Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রাণসংহারি রাজনীতির শেষ কোথায়

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহিউদ্দিন খান মোহন : ক্রসফায়ার শব্দটি বর্তমানে আমাদের দেশে বহুল প্রচারিত ও পরিচিত শব্দ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে দুর্বৃত্তদের নিহত হওয়ার ঘটনাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্রসফায়ার হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দেয়, সংবাদ সম্মেলন করে। তবে এটা প্রকৃতপক্ষে ক্রসফায়ার নয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে যখন নিরীহ পথচারী বা আশপাশে অবস্থানরত কোনো সাধারণ মানুষ নিহত হয়, সেটাকে বলা হয় ক্রসফায়ার। তেমনি কিছু ক্রসফায়ারের ঘটনার কথা উঠে এসেছে কালের কণ্ঠের একটি প্রতিবেদনে। গত ১১ ফেব্রæয়ারি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে গত পনের বছরে রাজনৈতিক ক্রসফায়ারে সংঘটিত বেশ কিছু হত্যাকাÐের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনাগুলো সবারই জানা। বিশেষত প্রতিটি ঘটনাই দেশব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল। প্রতিবেদনটিতে গত কয়েক বছরে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহতদের সংখ্যাও তুলে ধরা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে চলতি বছরে গত এক মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে পাঁচজন। আর ২০১৬ সালে ৯০৭টি ঘটনায় ১৭৭ জন নিহত ও ১১ হাজার ৪৬২ জন আহত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংঘর্ষে মারা গেছে ১৩৪ জন, আর ২০১৫ সালে বিএনপি জোটের অবরোধকে কেন্দ্র করে ১৩৭ জনসহ মোট নিহতের সংখ্যা ১৫৩। ২০১৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে প্রাণ গেছে ১৪৭ জনের। 

পরিসংখ্যান দিতে গেলে আরো দেয়া যাবে। তবে, সেটা খুব একটা দরকার আছে বলে মনে হয় না। কেননা, চলমান সময়ে সংঘটিত এসব ঘটনা বলা যায় আমাদের চোখের সামনেই ঘটছে। এসব ঘটনা জনমনে ভীতি সঞ্চারের পাশাপাশি একটি প্রশ্নেরও উদ্রেক করেছে। প্রশ্নটি হলো- আমাদের রাজনীতি এমন সহিংস হয়ে উঠলো কেন? স্বাধীনতা পূর্বকালে রাজনৈতিক সংঘাত- মূলত ছিল সরকারি বাহিনী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে। কিন্তু বর্তমানে তা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষ, একই দলের নানা উপদল বা গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষে স্থান করে নিয়েছে। বলাটা অসঙ্গত নয় যে, রাজনীতি কলুষিত হওয়ার কারণেই আজ এ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজনীতি কোনো পেশা নয়, ব্রত। এক সময়ে রাজনীতি ছিল অত্যস্ত সম্মানীয় কাজ। যারা জাতীয় রাজনীতি বা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতেন, তাদের মানুষ সম্মানের চোখে দেখত। কারণ, তারা জানত, যিনি রাজনীতি করছেন, তিনি দেশ, জাতি এবং মানুষের কল্যাণেই সময়, মেধা এবং অর্থ ব্যয় করছেন। যারা রাজনীতি করতেন তারাও এই ভেবে তৃপ্তি বোধ করতেন যে, তিনি একটি জনগোষ্ঠী তথা মানুষের জন্য কিছু ভালো কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এক্ষেত্রে তার বড় প্রাপ্তি ছিল মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং মর্যাদা। আমরা যদি পেছন ফিরে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো সেসব মহান রাজনীতিকদের ছবি, যাঁরা আমাদের এ দেশ, এদেশের মানুষের জন্য জীবনের মূল্যবান সময় অকাতরে ব্যয় করে গেছেন। ব্যক্তিস্বার্থ তাঁদের কাছে কখনো প্রাধান্য পায়নি। এটা ঠিক, প্রতিপক্ষকে জব্দ বা পরাজিত করতে তাঁদের কেউ কেউ হয়তো কোনো কোনো সময় নানা রকম কূটচাল চেলেছেন, চালাকি করেছেন। কিন্তু প্রতিদ্ব›দ্বীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বা হত্যা করে পথের কাঁটা সরিয়ে দেয়ার মতো ঘৃণ্য পন্থা তাঁরা অবলম্বন করেননি। বরং এমনও দৃষ্টান্ত আছে, পরস্পর ঘোরতর বিরোধিতায় লিপ্ত দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা কোনো এক উপলক্ষে একত্রিত হয়ে মেতে উঠেছেন হাসি-ঠাট্টায়, খোশগল্পে।
কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই। এখন রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শত্রæতায়। এখন আর কেউ কারো প্রতিদ্ব›দ্বী বা প্রতিপক্ষ নয়, দুশমন। সে শত্রæকে সমূলে বিনাশ করে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম কাজটি করতেও তারা দ্বিধা করেন না। কাজের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের চিন্তা এখন রাজনীতির অনেক মানুষের মধ্যেই নেই। তার পরিবর্তে গুÐা মাস্তান পুষে নিজের শক্তি বৃদ্ধিকেই কেউ কেউ উত্তম পন্থা বলে বিবেচনা করেন। তাদের কাছে সাধারণ মানুষ বা দলের সাধারণ নিরীহ নেতাকর্মীর চেয়ে সন্ত্রাসী মাস্তানের কদর বেশি। বলা নিষ্প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গনে এ প্রবণতা এখন এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, সেখানে ভালো মানুষ খুঁজতে গেলে হতাশ হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
রাজনীতি শব্দটি শুনলেই মানুষ এখন ভ্রæকুঞ্চিত করে, নাক সিটকায়। সাধারণ মানুষের কাছে রাজনীতি এখন এমন একটি কাজ, যা মানুষকে যন্ত্রণা দেয়। রাজনীতির আগুনে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যায় কতো সংসার, কতো জীবন! তাই ‘রাজনীতি করি’ বললে শুনতে হয় ‘ওপথে না যাওয়াই ভালো’ অথবা ‘ওপথ ছেড়ে দাও’ জাতীয় উপদেশ। জনমনে রাজনীতি সমন্ধে এই যে নেতিবাচক ধারণা, এর জন্য দায়ী অন্য কেউ নয়, রাজনীতিকরাই। তারা তাদের কাজকর্মের দ্বারা জনমনে এমন ধারণা তৈরি করে দিয়েছেন যে, এ কাজটি শুধুই আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কতিপয় লোক করে থাকে। অথচ এ রাজনীতি আমাদেরকে গণতন্ত্র দিয়েছে, একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছে, কথা বলার অধিকার অবারিত করার সুযোগ করে দিয়েছে।
‘রাজনতি আজ কলুষিত’- কথাটির সঙ্গে সর্বাংশে একমত কিংবা দ্বিমত পোষণের অবকাশ কম। রাজনীতি কলুষিত হয়েছে, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তপনা, অনৈতিকতা রাজনীতিকে গ্রাস করেছে এটা ঠিক। তবে, এখনো কিছু কিছু রাজনীতিক আছেন যারা দেশ, জাতি নিয়ে ভাবেন, কথা বলেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা এতটাই অল্প যে, তাদের সে কথা কলুষিতদের কোলাহলে হারিয়ে যায়।
শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ড. হুমায়ুন আজাদের একটি বইয়ের নাম ‘সব কিছু চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে’। তার অনেক কথা বা মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও এ কথার সঙ্গে দ্বিমতের অবকাশ খুব কম। নৈতিক অবক্ষয়ের যে ধারা আমাদের সমাজে ক্রমাগত অগ্রসরমান, রাজনীতি তার বাইরে থাকেনি। বরং বলা যায়, সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের চেয়ে এখানে অবক্ষয়টা একটু বেশি মাত্রায় বিস্তার লাভ করেছে। আর সেজন্যই দেখা যায়, আদর্শের প্রতি সারাজীবন অবিচল থেকে সর্বস্ব খুঁইয়ে নিঃস্ব হয়েছে যে মানুষটি, এমপি নির্বাচনে মনোনয়ন তার ভাগ্যে জুটলো না। সেটা ছিনতাই করে নিল কোনো এক ধনবান ব্যক্তি, যার বিত্তবৈভবের উৎপত্তি মানুষের অজানা। অবৈধ অর্থ সম্পদের অধিকারী সে ব্যক্তি আদর্শ দিয়ে নয়, টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনার মতো সবই কিনে নিতে চায়। আর মানুষকে বশে রাখার জন্য তার প্রয়োজন মাসলম্যানের।
রাজনীতি এখন আর রাজনীবিদদের হাতে নেই, চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে- একথা প্রায় শোনা যায়। কথাটি অমূলক নয়। অনেকে বলেন, আগে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে আসতো, এখন রাজনীতিবিদরাই ব্যবসায়ী হয়ে যায়। এ ব্যবসা বিভিন্ন ধরনের। মনোনয়ন বাণিজ্য, পদ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, এমন কোনো বাণিজ্য নেই যা কিছু রাজনীতিক করেন না। এরা আবার সবদিক ম্যানেজ করতে পারদর্শী। ফলে হরেক রকম অনৈতিক কাজে লিপ্ত থেকেও এরা থাকেন সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই খবর হয়- সংসদে কোরাম সংকট। কেন সংকট? কারণ সংসদ সদস্যরা গরহাজির। কেন তারা গরহাজির? কারণ সংসদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপরের বক্তৃতা আর স্পীকারের কথা শোনার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাদের পড়ে আছে। কী সে কাজ? এলাকায় বরাদ্দকৃত গম ভাগ করা, চেয়ারম্যান মেম্বার কাকে বানানো যায় তা ঠিক করা, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা কমিটিতে নিজের লোকদের জায়গা করে দেয়া, উন্নয়ন কাজের টেন্ডার নিগোসিয়েশন করাসহ কতো কাজ তাদের! এসব ফেলে সংসদে বেহুদা বক্তৃতায় কানপাতার কোনো মানে হয়? তাই অনেকেই বেশিরভাগ সময় সংসদ ফ্লোরে পা রাখতে চান না। জাতীয় সংসদকে রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করার কথা প্রায় সময়ই শোনা গেলেও আমাদের জাতীয় সংসদ আজও তা হতে পারল না। অংশ গ্রহণমূলক রাজনীতির অনুপস্থিতিই যে এর প্রধান কারণ এটা অস্বীকার করা যাবে না।
রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হবে, দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে বাঁচাতে হবে, অবক্ষয়ের ধারা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে ইত্যকার কথাবার্তা প্রায় শোনা যায়। কিন্তু কীভাবে এসব করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয় না। দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির যে কু-প্রভাব সমাজের তৃণমূলে পড়ছে তার উৎস সন্ধানে যেতে হবে আগে। স্মরণে রাখতে হবে চীনা প্রবাদ- ‘মাছের পচন শুরু হয় মাথা থেকে।’ ঠিক তেমনি সমাজ বা রাষ্ট্রের পচনটাও শুরু হয় ওপর থেকেই। ওপরের আশ্রয়-প্রশ্রয় আশীর্বাদ ছাড়া নিচের দিকে কেউ কি যা খুশী তাই করতে পারে? এটাতো এখন সাধারণ মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেছে যে, কারো গায়ে যদি একটি রাজনৈতিক দলের জার্সি থাকে, তাহলে তার গায়ে আঁচড় কাটা প্রায় অসম্ভব। পত্রিকায় যখন ছবি ছাপা হয় ‘মাননীয় মন্ত্রী’ কিংবা সংসদ সদস্যের পাশে হত্যা মামলার আসামী বসে কিংবা দাঁড়িয়ে আছে, তখন বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়, পচনটা কীভাবে শুরু হয়েছে। সমাজে অগ্রহণযোগ্য মানুষেরা যখন সম্মানীয় আসন গ্রহণ করে, তখন দুর্বৃত্ত দুষ্কৃতকারীদের নর্তন কুর্দন বৃদ্ধি তো পাবেই।
বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তার সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধে মন্তব্য করেছেন- ‘জনসেবার লক্ষ্য থেকে রাজনীতি যখন বিচ্যুত হয়, তখন রাজনীতি গণতন্ত্র থেকেও বিচ্যুত হয়’ (যুগান্তর, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭)। তার এ মন্তব্য আমাদের বর্তমান রাজনীতির ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনীতি আজ জনসেবার পরিবর্তে কতিপয় মানুষের আত্মসেবার মাধ্যম হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মানুষ এখন রাজনীতিকে বলে ‘সবচেয়ে ভালো ব্যবসা’। কারণ, রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে সব জায়গায় অগ্রাধিকার পাওয়া যায়, সুবিধা আদায়ে সুবিধা হয়। রাস্তা বেরাস্তা দিয়ে অর্থ আগমনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রাজনীতি এখন যেন এক পরশ পাথর! এর স্পর্শে দুর্বৃত্ত হয়ে যায় সমাজসেবক- জননেতা, কপর্দকহীন রকেট গতিতে হয়ে যায় কোটিপতি। রাজনীতির মূলনীতিই যেন এখন হয়ে উঠেছে- ‘দল কর, মাল কামাও’। নীতি নৈতিকাতার কোনো ঠাঁই এখন আর এখানে নেই। যেহেতু জনসেবার চিন্তা মাথায় নেই, তাই জনগণের ইচ্ছা অনিচ্ছার ধার ধারারইবা প্রয়োজনটা কী? ফলে কী দলে, কী দেশে গণতন্ত্র দিন কে দিন হয়ে উঠছে সোনার হরিণ!
কালের কণ্ঠের উল্লিখিত প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিয়া রহমান মন্তব্য করেছেন- ‘মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা সম্পন্ন ও উদার মানুষ রাজনীতিতে আসছে না। সুবিধাবাদী, পেশিশক্তি ও অশিক্ষিত লোকজন রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠায় রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটছে।’ এ মন্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার অবকাশ নেই। কেননা, আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা স্বার্থোদ্ধারের জন্য যেকোন অপরাধ করতে পিছ পা হয় না। রাজনীতিতে আজ সে ধরনের লোকজনের আধিক্য সৃষ্টি করছে সংঘাতময় পরিস্থিতি! তারা স্বীয় স্বার্থের জন্য যেমন জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে দ্বিধা করে না, তেমনি বিন্দুমাত্র চিন্তা করে না অপরের মাথায় বাড়ি দিতে। এরাই রাজনীতিকে করে তুলেছে কলুষিত। যার কারণে রাজনীতি আজ ধারণ করেছে প্রাণসংহারি রূপ।
দেশ ও জাতি নিয়ে যারা ভাবেন তারা অবশ্য বলেন যে, ভালো মানুষের অংশগ্রহণ কমে যাওয়াতেই রাজনীতি আজ প্রাণসংহারি রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু কেন ভালো মানুষেরা রাজনীতিতে আসছে না তাও কারো অজানা নয়। খারাপের আধিক্যই যে তাদেরকে এ ব্রত গ্রহণে নিরুৎসাহিত করছে সেটা না বললেও চলে। তাই বলে কি এ অবক্ষয়ের ধারা চলতেই থাকবে? আশাবাদীরা বলে থাকেন, সবকিছুরই শেষ আছে। তেমনি আজকের দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতিরও অবসান ঘটবে। তবে সেজন্য জেগে উঠতে হবে রাজনীতির প্রধান নিয়ামক জনগণকেই। তারা যদি খারাপ মানুষগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে, তাহলেই রাজনীতি হয়ে উঠবে পরিশীলিত, স্বচ্ছ। ফিরে পাবে তার চিরন্তন অবয়ব।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ