Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিডিআর বিদ্রোহের সময় কোথায় ছিলেন খালেদা প্রশ্ন হাছান মাহমুদের

প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকা-ে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করে তার বিচার দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি খালেদা জিয়াসহ আরও কারা কারা বিডিআর হত্যাকা-ে জড়িত ছিলেন, তা তদন্তের মাধ্যমে বের করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকারকে অনুরোধও জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি, দেশ ও জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রয়োজন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেন, বিডিআর হত্যাকা-ের সঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন। যেদিন বিডিআর হত্যাকা- সংঘটিত হয় সেদিন খালেদা জিয়া অনেক ভোরেই তার বাড়ি থেকে গোপনে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি কয়েকদিন তার বাসাতে ছিলেন না। তাই সেদিন তিনি এত ভোরে ঘুম থেকে উঠে কোথায় গিয়েছিলেন তা আগে জানতে হবে। যিনি কোনোদিন দুপুর ২টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না, রাত ৮টার আগে স্থায়ী কমিটির বৈঠক করতে পারেন না, কেন সেদিন তিনি এত ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাসা থেকে চলে গিয়েছিলেনÑএ প্রশ্ন পুরো জাতির, বলেন তিনি।
বিএনুিপকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান বলেন, তারা মানববন্ধন ও বিভিন্ন সভা করে বিডিআর হত্যাকা-ের আরও তদন্তের দাবি জানান। বিডিআর বিদ্রোহে যে সকল চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিলে তার প্রায় ৭০ ভাগই আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যেহেতু তারা আওয়ামী লীগ পরিবারের ছিল, তাই বিএনপির আমলে তাদের সেনাবাহিনী থেকে বের করে বিডিআরে দেয়া হয়েছিল।
তিনি দাবি করেন, বিডিআরের জওয়ানদের এটা কোনো বিদ্রোহ ছিল না। এটি একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।
‘গুরুজন’ হিসেবে খালেদা জিয়াকে ‘শ্রদ্ধা’ জানান দাবি করে একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে তার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমার গুরুজন। আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি জানতে চাই, তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে, নাকি শহীদদের অবমাননা করার জন্য।
এ সময় সামনের স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সাভারে স্মৃতিসৌধে না যেতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুঁশিয়ার করেন আওয়ামী লীগের হাছান মাহমুদ।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনি শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাই আপনি কেন শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। তারা আপনাকে প্রতিহত করতে পারে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী পায় না বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যে দলের নেতারা বোরকা পরে হাইকোর্টে যান, তারা কীভাবে ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী খুঁজে পাবে! বিএনপিকে সব ইউপিতে প্রার্থী দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। বিএনপি অভ্যাস পরিবর্তন না করলে শিরদাঁড়া সোজা করে হাঁটতে পারবে না।
আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সকল হত্যাকা-ের যখন বিচার হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। মঠ পুরোহিত হত্যাকা- তারই একটা অংশ। বাংলাদেশকে যারা পরিকল্পিতভাবে জঙ্গি ও আইএস রাষ্ট্র বানাতে চায়, বিএনপি-জামায়াত মূলত তাদেরকেই সহায়তা করছে। বিএনপির বর্তমান যে অবস্থা তাতে তারা আর কখনও বাংলাদেশের মাটিতে মেরুদ- সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না।
কামরুল নিজ দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী ৮ মার্চ আপিল ডিভিশন যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের রায় দেবে। তাই সকল নেতাকর্মীকে অতন্ত্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আব্দুল হাই কানু, বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজাউল করিম চৌধুরী বাবুল এবং আওয়ামী লীগ নেতা রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিডিআর বিদ্রোহের সময় কোথায় ছিলেন খালেদা প্রশ্ন হাছান মাহমুদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ