বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
আবুল কাসেম হায়দার : বিশ্বব্যাপী পাটের বহুবিধ ব্যবহার অনেক বেড়েছে। পাটের কদর এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্যসহ সকল সমৃদ্ধ দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিলেতে রাণীর ভবনেও পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাটের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দিনগুলোতে পাটের ব্যবহার আরও বাড়বে।
দেশে পাটের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে- এ খাতে গবেষণা বাড়ানো, নতুন পাটনীতি প্রণয়ন, সংস্কারের আওতায় আসছে জুটমিল কর্পোরেশন এবং পণ্যের ব্যবহার পলিথিনের ওপর ইকো ট্যাক্স আরোপ। এসব উদ্যোগের দুটি উদ্দেশ্য। একদিকে দেশে পাট পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো এবং অন্যদিকে রফতানি বাড়ানো। সব মিলে এ খাতের বিশাল বাজার সৃষ্টি করে কর্মসংস্থান বাড়াতে চায় সরকার।
পাট সম্প্রতি বাংলাদেশ জুটমিল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) জন্য ২৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট থেকে তা সমন্বয় করা হবে। এছাড়াও পাটের গুরুত্ব তুলে ধরতে ৬ মার্চ সারা দেশে জাতীয় পাট দিবস পালন করা হয়েছে। ফলে পাটখাতে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর এসব কিছু বাস্তবায়ন হলে আগামীতে এ খাতের জন্য বিশাল সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে।
জানা গেছে- ২০১৩ সালে দেশীয় পাটের জন্মরহস্য আবিষ্কার করেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। ফলে জীবাণু প্রতিরোধক পাট উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশি পাট দিয়ে বস্ত্রশিল্পের উপযোগী সুতা উৎপাদন করাও সম্ভব হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে সুফল পাওয়া যাবে। আর এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতেই নানা উদ্যোগ। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, জন্মরহস্য আবিষ্কার হওয়ায় পাটের সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। বিশ্ববাজারেও পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে। ফলে এসব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এ খাতে বিনিয়োগ জরুরি। তিনি বলেন, এ খাতে গবেষণা আরও বাড়াতে হবে।
এদিকে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহার করে পণ্য বাজারজাত করে এমন সকল কোম্পানির ওপর এক শতাংশ ইকো ট্যাক্স আরোপ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে অবৈধ পলিথিন নির্মূল ও পলিথিন রি-সাইক্লিং সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটি পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা প্রচারের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তারিখ থেকে পাক্ষিক কার্যক্রম গ্রহণ করে উৎপাদনকারী, বিক্রয়কারী এবং ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে।
অন্যদিকে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় পাট দিবস পালন করেছে সরকার। ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ/পাট পণ্যের বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস-২০১৭ পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে আট দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী সোনালি আঁশ পাটের সম্ভাবনাগুলো বিকশিত করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের জন্য পাট সংশ্লিষ্ট সব উদ্যোগকে সমন্বিত করা এবং সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডার, পাটচাষী ও শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দফতরের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ে সরকার পাট দিবস হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে। মির্জা আজম জানান, পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তরা এ পর্যন্ত ১৩৫ রকমের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করেছে। পাট দিবসের গুরুত্ব এবং পাট-সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টিতে ইতোমধ্যে সারা দেশে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা হয়েছে। রচনা প্রতিযোগিতায় দেশের আটটি বিভাগ থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী মোট ২৪ জনকে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কৃত করবেন। এছাড়া সেরা পাটচাষী, সেরা পাটবীজ উৎপাদনকারী, বেসরকারি সেরা পাটকল, সেরা কাঁচাপাট রফতানিকারক, সেরা পাটসুতা রফতানিকারক, সেরা বহুমুখী পাটপণ্য রফতানিকারক, সেরা উদ্যোক্তা ও সেরা পাটপণ্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ আট ক্যাটাগরিতে এবং পাট সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য ২ জন ব্যক্তিকে পুরস্কার দেয়া হবে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৯ দশমিক ৬২ লাখ বেল পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি করে ৭ হাজার ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা আয় করেছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৮৭৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি।
জানা গেছে, দেশে মোট কাঁচাপাটের উৎপাদনের পরিমাণ হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ বেল। অভ্যন্তরীণ চাহিদা হচ্ছে ৬৩ লাখ বেল। যা মোট উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ। পাশাপাশি বিদেশে কাঁচাপাট রফতানি হচ্ছে বছরে ১২ লাখ বেল। অবশিষ্ট ৭ থেকে ১০ লাখ বেল ব্যবহার হচ্ছে গৃহস্থালি কাজে।
সূত্র মতে, বিশ্বে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে চীনের দখলে অধিকাংশ বাজার থাকলেও বাংলাদেশের অবস্থান আছে ছোট আকারে। তবে ২০১৮ সালে ইউরোপের বাজারে সিনথেটিক পণ্য নিষিদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী বাড়ছে বায়োডাইবারফিকেশন ব্যাগ ও পণ্যের চাহিদা। যা বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
পাটখাতে এখন বেশ সাড়া মিলেছে। এজন্য প্রায় একদশক পরে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। এই নীতিতে বন্ধ হওয়া সরকারি পাটকলগুলো ক্রমান্বয়ে চালুর ব্যবস্থা করা হবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেই তা করা হচ্ছে। খসড়া নীতিমালায় সরকারের এ ধরনের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। সেখানে আরও উল্লেখ্য করা হয়, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার এবং পাটপণ্য রফতানির ক্ষেত্রে আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাট বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায় বিএডিসির সক্ষমতা বাড়ানো, পাটচাষিদের অর্থ সংকট লাঘবে সহজশর্তে ঋণ প্রদান, বিক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাটচাষিরা অর্থ পেয়ে যান- এসব বিষয় খসড়া পাটনীতিতে স্পষ্ট করে তুলে ধরা হচ্ছে।
বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, আইভরি কোস্ট, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, জার্মানি, স্পেন, ইংল্যান্ড, মিসর, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। দেশের ভেতরেও পাটজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে বেসরকারি পাটকলগুলো।
তবে সম্ভাবনার পাশাপাশি এ খাতে সমস্যাও কম নেই। উন্নতজাতের বীজ, আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, দক্ষ শ্রমিক, পণ্য বৈচিত্রকরণ ও বিপণন কৌশলের অভাব রয়েছে পাট শিল্পে। যথাযথ সহযোগিতাও নেই পাট গবেষণায়। এসব দিকে এখনই নজর না দিলে বিশ্ববাজারে অবস্থান ধরে রাখা কঠিন হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ খাতের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, সরকারের সহযোগিতা পেলে এ খাত ছাড়িয়ে যেতে পারে তৈরি পোশাক শিল্পকে। এজন্য গুরুত্ব দিতে হবে বীজ উৎপাদনে। কারণ মান সম্মত বীজের অভাব রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে সাড়ে ১২শ’ টন উৎপাদন হলেও পাট বীজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় পাঁচ হাজার টন। ফলে ভারত বা চীন থেকে প্রতিবছর বীজ আমদানিতে চলে যাচ্ছে বড় অংকের অর্থ। তবে পাটখাতে সরকারি বিনিয়োগে অসন্তোষ অবস্থানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এ সংস্থার মতে, অদক্ষতা, লুটপাট, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে লোকসানি মিলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে নতুন করে পাটের পুনঃজাগরণের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতের (পিপিপি) ভিত্তিতে পুনরায় পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাটের প্রতি আরও নজর দিতে হবে:
১. পাটের গবেষণা অনেক দিন ধরে চলেছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ইতোমধ্যে আমাদের বৈজ্ঞানিকগণ করেছেন। তার সুফল পেতে আমাদেরকে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। আরও বেশি বিনিয়োগ পাট গবেষণায় করা উচিত। হয়তো একদিন পূর্বের মতো পাট সোনালি আঁশ হিসেবে আবারো স্বীকৃতি লাভ করবে। এক সময় পাটই ছিল আমাদের রফতানির একমাত্র পণ্য, আর বর্তমানে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৭০ শতাংশের অধিক তৈরি পোশাক শিল্প থেকে আমরা পাচ্ছি। পাটের গবেষণা বৃদ্ধির ফলে অচিরে পাট বিশ্ব সভায় উঁচু স্থান দখল করবে।
২. পাট আইন ২০১৭ প্রণয়ন সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ; যার ফলে পাট উৎপাদন, বিপণন ও রফতানিতে ব্যাপক সাড়া জাগাবে।
৩. পাট চাষিদের জন্য সরকারকে বিশেষ বিবেচনায় প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাট চাষে বেশি বেশি চাষি এগিয়ে আসার জন্য পাটের মূল্য বৃদ্ধির প্রতি নজর দিতে হবে। প্রকৃত পাট চাষি যাতে ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে রফতানিও বাড়বে।
৪. পাট ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ সব সময়ের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে এখনও ঋণের সুদের হার অধিক, বর্তমানে ৯ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো সুদ আদায় করছে। সুদের হার কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
৫. আমাদের সরকার কর্তৃক পাট কলগুলোর উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। পাট কলগুলোর দ্রæত আধুনিকায়ন করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার সকল পাটকল চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তাতে দেশে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে।
অর্থ বছর উৎপাদন
কাঁচাপাট (লক্ষ বেল)
পাটজাত পণ্য (লক্ষ মে.টন)
২০০৯-১০ ৫৯.৪৫ ৬.৯৫
২০১০-১১ ৭৮.০২ ৬.৮৮
২০১১-১২ ৭৮.০৫ ৭.১৪
২০১২-১৩ ৭৫.৭২ ৯.৭৭
২০১৩-১৪ ৬৭.৮৫ ৯.৮৩
২০১৪-১৫ ৭৫.০১ ৮.৬৫
২০১৫-১৬ ৮২.৪৬ ৯.৬৩
এই ছাড়াও প্রচলিত পাটপণ্যের পাশাপাশি দেশে পাট কাঠি থেকে চারকোল উৎপাদন ও রপ্তানি হচ্ছে। চারকোল থেকে কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারের কালি, আতশবাজি ও ফেসওয়াসের উপকরণ, মোবাইলের ব্যাটারি, প্রসাধনপণ্য প্রভৃতি সামগ্রী প্রস্তুত করা যায়। বিজেএমসি কর্তৃক পাট পাতা থেকে চা এবং পাট গাছ থেকে ভিসকস তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর পাড় ভাঙন রোধ এবং রাস্তাঘাট নির্মাণে জুটজিও- টেক্সটাইলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পাজিট জুট টেক্সটাইল পলিথিনের বিকল্প পাটের শপিং ব্যাগ উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। পণ্যের পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে প্রায় শতভাগ সফলতা অর্জন হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয় ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে পাট খাতে যথাযথ অবদান রাখার প্রয়োজনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে।
বেসরকারি খাতও পাট চাষে, শিল্পে এগিয়ে এসেছে। বরং বেসরকারিভাবে পরিচালিত পাটকলগুলো লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। আরও বেশি শিল্প উদ্যোক্ত পাট কল স্থাপনে ও নানা রকমের পাট পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে এলে পাট শিল্প তার পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে পাবে ।
লেখক : সাবেক সহ-সভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমএ, বিজেএমইএ, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।