Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফাল্গুনী বৃষ্টিতে সর্বত্র স্বস্তি

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গতরাতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অপ্রত্যাশিত ফাল্গুনী বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে আসে। এক পশলা বৃষ্টির পর হিমেল হাওয়ার পরশে জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ধুলো বালিতে অস্থির জনজীবনে অবশেষে অপ্রত্যাশার বৃষ্টির দেখা মিলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপরে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। গাছ-গাছালি বৃষ্টির পানি পেয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে। দুপুর একটা থেকে দুটা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী অজোর ধারায় বৃষ্টিপাতে সর্বত্রই স্বস্তি বিরাজ করছে। ফাল্গুনের দুপুরে এমন বৃষ্টিতে হঠাৎ স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। এমন বৃষ্টিতে সবাই খুশি, বৃষ্টিকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছে সবাই। অনেককেই বৃষ্টির পানিতে ভিজতে দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শুষ্ক আবহাওয়ায় মাঠ-ঘাট শুকিয়ে থাকার কারণে এই বৃষ্টিকে ইরি-বোরো ধান, শাক-সবজি, মৌসুমী ফসল, আমের মুকুল, নারিকেল-সুপারির ফলন ও গাছ-পালার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে মনে করছেন এ অঞ্চলের জনসাধারণ।
গত কয়েকদিন থেকে জেলার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা ও মৃদবাতাশ প্রবাহিত হয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশ আংশিক মেঘলা ছিলো। দুপুরে মুশলধারে ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টিপাতের সাথে সদর উপজেলার জকশিন এলাকায় রাস্তার ধারের কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়া ছাড়া কোথায়ও বড় ধরনেরর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃষ্টিপাতের ফলে নারকেল-সুপারির রাজধানী খ্যাত লক্ষ্মীপুরে নারকেল-সুপারির, সোয়াবিন, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
জেলার রামগঞ্জ, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আকাশে মেঘাছন্ন ভাব বিরাজ করছে এবং মৃদ বাতাস বইছে। এসব এলাকায় যে কোন সময় ভারী বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নরসিংদীতে মওসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাত
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : গত বুধবার রাতে মওসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়েছে নরসিংদী জেলায়। রাত আনুমানিক দেড়টায় বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খামারেরচর, পুটিমারা, রহিমেরকান্দী গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে মওসুমি শাকসবজি, ফলমূলের গাছগাছালি ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার লোকজন জানিয়েছে, সন্ধ্যার দিকে আকাশে হালকা মেঘের আনাগোনা ছিল। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সারা আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হয় বজ্রপাত। এরপর ব্যাপক বজ্রপাতের সাথে সাথে শুরু হয় প্রচন্ড বাতাস। বাতাস চলাকালেই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। দীর্ঘ প্রায় আধা ঘণ্টাকাল ঘূর্ণিঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটে। ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাত চলাকালে নারায়ণপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার রিনা বেগম ও জনৈক মোশাররফ হোসেনের পোল্ট্রি ফার্ম ভেঙে পড়ে। এতে ফার্মের ৩ হাজার মুরগির বাচ্চা মারা যায়। ফার্ম দু’টির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কমবেশি ৫ লাখ টাকা। এছাড়া ঝড়ে এলাকার নুরুল ইসলাম, আঙ্গুর মিয়া, হানিফ মিয়াসহ বহুসংখ্যক কৃষকের করলা, আলু, বেগুন, লাউ, টমেটো ও শিমের মাচা ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়া আম, লিচুর মুকুলের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। অনেক গাছগাছালির ডালপালা ভেঙে পড়ে। বিদ্যুৎ লাইনেরও বেশ ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মনোহরদী, কাপাশিয়া, শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মওসুমের প্রথম বৃষ্টিপাতেরও খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘ আধ ঘন্টাব্যাপী বৃষ্টিপাতে জনজীবনে অনেকটাই স্বস্তি নেমে আসে। চাষিরা জানিয়েছেন, এই বৃষ্টি কৃষির জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে। বিশেষ করে ইরি ধানের জন্য এ বৃষ্টি খুবই উপকারী হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ