পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফেরাতে নেতাকর্মীদের বুলেট উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে গণঅন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী প্রত্যাগত প্রবাসী দল আয়োজিত এক প্রবাসী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির এ বক্তব্য উদ্ধৃত করে খন্দকার মাহবুব বলেন, আপনি যা বলেছেন তা ঠিক আছে, কিন্তু আদালতে যেন রাজনীতি না ঢোকে সেদিকে আপনাদের দৃষ্টি রাখতে হবে, যাতে জনগণের কাছে আপনাদের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ না হয়। সরকারকে বিদায়ে বাধ্য করতে হবে বলে মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা যদি একবার সাহস করে রাস্তায় নামি তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে লাখো মানুষের ঢল নামবে। ফলে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। সেমিনার, সভা-সমাবেশ করে কোনো লাভ হবে না। সরকারকে বিদায় করার একমাত্র পথ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু একজন আইনজীবী হিসেবে আমি বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলা প্রত্যাহার চাই না, বিচারের সম্মুখীন হতে চাই। তবে একটা কথা, তাঁর বিরুদ্ধে কেন এসব মামলা হয়েছে? এক-এগারোর সময় থেকে এসব মামলা দেয়া শুরু হয়, আওয়ামী সরকারের সময়েও মামলা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তারা ভুল করেছে। কেননা, মামলা দিয়ে তাকে নাস্তানুবাদ করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, সরকার মামলা-হামলা করে বিএনপিকে ধ্বংস করে দিতে চায়। সারা দেশে আমাদের ৫০ লক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মী সরকারের জুলুমের মধ্যে রয়েছেন। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন, তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে চায়। তারা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায়, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফলে নৌকার জয়-জয়কার হয়েছে। অন্যদিকে, ধানের শীষের ভরাডুবি ঘটেছে অর্থাৎ দেশবাসীর কাছে বিএনপির কোনো জনপ্রিয়তা নেই। সরকার মনে করেছে, বিশ্ববাসী নির্বাচনের কারচুপির খবর জানতে পারবে না। কিন্তু দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়া সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।