Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অগ্রগতি গর্ব করার মতো -বাণিজ্যমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ওষুধ শিল্পের রপ্তানিতে ১০ শতাংশ প্রণোদনা দাবি উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের ওষুধ শিল্পের
আমাদের ওষুধ শিল্প মানসম্মত পর্যায়ে -সালমান এফ রহমান
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের অগ্রগতি এখন গর্ব করার মতো। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নবম ‘এশিয়া ফার্মা এক্সপো’ ২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে অনুষ্ঠানে ওষুধ রপ্তানিতে প্রণোদনা চেয়েছেন ওষুধ শিল্প উৎপাদক ও রপ্তানিকারকরা। তারা বলেন, বিশ্বের ১শ’২৩টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। তাই এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে ওষুধ রপ্তানিতে ১০ শতাংশ প্রণোদনা দিতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঠিক পরে আমরা ৭০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতাম। কিন্তু এখন দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বিশ্বের ১২৭টি দেশে বাংলাদেশ উৎপাদিত মানসম্মত ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের এ অগ্রগতি গর্ব করার মতো। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর জন্য আমরা কাজ করবো, যাতে উদ্যোক্তারা ভালো মানের ওষুধ তৈরি করে আরও দেশে রপ্তানি করতে পারেন। প্রণোদনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আবেদন করুন। আমরা দিবো। আমরা চেষ্টা করব যাতে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টে ক্যাশ ইনসেন্টিভ দিতে পারি। একই সঙ্গে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধ রপ্তানিতে বাংলাদেশের সুবিধা কাজে লাগাতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের ওষুধ শিল্প এখন একটি মানসম্মত পর্যায়ে চলে এসেছে। আমাদের দেশে তৈরি ওষুধের মানও আগের থেকে অনেক বেড়েছে। এখন আমাদের রপ্তানির দিকে নজর দিতে হবে। আর রপ্তানি করতে হলে একটি শক্ত ভিত্তি দেশে গড়তে হবে।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ওষুধ শিল্পে রপ্তানি বাড়াতে হলে বিদেশ থেকে আনা কাঁচামালের ওপর ডিউটি ফি কমাতে হবে। দেখা যায় একটি দেশে আমরা চাইলেই রপ্তানি করতে পারছি না। ওই দেশে নির্দিষ্ট ওষুধ ও কোম্পানির নাম রেজিস্ট্রেশন করার পরই আমরা রপ্তানি করতে পারি। তাই এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের এবং সরকারকে আরও কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে অন্যান্য রফতানি পণ্যের মতো ওষুধ রফতানিতে প্রণোদনা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্থানীয় পর্যায়ে ওষুধের দাম কমাতে ও মাণ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ উৎপাদকদের আরও আন্তরিক হতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, ওষুধের বিশ্ববাজার ভারতের দখলে। বাংলাদেশেরও ওষুধ রপ্তানির বাজার দখলের সুযোগ রয়েছে। গত ৫ বছরে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা চলমান রয়েছে। এখন প্রয়োজন সার্বিক সহযোগিতা।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি আয়োজিত এ এক্সপো চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এক্সপো খোলা থাকবে। এবারের এক্সপোতে আমেরিকা, জাপান, চীন ও ভারতসহ মোট ৩৫টি দেশের ৫শ’ ওষুধ কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। আয়োজনে রয়েছে ফার্মা প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, বায়োটেক ল্যাব ইকুইপমেন্ট, এপিআই ম্যানুফেকচারিং প্যান্টস ও মেশিনারিজ, ফার্মা ফর্মুলেশন্স ও কন্ট্রাক্ট ম্যানুফেকচারিং। এতে দেশি উদ্যোক্তারা ওষুধ শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল সম্পর্কে জানতে পারবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সমিতির সহ-সভাপতি মো. হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান সাবেক মহাসচিব ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মোক্তাদির প্রমুখ।



 

Show all comments
  • জাহিদ আল বিরুনী ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ পিএম says : 0
    অগ্রগতি .......... হয়ছে ...........................!! দেশের না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যমন্ত্রী

২৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ