্রচÐ বিস্ফোরণে সবাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এতে ল্যান্স করপোরাল মিজান ও কনস্টেবল আরিফ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। প্রচÐ শব্দে কানেও আঘাত পান আরিফ। আত্মঘাতী ওই যুবকের আনুমানিক বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাঁর পরনে ছিল কালো প্যান্ট, সাদা ফুল হাতা চেক শার্ট, মাথায় কালো ও হলুদ বর্ডারের পি ক্যাপ এবং কাঁধে ব্যাগ। ওই ব্যাগটি থেকে পরে বড় আকারের দুটি বোমা উদ্ধার করা হয়। র্যাবের সদস্য মিজান তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে না আটকালে ওই আত্মঘাতী ব্যারাক অথবা ডাইনিং হলে ঢুকে মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতেন।
মামলায় বলা হয়, বিস্ফোরণের পরে হজ ক্যাম্প ও আশকোনা বাজারের লোকজন ব্যারাকের ফটকে উপস্থিত হয়ে জানান যে বিস্ফোরণের পরে তাঁরা ঘটনাস্থলের কাছে রাস্তার পাশ থেকে সাত-আটজন অজ্ঞাতনামা লোককে ছুটে পালিয়ে যেতে দেখেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিকতা, সাক্ষীদের বক্তব্য এবং সা¤প্রতিক দেশব্যাপী জঙ্গি তৎপরতার কারণে আমার দৃঢ়ভাবে মনে হয় যে র্যাবের জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন তৎপরতার কারণে অজ্ঞাত জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করার জন্য, জনসাধারণের মাঝে ভয়ভীতি সৃষ্টি করার জন্য র্যাবের মনোবল ধ্বংস করার উদ্দেশে র্যাব সদস্যদের খুন-জখম করতে ওই আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।