Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূর্তি থাকলে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ হবেনা- ইসলামী নেতৃবৃন্দের যৌথ বিবৃতি

ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি বাধা

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার  বিভিন্ন ইসলামী ও সমমনা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পাশে গ্রিক দেবী মূর্তি স্থাপন করায় ঈদগাহে কারো নামাজ আদায় হবে না।
এ মূর্তি স্থাপন এদেশের ৯৮% ভাগ মুসলমানদের ধর্মীয় আক্বিদার উপর চরম আঘাত। অবিলম্বে ইহা অপসারণ করতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা পরিষদ, কেন্দ্রীয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত-বাংলাদেশ, হাক্কানী আলেম সমাজ এর নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে একথা বলেছেন। তারা বলেন, হাদিস শরিফ অনুযায়ী মূর্তি তৈরি করা ও তার সামনে ডানে বামে পিছনে রেখে নামাজ আদায় করা হারাম তথা নাজায়েজ। অথচ সুপ্রিম কোর্টের সামনেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পাশে স্থাপন করা হয়েছে গ্রিক দেবী মূর্তি। মূর্তি থাকায় হাদিস শরিফ মতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে কারোর নামাজই হবে না। এখানে লাখো লোক নামাজ আদায় করলেও কারো নামাজই আদায় হবে না। সুতরাং হাজার হাজার লোকের নামাজ নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। এটা মানবাধিকারের নিকৃষ্টতম অবমাননা এবং নাগরিক অধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘন। হেদায়া, আলমগিরি, তাতারখানিয়া, ফতহুল কাদির ইত্যাদি প্রায় সমস্ত ফতোয়ার কিতাবে রয়েছে, মুসল্লির সামনে পিছনে উপরে নীচে, ডানে-বামে, যেখানেই প্রাণির ছবি, মূর্তি থাকুক না কেন তাতে নামাজ মাকরূহ তাহরিমি হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম বলেছেন, যে ঘরে প্রাণির ছবি, মূর্তি রয়েছে, সে ঘর থেকে তা সরিয়ে না ফেলা পর্যন্ত সে ঘরে প্রবেশ না করাই শরিয়তের নির্দেশ। ঐ ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না, যে ঘরে প্রাণির মূর্তি বা প্রাণির ছবি থাকে।
হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হুকুম করলেন, তিনি যেন পাথর দিয়ে কা’বা ঘরের মূর্তিগুলি ধ্বংস করে দেন। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কা’বা ঘরের মূর্তিগুলো ধ্বংস না করা পর্যন্ত কা’বা ঘরে প্রবেশ করলেন না। (আবু দাউদ শরীফ)
বিবৃতিতে তারা  আরো বলেন, যারা মূর্তি ও ছবি তৈরি করে বা আঁকে এদের সবার প্রতি হাদিস শরিফে লা’নত এর ঘোষণা।” (বুখারি শরিফ)
হাদিস শরিফ এ আরো বর্ণিত আছে, মূর্তি কাপড়ে, বিছানায়, মোহরে, মুদ্রা টাকার মধ্যে, পয়সার মধ্যে, পাত্রে কিংবা প্রাচীরের মধ্যে যেকোনো স্থানে আঁকা বা তৈরি করা হারাম।” (উমদাতুল কারি শরহে বুখারি, ফতোয়ায়ে ছিদ্দিকিয়া, আজ-জাওয়াজির, আত-তাওদিহ)  
মূর্তির উপাসনাকারীদের একমাত্র ঠিকানা জাহান্নাম উল্লেখ করে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- “পার্থিব জীবনে তোমাদের পারস্পরিক ভালবাসা রক্ষার জন্যে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে প্রতিমাগুলোকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছ। এরপর কেয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে অস্বীকার করবে এবং একে অপরকে লানত করবে। তোমাদের ঠিকানা জাহান্নাম এবং তোমাদের কোন সাহায্যকারী নেই।” (পবিত্র সূরা আনকাবুত ২৫)
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, আলহাজ লায়ন মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক সভাপতি আওয়ামী ওলামা কুরআন শিক্ষা মিশন। মাওলানা মুহম্মদ মোস্তফা চৌধুরী (বাগেরহাটী হুজুর) সভাপতি এতিমখানা কল্যাণ পরিষদ। মাওলানা আব্দুস সাত্তার  সভাপতি- ফিৎনা প্রতিরোধ কমিটি। মুফতি মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল হালীম সিরাজী সভাপতি- ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট। এইচএমএমএ সাত্তার সভাপতি- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ঐক্য পরিষদ। মাওলানা আব্দুল হালীম সিরাজি সভাপতি- ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট। ড. কাজি আহমাদুর রহমান, সভাপতি- হক্কানী তরিকত ফেডারেশন প্রমুখ।

ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি বাধা
গ্রিক দেবী মূর্তি অপসারণ করতে হবে-ইশা ছাত্র আন্দোলন
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেছেন, মিছিলে বাধা দিয়ে সরকার আমাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছে। সরকারের যেকোন গণবিরোধী কাজের প্রতিবাদ করা আমাদের নাগরিক অধিকার। কিন্তু আজকের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়ে আমাদের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যার পরিণাম কখনো শুভ হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবী মূর্তি অপসারণের দাবি ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিএম রুহুল আমীন।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অন্যতম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ। এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে ইসলাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ইসলামে মূর্তি কিংবা যেকোন প্রাণির ভাস্কর্য নিষিদ্ধ। কিন্তু এদেশের হাতে গোনা কয়েকটি নাস্তিকের চক্রান্তে সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবী মূর্তি স্থাপন করার মত দুঃসাহস সরকার দেখাচ্ছে। ইসলাম ও দেশবিরোধী এই চক্রান্ত কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। সারাদেশে একযোগে মূর্তি অপসারণের দাবি উঠেছে। অতএব সরকারের উচিৎ দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবী মূর্তি দ্রæত অপসারণ করা। যদি মূর্তি অপসারণ না করা হয় তবে সারাদেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। আর উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গ্রিক দেবী মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে সরকার দেশে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি বাস্তবায়ন করতে চায়। আমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও তাদের এ অপচেষ্টাকে রুখে দেব, ইনশাআল্লাহ। বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক নোমান আহমাদ প্রমুখ।



 

Show all comments
  • কাসেম ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:৫১ এএম says : 0
    পরিস্থিতি আরো খারাপ না হওয়ার আগেই সরকারের উচিত এটা অপসারণ করা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Hussain ১০ মার্চ, ২০১৭, ১:১০ এএম says : 0
    It must be removed from the spot.
    Total Reply(0) Reply
  • অলিউল্লাহ্ ১০ মার্চ, ২০১৭, ৮:৩৯ এএম says : 2
    আমি একজন দেশের নাগরিক অধিকার হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন যেহেতু সংখ্যার দিক দিয়ে আমরা মুসলিম বেশি, সেহেতু আমাদের এই দাবি মেনে নেওয়ার সরকারের একান্ত কর্তব্য ও দায়িত্ব ।যেটা নাকি সরকারের জন্য আগামী নির্বাচনে মাঠে খুবই গুরুত্ব পূর্ণ ফল ভয়ে আনবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Makbul ১০ মার্চ, ২০১৭, ৯:৫২ এএম says : 0
    এখন পর্যন্ত একটাই মাত্র ইস্যু মূর্তি অপসারণ। জনগণ কত শৃংখলাভাবে গণতান্ত্রিক ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সরকার তাতে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেনা। মনে রাখবেন এই আন্দোলন যখন তীব্র হবে, তখন ইস্যু একটা নয় অনেকগুলো ইস্যু সামনে এসে দাড়াবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shariful Islam Roney ১০ মার্চ, ২০১৭, ১:৩৯ পিএম says : 0
    eta to soTkik kothayy.....murti thakle to namaj hobena...eta oposaron kora houk..
    Total Reply(0) Reply
  • Mostaque Khan ১০ মার্চ, ২০১৭, ১:৪১ পিএম says : 1
    সঠিক বলেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Asraful Rowmari ১০ মার্চ, ২০১৭, ১:৪১ পিএম says : 0
    আমি আপনাদের সাথে এক মত আছি।
    Total Reply(0) Reply
  • মামুন বিকে ১০ মার্চ, ২০১৭, ২:২৮ পিএম says : 0
    আমাদের সরকার ভদ্রতা কে দুর্বলতা মনে করে
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ১০ মার্চ, ২০১৭, ২:৫৭ পিএম says : 0
    জুমার খুৎবায় বয়ানের সময় ইমাম সাহেব একদিন বলো, আমাদের প্রধানমন্রী একজন তাহাজ্জদ নামাজ আদায়কারিনী আল্লাহর বান্দী। তা হলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তিনি নিয়মিত পড়েন বলে প্রতিয়মান হয়। এখন প্রধান মন্রীর নিকট প্রশ্ন-- আপনি কি কোন দিন জাতীয় ঈদগায়ে মূর্তি সামনে রেখে নামাজ আদায় করবেন? আশা করি উত্তর হবে "না"। তাই মূর্তি সরানোর তড়িৎ ব্যবস্হা নিন।
    Total Reply(0) Reply
  • নুরুল আমীন ১১ মার্চ, ২০১৭, ১:৫৪ এএম says : 0
    আমি স্পস্ট ভাষায় বলতে চাই সরকার নিজেই আদালতের সামনে মূর্তি স্হাপন করে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • আলী আহমদপুর ১১ মার্চ, ২০১৭, ৩:১৩ পিএম says : 0
    ভাল খবর পাচ্চি, সব সময় ভাল খবর আশা করি।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ১২ মার্চ, ২০১৭, ৭:০৪ এএম says : 0
    মুরতি সরিয়ে,,,সউদি আরবের মতো,,, অনেক সুন্দর ইসলামী ভাস্কজ্য বানানো হক,,,সারা বাংলাদেশে,,,ধন্যবাদ সবাইকে,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • Zak ১২ মার্চ, ২০১৭, ১১:২৪ পিএম says : 0
    Assalamu Alaiekum WRWB. Dear brothers and sisters in Islam. I would like to request that, I am going to take some of your's valuable time here. (Hope you and Allah forgive me for any short comings). first of all I would like to request the authority to remove the statue, as it has created peoples concern. As a democratic country we should respect peoples values accordingly. My question to the institution who have assembled the statue. What was the reason behind it? If it was to increase the beauty of the place/location, there are so many artistic way it could be done. Instead of placing a statue there. The artist should be accommodating and respectful to the peoples culture and religions. Should have knowledge of places too? Authority of the Bangladesh should have some basic knowledge of the Islam and respect for it. Other wise how you going to serve the people of the country? Bangladesh is a prominent muslim country and it's people are very open and well coming to other religions/cultures. (Compare to many countries including the western democratic countries). Where people from minority religious back grounds they can't celebrate their religious holidays days nationally. Also they don't give national holiday to their people to celebrate their religious day. Also those minority religious people don't raise demand for that (God knows way). Bangladesh is totally different. Here we can celebrate all religious holidays nationally despite any religion. Regarding the statue, it's been forbidden in Islam, so the authority should respect peoples belief and remove it immediately without any delay. People of Bangladesh don't need to suffer from any impact of negative peoples intolerance behaviour. Some people they think doing that sort of artistic work is part of being modern culture? It's an intolerant behaviour which should be condemned by the civilised world. Islam is the mother of all civilisation. People need to study it and learn from it. Islam is not been sent only for the Muslim people. Islam been sent for the whole humanity, but we have closed mind and attitude towards it. We think it's only for Muslim people. Please lets open our mind and souls and see how the western world has benefited from the grate religion of Islam. For an example the Grate Britain, they have adapted their social, medical, and educational systems from the Islam. They have rip the benefit from it, as you can see through the history. So it's time for our people to learn from it. My humble request to muslim brothers and sisters through out the world. Please don't over react to any situation arise. It could be against your self or your religion. Take masseur according to the Islam, don't behave in a negative way and get sin for it from Allah. Islam is a religion of peace and tolerance, observe the patience. Our grate prophet Muhammad PBAH has sacrificed his life for this religion. By studying his life we can learn how to observed patient. May Allah give us the ability to learn and follow the grate religion of Islam accordingly. Ameen.
    Total Reply(0) Reply
  • ১৪ মার্চ, ২০১৭, ৪:২৯ পিএম says : 0
    ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্টে কোন ধর্মকেই অপমান অসন্মান বা ধর্মীয় আঘাত দেওয়া আমার মতে সংবিধান বিরুদ্ধ কাজ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূর্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ