পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত বুধবার ট্যারিফ আইন সংশোধনের বিলে সই করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশে নির্যাতিত নারীদের দিয়ে তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে পারবে না।
বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংশোধন করা ওই আইনে মানুষকে জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করে উৎপাদন করা পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৯৩০ সালের ট্যারিফ আইনটি ৮৫ বছর পর সংশোধন করা হয়। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দাসদের দিয়ে ধরা মাছ ও আফ্রিকায় সোনার খনি থেকে শিশুশ্রম ব্যবহার করে উত্তোলিত সোনা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে পারবে না।
বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ আইন সংশোধনের বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে জোর করে কাজ করানোর কোনো নজির নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগÑসিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি আরোপিতভাবে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় জোর করে কাজ করানোর বিষয়টি ঠিক আছে। কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের নিয়ে এটা বলা হলে তা হবে সম্পূর্ণ বাস্তবতাবিবর্জিত। এর আগে যখন জিএসপি স্থগিত করা হয়েছিল, তখন কিন্তু ১৬টি শর্তের কথা তারা বলেছিল।
আমরা বলেছিলাম, হ্যাঁ ওইসব জায়গায় আমাদের ঘাটতি আছে। সেগুলো আমরা ঠিক করার চেষ্টা করছি। অনেক কিছু করেছিও। তখন কিন্তু নির্যাতিত নারী শ্রমিকদের বিষয়টি বলা হয়নি। তাহলে এখন হঠাৎ কেন এই প্রসঙ্গ? বাংলাদেশের উচিত দ্রুত এর প্রতিবাদ করা।
‘কনফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স বাংলাদেশ’-এর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে ট্যারিফ আইনে যা বলা হয়েছে, সেটা অন্যায়। একজন শ্রমিক নেতা হিসেবে এবং নারী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখন আর বাংলাদেশের পোশাকের খুব বেশি ক্রেতা নেই উল্লেখ করে এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘গার্মেন্টসে কাজ করা নারী শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা মাঝে মধ্যেই বসছি। সেখানে তাদের অভিযোগ থাকলে সেগুলো নিয়ে মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান করি। মালিকরাও এক্ষেত্রে আন্তরিক। ফলে হঠাৎ করে এই প্রসঙ্গটি কেন এল তা আসলে আমরা বুঝতে পারছি না।’
রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টসে কাজ করা নারী শ্রমিকরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে অবহিত। ফলে তাদের নির্যাতন করে কাজ করানো যায় এমন ভাবা একেবারেই ঠিক নয়।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে অন্তত ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষকে এরকম জোর করে কাজ করানো হয়। এই অবৈধ শিল্প থেকে মুনাফা আসে বছরে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ট্যারিফ আইন সংশোধনের বিলটি তুলেছিলেন দেশটির ওহাইও অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান শ্যারড ব্রাউন। এপিকে বুধবার তিনি বলেন, ‘এটা ৮৫ বছর ধরেই আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর ছিল যে জোর করে কাজ করানো হয় এবং দাসের মতো আচরণ করা হয়Ñএমন মানুষদের তৈরি পণ্য আমরা আমদানি করছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের এই আইন বৈশ্বিক দাসত্ব দূরীকরণে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।