পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল আলিম রানা (৩২) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল (শনিবার) সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালটিতে নিয়ে আসা হয়। তবে পরিবারের অভিযোগ পুলিশের নির্যাতনের কারণে রানার মৃত্যু হয়েছে। রানার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর শিবচরের চরবাঁচামরা গ্রামে। তিনি মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ি এলাকায় থাকতেন। তিনি ঠিকাদারির ব্যবসা করতেন।
রানার বাবা ইসমাইল আকন জানান, গত ১৯ তারিখ রাতে মোজাম্মেল নামে এক বন্ধু রানাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় জেনেভা ক্যাম্পে। সেখানে মাদক স¤্রাট পঁচিশ ও চুয়া সেলিমের লোকজন তাকে আটকে রাখে। তারা রানাকে মারধর করে কোমরে পিস্তল দিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ডাস্টবিনে ফেলে রাখে। পরে তারাই পুলিশে খবর দেয়।
তিনি জানান, ২০ তারিখ সকালে পুলিশ রানাকে পিস্তলসহ আটক করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে। পরে একদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে তা মঞ্জুর হয়। কিন্তু রানা অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে রিমান্ডে না নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে বাবা-মার সঙ্গে রানার দেখা করতে দেয়া হতো না বলে জানান ইসমাইল আকন। গতকাল (শনিবার) সকালে গেলেও তাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। দেখা করতে না পেরে তিনি বাইরে বসে ছিলেন তখন দেখেন তার ছেলেকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হচ্ছে। পুলিশের নির্যাতনের কারণে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাবা। কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী আবু হানিফ জানান, দুপুর ১২টার দিকে রানা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১টায় সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।