পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। কানসাস রাজ্যের একটি কারখানায় এ হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হয়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কারখানার আরও ১৪ কর্মী। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার কারখানার একাধিক স্পটে বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকলে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও নিহত হয়। বন্দুকধারী ওই কারখানার এক শ্রমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশ কর্মকর্তা শরিফ টি ওয়ালটন জানান, গোলাগুলির এ ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসী তৎপরতার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে কী কারণে বন্দুকধারী এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেনি পুলিশ। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনার সময়ে ফের এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটলো। ইতোমধ্যে অবাধে অস্ত্র প্রাপ্তি নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নতুন আইন অনুমোদন করেন। কংগ্রেসে অনুমোদন পেলে অস্ত্র কেনায় ওবামা প্রস্তাবিত নতুন এ আইন কার্যকর হবে।
খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার বিকালে হার্ভে কাউন্টির হেস্টনে ঘাস কাটার যন্ত্র তৈরির একটি কারখানায় গোলাগুলির ঘটনায় আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। হার্ভে কাউন্টির শেরিফ টি ওয়াল্টন জানান, সেডরিক ফোর্ড নামের ৩৮ বছর বয়সী ওই বন্দুকধারী কারখানায় ঢোকার আগে তিনবার গুলি ছোড়েন। প্রথম ঘটনায় নিউটন এলাকায় ট্রাক চালানোর সময় এক ব্যক্তির কাঁধে গুলি লাগে। সেখান থেকে এক্সেল ইন্ডাস্ট্রিজে যাওয়ার পথে এক পথচারীর পায়ে গুলি করেন সেই বন্দুকধারী। এরপর কারখানায় ঢুকে পার্কিং এলাকায় গুলি চালান। শেরিফ জানান, পার্কিং লট থেকে কারখানায় ঢোকার পর নির্বিচার গুলি চালাতে থাকেন ওই ব্যক্তি। পরে তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ওয়াল্টন বলেন, এখানে যা ঘটে গেছে তা ভয়ঙ্কর। উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে মিশিগানে এক ট্যাক্সিচালক তার গাড়ি নিয়ে ঘুরে ঘুরে ছয়জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এ ধরনের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি জোরের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। বিবিসি,রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।