পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ সৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সংস্কৃতির যথাযথ বিকাশও অত্যন্ত জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বেইলী রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন। সমিতির সভাপতি সিতারা আহসান উল্লাহ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা তানিয়া হক প্রধানমন্ত্রীকে মহিলা সমিতির পক্ষে ক্রেস্ট উপহার দেন এবং অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নাট্য অন্দোলনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে বিশ্বমানের একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল থিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন, দেশে একটাও বিশ্বমানের অত্যাধুনিক ডিজিটাল থিয়েটার নেই। আমরা তা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে আগ্রহী। কাজেই টাকা-পয়সার সমস্যা হবে না। এই অত্যাধুনিক থিয়েটার হলটি এখানে অথবা পদ্মা সেতুর কাছে যে কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানেও নির্মাণ করা যেতে পারে। তিনি বলেন, থিয়েটারের প্রতি আমার আগ্রহ আছে। আগে আমি প্রায়ই থিয়েটারে নাটক দেখতাম। এখনও দেশের বাইরে গেলে থিয়েটারে নাটক দেখি। দেশের বাইরে থিয়েটারে দেখেছি মঞ্চে হেলিকপ্টার নামে, গাড়ি আসে। দেশে সেই মানের থিয়েটার নেই। আমি মনে মনে অত্যাধুনিক থিয়েটার নির্মাণের জন্য একটা জায়গা ঠিক করে রেখেছি। পদ্মাসেতুর পাড়ে একটি অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করা হবে, সেখানেও এই থিয়েটার হতে পারে।
দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিকাশে নাট্যচর্চার বিরাট ভূমিকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর যখন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা ছিল, তখন নাটকের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। সমাজকে এগিয়ে নিতে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতিকর্মীদের অবদান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নাটক নীল দর্পণের ঐতিহাসিক ভূমিকাসহ ভোট ও ভাতের আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের সকল গণআন্দোলনে নাট্য আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই। সেজন্য নারী এবং পুরুষ দু’জনকেই এগিয়ে নিতে হবে।
সোনারগাঁয় তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সোনারগাঁ উপজেলা সংবাদদাতা : প্রাচীন বাংলার রাজধানী ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে সাড়ে তিনশ’ বিঘা জমির উপর ৩টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (রোববার) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব অঞ্চলের উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
শনিবার সরেজমিনে এসইজেড গুলোতে কারখানা ভবন স্থাপনা ও নির্মান কাজের দ্রুত কাজ চলছে। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী ১শ’ ৫০ একর জমির উপর গড়ে উঠছে আমানা গ্রুপের সিমেন্ট, জাহাজ, ফুড, বেভারেজ, ইলেকট্রনিক্স ও স্টীল মিলের নির্মাণ কাজ। অপরদিকে মেঘনা গ্রুপের মেঘনা ইকোনমিক জোন ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন নামে দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে। এ প্রকল্প সাড়ে তিনশ’ এক জমির উপর এসইজেড গড়ে তোলা হচ্ছে বলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সূত্রে।
মেঘনাঘাট ও ত্রিপর্দি এলাকায় দুইশ’ একর জমিতে গড়ে উঠছে মেঘনা গ্রুপের দুটি এসইজেড। এখানে তারা পিভিসি পাল্প অ্যান্ড পেপার, ক্যালেন্ডার পেপার, কার্বন লেস পেপার, ফুড প্যাকেজিং, বেভারেজ বা কোমল পাণীয়, ফুড প্যাকেজিং আইটেমের ফিল্ম, মিনারেল ওয়াটার, জুস, ফ্লাওয়ার মিলসহ ১৫টি কারখানা স্থাপন করবে। এ ছাড়া মেঘনা গ্রুপ দেশি বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিক্রি করার জন্য ৮০টি শিল্পপ্লট তৈরী করেছে।
আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় আমাদের ক্রয়কৃত একশ পঞ্চাশ বিঘা জমির উপর বেসরকারিভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, আমার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশেষ অথনৈতিক অঞ্চল করার স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ৬শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল জানান, আমাদের দুটি র্অ্থনৈতিক ইতিমধ্যেই ৯শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, (ইউএনও) আবু নাছের ভূঁঞা জানান, সোনারগাঁয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠায় বেকার সমস্যা সমাধানসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।