পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসান-উজ-জামান : নারী নির্যাতন-ধর্ষণ গর্হিত এবং পৈশাচিক অপরাধ। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে নারী নির্যাতন-ধর্ষণের অপরাধ ঘটছে। বিজ্ঞানের বৈপ্লবিক উন্নতির যুগেও সেই অপরাধ বন্ধ হয়নি। শিশু নির্যাতন-হত্যা-ধর্ষণ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে শুধু নয় উপমহাদেশে এই পৈশাচিকতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায়ই পত্রিকায় দেখা যায় ভারতের চলন্ত বাসে-ট্রেনে ধর্ষণের লোমহর্ষক ঘটনার খবর। সে ঘটনার প্রতিবাদে ঝড় উঠে। বাংলাদেশও সেই ঘৃন্য অপরাধের ঘটনা থেকে মুক্ত নয়। প্রগতিশীলতার নামে নীতি নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ, সভ্যতা-ভব্যতার শিক্ষা উঠে যাওয়ায় নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বন্ধে সরকার নতুন আইন-প্রণয়ন করে কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। কিন্তু সেই আইনকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু নষ্ট মানুষ, অপরাধের মাধ্যমে আয় রোজগার করছে। তারা শত্রুকে ফাঁসানো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আর স্বামী-স্ত্রীর বিরোধেও নারী নির্যাতন আইনকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করার ঘটনা ঘটছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কেএম রেজাউল ফিরোজ রিন্টু বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় যৌনপীড়ন এবং ৯ (৪) খ ধর্ষণের চেষ্টা করা, এই দু’টি ধারায় আদালত কিংবা থানায় অভিযোগ আনতে কোন ধরনের চিকিৎসক সনদ কিংবা আলামতের প্রয়োজন হয় না। যে কারণে কোন দুষ্টচক্র যে কোন নারীকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে উক্ত ধারা দু’টির অপব্যবহার করার সুযোগ নিতে পারে এবং নিচ্ছে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৪ এর স্পেশাল পিপি মোঃ ফোরকান মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ধরনের মামলার রায় দেন আদালত। তবে অধিকাংশ মামলায় দেখা যায় আসামিরা খালাস পান। সে ক্ষেত্রে বলা যায় এগুলো মিথ্যা মামলা। অনেক সময় দাম্পত্যকলহে অনেক স্ত্রী-স্বামীর বিরুদ্ধে ১১ (খ) ও ১১ (গ) ধারায় অভিযোগ এনে মামলা করেন। প্রমাণ হিসেবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের সাথে হলফনামা দাখিল করেন। কিন্তু এ ধরনের ৯০ শতাংশ মামলাই মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে টাকা-পয়সা নিয়ে স্ত্রী-বিচ্ছেদ ঘটান। অনেক সময় যে কোনভাবে আপস করেন।
শত্রু কিংবা প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর এখন মোক্ষম অস্ত্র হয়ে গেছে নারী নির্যাতন কিংবা ধর্ষণ মামলা। এ ধরনের মামলার বাদী হতে দুষ্টু নারীদের একটি সিন্ডিকেটও গড়ে উঠেছে। তাদের মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন অনেক নিরাপরাধ ব্যক্তি। ধর্ষণ, কিংবা ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়েরের প্রাক্কালে কোন ধরনের আলামত অথবা চিকিৎসা সনদের দরকার পড়ে না। যে কারণে নারী নির্যাতনের মামলায় ফাঁসিয়ে কেউ কেউ ঘায়েল করেছেন তার শত্রু পক্ষকে। আবার ধর্ষণের শিকার দাবিদার নারী আপোষের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় (মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে) যথাযথ প্রয়োগ হয় না বলে এ ধরনের মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরা বলছেন, এ ধরনের মামলায় পুলিশের তদন্তের প্রক্রিয়ার আরো হালনাগাদ জরুরী। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেছেন, ধর্ষণের শিকার নারীর শরীর কিংবা স্পট থেকে আলামত সংরক্ষণের পর তা পরীক্ষা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির ডিএনএ টেস্টেই বেরিয়ে আসবে প্রকৃত সত্যি। এতে করে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পাবেন নিরাপরাধ ব্যক্তি।
কেস স্ট্যাডি- এক : ঢাকার দোহারের বাসিন্দা ফিরোজা বেগম ওরফে ফেরু। গিয়াসউদ্দিন গোলাপ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্যই মামলা করেছেন ওই নারী। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিলা ইসমাইল ওই নারীকে এক বছরের কারাদ-াদেশ দেন। রায়ে বিচারক তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন।
কেস স্ট্যাডি-২ : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একটি নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের মামলা (নং-৩১, তারিখ-১০/০৪/০৮)। মামলার বাদিনি কাটাসুর নামাপাড়ার বাসিন্দা জাকির হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩২)। এজাহারের সূত্রমতে, অভিযোগ ছিলো প্রতিবেশি ফারুক হোসেন মোল্লা ও তার স্ত্রীর বড় ভাই মোহাম্মদ আলম ওই নারীর বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ আসামি গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। কিন্তু পুলিশের তদন্তের পরে আদালতে মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। সূত্র জানায়, ফারুক হোসেনের দায়ের করা মামলায় জাহানারার স্বামী জাকির হোসেনের ওই সময় জেলে ছিলেন। স্বামীকে জেল খাটানোয় জাহানারা ফারুককে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এক সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। জাহানারার ধর্ষণের মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী মামলায় উল্লেখিত সময়ে তিনি স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু জোরপূর্বক বলতে যা বোঝায় সে ধরনের কোন আলামত মেলেনি। স্বামীর অনুপস্থিতে মামলা করার জন্য ওই নারী কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে শত্রুর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
কেস স্ট্যাডি-৩ : গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজ ঢাল স্কুল গলির মজিবর মুন্সীর নিজ বাড়িতে যায় পুলিশের একটি টিম। ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে মজিবরকে। পুলিশ কোন কিছু না বলেই মজিবরকে টেনে- হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করে তোলে গাড়িতে। নিয়ে যায় থানায়। থানায় গিয়ে মজিবর জানতে পারেন তাকে একটি নারী নির্যাতন মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে থানায় আনার কয়েক ঘণ্টা আগে মামলাটি করেন জনৈক সাথী আক্তার (২৭)। অভিযোগকারী এজাহারে তার স্বামী টুলি মিয়া, গ্রাম- পাতিলঝাপ, থানা- নবাবগঞ্জ এবং ভাইয়ের ঠিকানায় নারায়ণগঞ্জ, বন্দর থানার পঞ্চবটি উল্লেখ করেছে। মামলায় অভিযোগ, মজিবর তার নিজ বাসায় অভিযোগকারীকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া মজিবর তার কাছ থেকে বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা নিয়েছিলেন। ওই টাকা আনতে গিয়েই ধর্ষণের শিকার হন তিনি। মজিববের গ্রেফতারের খবর শুনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার পিতা আজিম মিয়া মারা যান। আর গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মজিবরের শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দোর আলী হাওলাদার।
এ ঘটনার খোঁজ নিতে গেলে মামলার আসমি মজিবরের স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, তার স্বামী মামলার বাদী সাথী আক্তারকে কোনদিন চোখেই দেখেননি। মজিবরের শ্যালিকা শিরিনের বিয়ে হয় বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার চকমান গ্রামের ইনসের আলীর পুত্র রেজাউলের সাথে। দু’সন্তানের জননী শিরিন তার স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আদালতে মামলা করেন। শ্যালিকার করা চলমান ওই মামলাটি দেখাশোনা করেন মজিবর। অসহায় শিরিনকে নিজের বাসায় আশ্রয়ও দেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত ভায়রা রেজাউলের শত্রুতে পরিণত হয় মজিবর। আসমা বেগম বলেন, রেজাউল তার বোনকে দিয়ে ধর্ষণের মামলা করিয়ে গ্রেফতার করায় মজিবরকে। পুলিশ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘটন হবে। একইসাথে এটি যে একটি সাজানো মামলা সে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
থানা ও আদালত সূত্রমতে, নারী ও শিশু নির্যাতন যেমন বাড়ছে। তেমনি এ ধরনের মামলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানীর সব মামলাই সত্যি নয়। অনেক সময় ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোন দুষ্টু নারী কখনো কখনো এ ধরনের মিথ্যা মামলা করে। আবারো ওই ধরনের নারীকে ব্যবহার করে কেউ কেউ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল কিংবা শত্রুতা মেটাতে নারী নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। রাজধানীতে এ ধরনের মামলার বাদী হতে প্রতারক নারীর একটি সিন্ডিকেটও গড়ে উঠেছে। এমনও অভিযোগ রয়েছে, কোন কোন নারী স্বামী ও বয়ফ্রেন্ডের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে। পরে থানায় গিয়ে শত্রু পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করে। ডাক্তারি পরীক্ষায় সত্যতার প্রমাণও মেলে। এতে নিরাপরাধ আসামি আরো কাবু হয়ে পড়ে। কোন কোন ধর্ষণের মামলায় সময় উল্লেখ করা হয় মামলা দায়েরের কয়েকদিন আগের। ততদিনে ওই নারীর শরীরে ধর্ষণের আলামত না থাকলেও ঠিকই মামলা রুজু হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কেইসের বেলায় চিকিৎসকরা শুধুমাত্র ধর্ষিতার মেডিক্যাল টেস্ট (রেপ ভিকটিম এক্সজামিন) করেন। এ পরীক্ষায় অভিযোগকারীর ইন্টারকোর্স (যৌন সম্পর্ক) হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করা হয়। জোরপূর্বক (ফোর্স ফুল) আলামত পেলে তাও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কার দ্বারা কিংবা কতজনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছে সেটি এ পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে। তিনি বলেন, ভিকটিমের এ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষক কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। ধর্ষককে চিহ্নিত করতে হলে, অভিযোগকারী নারীর শরীরের কিংবা পোশাক ও বিছানার আলামত পরীক্ষা করতে হবে। এর পরে অভিযুক্ত ব্যক্তির ডিঅক্সিবাইবো নিউক্লিয়িক এসিড (ডিএনএ) টেস্ট করাতে হবে। একমাত্র ডিএনএন টেস্টের মাধ্যমেই এ ধরনের অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব। ডা. সোহেল বলেন, এ পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যালে কোন অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
আদালতের একটি সূত্র জানায়, মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা অনেক সময় আদালতে নিষ্পতির আগেই বাদী-বিবাদী নিজেরাই আপোষ করে নেয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কেএম রেজাউল ফিরাজ রিন্টু বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় যৌনপীড়ন এবং ৯ (৪) খ ধর্ষণের চেষ্টা করা, এই দু’টি ধারায় আদালত কিংবা থানায় অভিযোগ আনতে কোন ধরনের চিকিৎসক সনদ কিংবা আলামতের প্রয়োজন হয় না। যে কারণে কোন দুষ্টচক্র যে কোন নারীকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে উক্ত ধারা দু’টির অপব্যবহার করার সুযোগ নিতে পারে এবং নিচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করার পরেও এ ধরনের ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা অনেক ক্ষেত্রে কষ্টসাধ্য হয়। যদিও নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১৭ ধারায় বলা আছে, এ ধরনের মিথ্যা মামলা কিংবা অভিযোগ দায়ের ইত্যাদির শাস্তিতে অভিযোগকারীর ৭ বছরের সশ্রম কারাদ-ের বিধান আছে। এ ক্ষেত্রে ১৭ ধারার যথাযথ প্রয়োগ হলে মিথ্য মামলা দায়েরের প্রবণতা হ্রাস পাবে। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের মামলায় সত্যতার অভাব থাকে। প্রয়োজনীয় তদন্তের প্রক্রিয়া আরো হালনাগাদ (আপডেট) হওয়া দরকার। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের মামলায় বাদী ও আসামির কারোরই সঠিক ঠিকানা দেয়া হয় না। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ঠিকানা যাছাই-বাছাই করাও আদালতের পক্ষে সম্ভব হয় না। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে যথাযথ সত্য মেডিক্যাল পরীক্ষা একইসাথে অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্টও করা জরুরী। তাহলে বিষয়টির সুরাহা হয়ে যায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ এনে কোন নারী থানায় যাওয়া মাত্রই মামলা নেয় পুলিশ। নারী নির্যাতন মামলা বলেই অভিযোগের সত্যতা যাছাইয়ের আগেই দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে থানায় নেয়ার পরই বিবাদী জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে আণিত অভিযোগ সম্পর্কে। পুলিশের তদন্তে বাদীর অভিযোগ যতদিনে মিথ্যা প্রমাণিত হয় ততদিনে হয়তো বিনা বিচারে আসামিকে জেলহাজতে থাকতে হয়। ক্ষুণœ হয় তার সামাজিক মর্যাদা। অনেক সময় সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নারী নির্যাতনের মামলা হয়। কিন্তু মামলা দায়েরকালে বাদী কৌশলগত কারণে আসামির পরিচয় প্রকাশ করে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এ ধরনের মামলায় আসামির বক্তব্যের কোন যাছাই-বাছাই করেন না তদন্ত কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।