পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনী জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে গ্রিক দেবী মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপন ধর্মহীনতার ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি বলেন এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর এদেশের মানুষ বেঈমান হয়ে যাবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে হবে। চিঠিপত্র দিয়ে হোক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হোক প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে মূর্তি অপসারণে সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ফেনী জেলা হেফাজতের উদ্যোগে শহরের মিজান ময়দানে আয়োজিত শানে রিসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা শফী আরো বলেন বিশ্বের বড় বড় বিধর্মী দেশগুলোতেও এ ধরনের কোন মূর্তি চোখে পড়েনি। আমেরিকা ও ইন্ডিয়ার সুপ্রিম কোর্টে এ রকম মূর্তি চোখে না পড়লেও বাংলাদেশে সরকার কার ইশারায় মূর্তি সংস্কৃতি চালু করেছে তা জাতির বোধগম্য নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। সরকারকে ধর্মহীনতা থেকে সরে এসে এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমানের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করার অনুরোধ করেন আহমদ শফী। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. আজিজুল হক ইসলামাবাদী । জেলা হেফাজতের সভাপতি মাও. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে মাও. ওমর ফারুক ও মুফতি ইলিয়াসের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মুফতি সাঈদ আহমদ, মাও. নুর ইসলাম আদীব, মুফতি শহীদুল্লাহ, মাও. আবুল কাশেম, আফজালুর রহমান, সাইফুদ্দিন কাসেমী, মাও. সাইদুর রহমান, আজিজুল্লাহ হেলাল, মুফতি আহমদুল্লাহ ও ফেনী আলীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেন, সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক মুরতাদরা রাষ্ট্রধর্ম তুলে দিতে চাইছে। তারা তাদের বিদেশি প্রভুদের নুন-রুটি হালাল করার জন্য এখন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি গণমুখী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে। সরকারের বসন্তের কোকিল মন্ত্রীরা তওহিদী জনতাকে হুমকি দিয়ে কথা বলছেন। বাম নাস্তিক নেতাদের মুখেও কেবল গালাগালি শোনা যাচ্ছে। পাঠ্যক্রমে নাস্তিকতা ও সাম্প্রদায়িকতা ঢুকিয়ে যারা নতুন প্রজন্মকে ঈমান ও ধর্মহীন করতে চেষ্টা করেছিল তারা এখন আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। দেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর লক্ষ্যে ভিনদেশি দালালচক্র নানামুখি উস্কানি দিচ্ছে। হেফাজত নেতৃবৃন্দের নামে মামলা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা এর স্পষ্ট আলামত। প্রধানমন্ত্রীকে সবদিক বিবেচনা করে ৯২ ভাগ মানুষের আশা আকাক্সক্ষা বহাল রাখতে হবে। দেশ ও জাতিবিরোধী অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া চলবে না। দেশের মানুষ হেফাজতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ। ইসলাম ও দেশবিরোধী কোন চক্রান্তই তারা সফল হতে দেবে না। সম্মেলনে জেলার বিশিষ্ট আলেম ওলামা, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এ আহমদ শফী’র হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।