টুইটার ডাউন: সমস্যায় কোটি ব্যবহারকারী
বিশ্বের অনেক দেশে ‘টুইটার ডাউন’। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটার সাপোর্ট সেন্টার টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছে।
শওকত আলম পলাশ : বিশ্বব্যাপী স্বতন্ত্র মোবাইল সাবস্ক্রাইবার বা সেলফোন সংযোগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা চলতি বছরের প্রথমার্ধেই ৫শ কোটি ছাড়িয়ে যাবে এবং চলতি দশকের শেষ নাগাদ ৫৭০ কোটিতে পৌঁছবে। টেলিযোগাযোগ শিল্পের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএর সাম্প্রতিক মোবাইল ইকোনমি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। জিএসএমএর তথ্যমতে, চলতি দশকে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ সেলফোন সংযোগসেবার আওতাভুক্ত হবে। সাবস্ক্রাইবার প্রবৃদ্ধিতে এ সময় সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজার। ২০২০ সাল নাগাদ শুধু ভারতের বাজার থেকে ৩১ কোটি নতুন স্বতন্ত্র সেলফোন সংযোগ ব্যবহারকারী যুক্ত হবে। জিএসএমএর প্রতিবেদনে মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ও স্মার্টফোন ব্যবহারে ধারাবাহিক পরিবর্তনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে দ্রæতগতির নেটওয়ার্কসেবা ব্যবহারের যে প্রবণতা, তা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সেবা ফাইভজি চালুর পথ সম্প্রসারণ করছে। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি, নতুন কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নে মোবাইল শিল্পের অবদান দিনকে দিন বাড়ছে।
জিএসএমএর মহাপরিচালক ম্যাটস গ্রানরিড বলেন, একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। খাতটি ঘিরে অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে নিয়মিত। বৈচিত্র্য ও নানা উত্থান-পতনের মাঝেও এ খাত দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। সেলফোন এখন বৈশ্বিক প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ সেলফোনসেবা পাচ্ছে। মোবাইল ডিভাইসে এখন নিত্যনতুন প্রযুক্তির সংযোজন করা হচ্ছে। বাজেটসাশ্রয়ী ও সহজলভ্যতার কারণে উন্নয়নশীল বিশ্ব অ্যাডভান্সড মোবাইল প্রযুক্তির কল্যাণে উপকৃত হচ্ছে। ডিজিটাল ইকোনমিতে সাধারণের উপস্থিতি এবং আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অংশগ্রহণ বাড়ছে।
তিনি বলেন, মোবাইল ইকোনমি শীর্ষক প্রতিবেদনে স্মার্টফোন ও দ্রæতগতির সংযোগ সুবিধার সর্বব্যাপ্তিতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল রূপান্তর প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে মোবাইল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচন করেছে। ২০১০ সালে মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কসেবা ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু করতে আরো অন্তত ৭০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো।
জিএসএমএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সাল শেষে বিশ্বব্যাপী স্বতন্ত্র মোবাইল সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৪৮০ কোটি ছাড়িয়েছে এবং সিম সংযোগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯০ কোটি। সেলফোন সংযোগ সংখ্যার ৫৫ শতাংশ মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। ২০২০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা তিন-চতুর্থাংশে পৌঁছবে। বর্তমানে বৈশ্বিক মোবাইল সাবস্ক্রাইবার সংখ্যার ২৩ শতাংশ ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। চলতি দশকের শেষ নাগাদ চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ৪১ শতাংশে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছর বিশ্বব্যাপী মোট ১৮৮টি দেশে ফোরজি এলটিই নেটওয়ার্কসেবা চালু হয়েছে। বর্তমানে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ ফোরজি নেটওয়ার্ক সেবার আওতায় এসেছে।
জিএসএমএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রথম ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হবে। ২০২৫ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশকে দ্রæতগতির ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময়ে ফাইভজি সেলফোন সংযোগ সংখ্যা ১১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
মোবাইল ইকোনমি শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বৈশ্বিক জিডিপিতে মোবাইল প্রযুক্তি ও সেবা খাতের অবদান দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, যার আর্থিক মূল্য ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জিডিপিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ৪ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বাস্তবে এমনটা হলে জিডিপিতে এ খাতের আর্থিক অবদান দাঁড়াবে ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। মোবাইল ইকোসিস্টেম গত বছর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ২ কোটি ৮৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আগামী দুই বছরে এ সংখ্যা ৩ কোটি ৯ লাখে পৌঁছবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।