Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার সময় আবেদনের শুনানি ১২ মার্চ

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর হাতিরঝিলে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে তিন বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১২ মার্চ দিনধার্য করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এর আগে গত বুধবার সময় চেয়ে আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়।
বিজিএমইএ’র আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল বলেন, এটি (বিজিএমইএ) একটি বড় প্রতিষ্ঠান। বিপুলসংখ্যক মালামালসহ স্টেশনারি সরিয়ে নিতে সময় প্রয়োজন। এ জন্য তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। শুনানির জন্য আদালত ১২ মার্চ দিন ঠিক করেছেন। গত ৫ মার্চ বিজিএমইএর বহুতল ভবন ভাঙার বিষয়ে করা পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর ফলে ভবনটি ভাঙা ছাড়া আর কোনো পথ থাকল না।
এ ভবনটি কত দিনের মধ্যে ভেঙে সরিয়ে নিতে পারবে, সে বিষয়ে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে ৯ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। ওই দিন এ আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন আদালত।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন দায়ের করে বিজিএমইএ। এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়।
বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে রাজউককে লিগ্যাল নোটিশ
বিজিএমইএ ভবন ভাঙা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ সঠিকভাবে পালন না করায় রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এই নোটিশ পাঠান। সাত দিনের মধ্যে ভবন ভাঙার পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।  
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, আপিল বিভাগের রায় হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ভবন ভেঙে ফেলবেন, তা না করলে আদালত রাজউককে ভবন ভেঙে ফেলার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়। আপনি ওই রায়ের কপি পাওয়ার পর ৯০ দিনের সময়সীমা ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি শেষ হওয়া সত্তে¡ও বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আপনার এ কার্যক্রম আদালতের রায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা ও অমান্য করার শামিল, যা আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়ে।  আপনাকে এই মর্মে নোটিশ প্রদান করা যাচ্ছে যে, পত্রিকায় প্রকাশিত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে নোটিশ পাঠানোর পর ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত বিজিএমইএ ভবন ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ অবস্থায় নোটিশ প্রদানপূর্বক ৭ দিনের সময় প্রদান করা যাচ্ছে  যে, এ সময়ের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাকে অবহিত করবেন। অন্যথায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজিএমইএ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ