পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পাঁচ বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের শিকার সিরিয়াতে যুদ্ধ বন্ধের একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশে^র শ্রেষ্ঠ দুই সামরিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এ ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এর প্রতি রয়েছে জাতিসংঘের সমর্থন। সিরিয়ার বিরোধী গ্রুপ এ সাময়িক যুদ্ধ বিরতি মানতে সম্মত বলে জানিয়েছে। তবে যুদ্ধ বিরতির জন্য তাদের শর্ত আরোপ করেছে। এ বিষয়সহ আল নুসরা ও ইসলামিক স্টেটকে যুদ্ধ বিরতির বাইরে রাখার কারণে তা বাস্তবায়ন হলেও নজরদারি করা কঠিন হতে পারে বলে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বার্তা সংস্থা ডি ডব্লিউ জানায়, সিরিয়ার প্রধান বিরোধী গ্রুপ দু’সপ্তাহের সাময়িক যুদ্ধ বিরতি মানতে প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে বৈরিতা বন্ধ হবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এ যুদ্ধ বিরতির ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে।
সউদি সমর্থিত উচ্চ আলোচনা কমিটি (এইচএনসি) বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা দু’সপ্তাহের এ সাময়িক যুদ্ধ বিরতিকে এ বিষয়ে উপনীত ঐকমত্যের দফাগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে অন্যপক্ষ কতটা আন্তরিক তা পরীক্ষা একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধী রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে নিয়ে গঠিত এ কমিটি বলে, তাদের দাবির একটি বড় তালিকা আছে যা কোনো যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার আগে মিটাতে হবে। বিরোধী গ্রুপের প্রধান উদ্বেগগুলোর একটি হল যুদ্ধ বিরতির নিশ্চয়তা বিধানকারী হিসেবে রাশিয়ার ভূমিকা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়া বাশারের সমর্থনে সিরিয়ায় তার বিরোধীদের উপর বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে তুরস্কও যুদ্ধ বিরতি বিষয়ে বুধবার তার সংশয়ের কথা ব্যক্ত করেছে। প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, আংকারা যুদ্ধ বিরতির ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত, কিন্তু উদ্বিগ্ন যে এ চুক্তি বাশারের সরকারী বাহিনীকে একটি সুবিধাজনক অবস্থায় আনবে।
এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ বিরতি সমর্থন করি যা আমাদের সিরীয় ভাইদের শ^াস ফেলার সুযোগ দেবে। তবে এ যুদ্ধ বিরতি হচ্ছে বাশার প্রশাসনের প্রতি সুস্পষ্ট সমর্থন।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সিরিয়ায় বৈরিতা বন্ধ কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেন যে এ যুদ্ধ বিরতি সিরিয়ার সংকটজনক পরিস্থিতির মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে পারে। জাতিসংঘ আশা করছে যে পরিকল্পিত যুদ্ধ বিরতি সিরিয়ার শান্তি আলোচনার জন্য শ^াস ফেলার পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। ৪ মার্চ থেকে এ শান্তি আলোচনা শুরু হবে।
সিরিয়ার যুদ্ধে লিপ্তদের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের মধ্যে বলতে হবে যে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার জন্য তারা বৈরিতা বন্ধে সম্মত কিনা।
যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয় তাহলে এ যুদ্ধ বিরতি ৫ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান হতে পারে। এতে ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ লোক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
নভেম্বরে ভিয়েনায় এক বৈঠকে বিশ^শক্তিগুলো এক উচ্চাকাক্সক্ষী কিন্তু বাস্তবায়ন করা যেতে পারে এমন এমন একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে যাতে সিরিয়ার বিভিন্ন পক্ষে মধ্যে ৬ মাস ধরে আলোচনা অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। পরে ১৮ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান রচনা ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাশার সরকার ১৩ এপ্রিল সিরিয়ার নিয়মিত পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সোমবার ঘোষণা করেছে।
বিবিসি জানায়, এই যুদ্ধবিরতি অবশ্য ইসলামিক স্টেট এবং আল কায়েদার সাথে সম্পর্কিত গোষ্ঠী আল-নুসরা ফ্রন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তবে অন্যত্রও যে এই চুক্তি কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
সিরিয়া সরকার বলেছে, তারা ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করবে না।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফান ডি মিস্টুরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কি না এবং সব পক্ষ তা মেনে চলবে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে ওয়াশিংটন এবং রাশিয়াকেই। কিন্তু এই মেনে নেয়ার সাথে বহু রকমের শর্ত জড়িত। বিদ্রোহী গ্রুপ দাবি করেছে, যুদ্ধ বিরতির আগে সরকারকে বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো থেকে সরকারী বাহিনীর অবরোধ তুলে নিতে হবে, বিমান এবং কামান থেকে বোমা ও গোলাবর্ষণও বন্ধ করতে হবে।
এ কারণেই জাতিসংঘের ডেপুটি মহাসচিব ইয়ান এলিয়াসন বলছেন, যুদ্ধবিরতি পালিত হচ্ছে কিনা তার ওপর নজরদারি করা সহজ হবে না। যুদ্ধবিরতি যদি এমন হয় যার আওতায় দায়েশ (আইএস) এবং আল-নুসরার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পড়বে না, তাহলে তার ওপর নজর রাখাটা বিরাট এক চ্যালেঞ্জ হবে।
সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত টিভি ও রেডিও থেকে বলা হয়েছে যে সরকার যুদ্ধ বিরতি মেনে নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।