বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
জালাল উদ্দিন ওমর : আমাদের শেয়ার বাজারে একটা অস্থিরতা লেগেই আছে। আজ শেয়ার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তো, কাল আবার নিম্নমুখী। আজকে সূচক বাড়লে, কালকে আবার কমে। কালকে কমলে পরশু আবার বাড়ে। এ যেন তৈলাক্ত বাঁশে বানরের উঠানামা। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রবণতা চলছে। কয়েক লাখ বিনিয়োগকারী ইতোমধ্যেই শেয়ার মার্কেটে তাদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এরা অতীতে রাজপথে অনেক আন্দোলন করেছে। অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নিজেদের কপাল নিজেরাই পিটিয়েছে। অনেকে অঝোর ধারায় কেঁদেছে। কেউ কেউ আত্মহত্যাও করেছে। কখন কোন শেয়ারের দাম বাড়বে আর কখন কমবে তার কোন হিসাব নেই। এখানে কোন অংক নেই, কোন সূত্র নেই। চলছে উত্থান-পতনের লুকোচুরি খেলা। একটা তুঘলকি কান্ডের ভিতর দিয়েই শেয়ার বাজার তার দিন অতিক্রম করছে। অথচ শেয়ার বাজার একটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্থনৈতিক চিত্রকে প্রতিফলিত করে। তাই দেশের উন্নতির স্বার্থেই শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। তার জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা, নীতিমালা এবং গাইডলাইন।
শেয়ারবাজার নিয়ে কিছু বলার আগে এর উৎপত্তি এবং গতি প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা দরকার। ইউরোপে শিল্প বিল্পবের সূচনা লগ্নেই শেয়ার বাজারের উৎপত্তি। ইউরোপের কৃষিজীবী মানুষেরা যখন শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে তখন শেয়ার প্রসঙ্গটির সূচনা হয়। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠায় অনেক টাকার প্রয়োজন হয়, যাহা একজন ব্যক্তির পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। এ অবস্থায় যৌথমালিকানার প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ অনেক ব্যক্তি মিলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় অনেক অংশীদারিত্ব সৃষ্টি হয়। এক একটি অংশীদারিত্ব মানেই এক একটি শেয়ার। একাধিক ব্যক্তির যৌথ মালিকানা বা শেয়ারের সমন্বয়ে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং এই শেয়ার হোল্ডাররা সবাই প্রতিষ্ঠানের মালিক। যার শেয়ার যতটুকু, তিনি প্রতিষ্ঠানের ততটুকু অংশের মালিক। এই মালিকানা আবার ইচ্ছে করলে পরিবর্তন করা যায়। কেউ যদি তার শেয়ারটি বিক্রি করে দেন তাহলে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা হারান এবং যিনি ঐ শেয়ারটি কিনে নেন, তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন করেন। এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা হয়। এই পদ্ধতির আধুনিক সংস্করণ বর্তমান শেয়ার ব্যবস্থা। এটা শেয়ার বাজারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, স্থায়িত্ব এবং বিকাশের জন্য ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিকানাকে একাধিক শেয়ারে বিভক্ত করার কোন বিকল্প নেই। কারণ একজন ব্যক্তির পক্ষে একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ যোগান সবসময় সম্ভব হয় না। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক যখন একজন হয়, তখন তার ইচ্ছাতেই ঐ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। তিনি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হয়। ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার যোগ্য উত্তরসূরি ঐ প্রতিষ্ঠানের হাল ধরতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে যায়। অপরদিকে যৌথ শেয়ার বা মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে মালিকদের সমন্বয়ে একটি পরিচালনা বোর্ড থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়। এক বা একাধিক মালিক/শেয়ার হোল্ডারের মৃত্যুর কারণে প্রতিষ্ঠানটির কোন ক্ষতি হয় না। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকে। এ কারণেই শেয়ারবাজারের এত গ্রহণযোগ্যতা। পুঁজিবাদী দেশগুলোতে অবাধ ব্যক্তি মালিকানার কারণে সেখানে শেয়ার বাজার ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। যেখানে এই শেয়ার বাজারের কার্যক্রম চলে সেটাকে আমরা স্টক এক্সচেঞ্জ বলি। একটি প্রতিষ্ঠান তার প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহের জন্য বাজারে শেয়ার বিক্রি করে। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে জনগণ ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন করে এবং প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার বিক্রি করে তার প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি বছরের ব্যবসা বাণিজ্যের হিসাব শেষে অর্জিত লাভের একটি অংশ শেয়ার হোল্ডারদের কাছে বণ্টন করে। এভাবে শেয়ার হোল্ডাররা ওই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগকৃত অর্থের জন্য মুনাফা অর্জন করে। আবার একজন ব্যক্তি তার শেয়ার অপরের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেও মুনাফা অর্জন করে, যা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এ হচ্ছে শেয়ার ব্যবসার সার সংক্ষেপ। যে কোম্পানির ব্যবসা ভাল, বণ্টিত মুনাফার পরিমাণ বেশি, সেই কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বেশি এবং এর চাহিদাও বেশি ।
এবার আমাদের শেয়ার বাজারের চিত্রটা একটু বিশ্লেষণ করি। দেশে বর্তমানে দুটি শেয়ার বাজার রয়েছে। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। এই দুই বাজারের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসার কার্যক্রম চলে। শেয়ার বাজারকে কেন্দ্র করে অনেক ব্রোকারেজ হাউজ গড়ে ওঠেছে, যাদের মাধ্যমে শেয়ার কেনা বেচা হয়। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের শেয়ার বাজারের চিত্রটা অনেকটা ভিন্ন। এখানে অনেকে তাড়াতাড়ি ধনী হবার জন্য শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। অনেক সরকারি চাকরিজীবী তাদের অবসর বেনিফিটের পুরো টাকাই শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করেছে। আবার অনেক ছাত্র পড়ালেখার পাশাপাশি শেয়ার বাজারে জড়িত হয়েছে। সবারই উদ্দেশ্য কিন্তু তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়া এবং সর্টকার্টে টাকা কামানো। অনেকেই কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার সময় সেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চিত্র এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় খোঁজ-খবর নেয় না। অনেক দিন ধরেই মুনাফা দিচ্ছে না, এমন কোম্পানির শেয়ারও তারা কিনছে। এই যে তাড়াতাড়ি বড়লোক হবার প্রবণতা এটা কিন্তু আমাদের শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন, অস্থিতিশীলতা এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। মনে করি ‘এ’ একটি কোম্পানি, যার একটি শেয়ারের আসল মূল্য ১০০ টাকা। প্রথম ব্যক্তি ১০০ টাকা মূল্য দিয়ে কোম্পানিটির একটি শেয়ার কিনল। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি ১০০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করল। প্রথম ব্যক্তি ১১০ টাকা মূল্যে শেয়ারটি দ্বিতীয় এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করল এবং এতে প্রথম ব্যক্তি ১০ টাকা মুনাফা অর্জন করল। দ্বিতীয় ব্যক্তি ১২০ টাকা দিয়ে শেয়ারটি তৃতীয় এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করল এবং এতে তিনিও ১০ টাকা মুনাফা অর্জন করল। এভাবে ক্রমাগত দাম বাড়ল এবং প্রত্যেকেই মুনাফা অর্জন করল। মনে করি, শেষ ব্যক্তি শেয়ারটি ২০০ টাকা দামে ক্রয় করল এবং এ অবস্থায় শেয়ারটির দাম না বেড়ে কমা শুরু করল। ফলে শেষের ব্যক্তি সরাসরি ক্ষতির মুখোমুখি হল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শেয়ারটির দাম দ্বিগুণ হলো কেন? কারণটা হচ্ছে কারসাজি আর কিছু লোক না বুঝে হুজুগে লাভের আশায় শেয়ারটি কিনেছে। তাছাড়া একটি পক্ষ নিজেরাই এই শেয়ারটির দাম বাড়িয়েছে এবং নিজেদের লোকেরাই তা কিনেছে। এভাবে দাম বাড়িয়ে তা শেষোক্ত ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে নিজেরা সটকে পড়েছে। এখানে শেয়ারের কাগজটা হাতবদল হয়েছে। এতে কোম্পানির কোন মূলধনও বাড়েনি এবং দেশের অর্থনীতিরও কোন উপকার হয়নি। শেয়ারটির দাম দ্বিগুণ হলেও, কোম্পানির মূলধন কিন্তু ১০০ টাকাই রয়ে গেছে। মাঝখানে কিছু লোক শেয়ারটা হাতবদল করে কিছু পয়সা কামিয়েছে আর শেষোক্ত ব্যক্তি লোকসান দিয়েছে। মূল্য বৃদ্ধি না হবার কারণে শেষের ব্যক্তিটি শেয়ারটা আর বিক্রি করতে পারছে না এবং তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হল। বর্তমানে শেয়ার বাজারে যারা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন তারা সবাই কিন্তু শেষোক্ত শ্রেণির অর্ন্তভুক্ত। তারা সবাই শেয়ার কিনে বসে আছে কিন্তু দাম না বাড়ার কারণে সেই শেয়ার আর বিক্রি করতে পারছে না। ফলে তারা ক্ষতির সম্মুখীন। এ অবস্থায় তারা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসতেও পারছে না।
এদিকে কোম্পানিগুলো যখন বাজারে শেয়ার ছাড়ে, তখন অনেক কোম্পানির পরিচালকদের কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্য থাকে। উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। মনে করুন একটি কোম্পানির ১০ কোটি টাকা মূলধন প্রয়োজন। পরিচালকরা যদি কোম্পানির জন্য ওই টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে, তাহলে ব্যাংকের কাছে কিছু জমি জামানত হিসাবে বন্ধক দিতে হবে। এই ঋণ ঠিক মতো পরিশোধ না করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোম্পানির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলা করবে এবং বন্ধকি জমি বিক্রি করে ঋণ আদায় করবে। আর কোম্পানি ঠিকমত ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করলেও তাকে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ সুদ প্রদান করতে হবে। কিন্তু কোম্পানি যদি ওই ১০ কোটি টাকা শেয়ার মার্কেট থেকে সংগ্রহ করে তাহলে তাকে কোন জমি জামানত দিতে হচ্ছে না। কোম্পানি যদি প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ১০০০ টাকা নির্ধারণ করে তাহলে একলাখ শেয়ার হবে এবং কমপক্ষে কয়েক হাজার মানুষ এই শেয়ারগুলোর মালিক হবে। কোম্পানি যদি বছর শেষে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে সংগৃহীত টাকার বিপরীতে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে তাহলেও কোম্পানির ৫ শতাংশ টাকা অতিরিক্ত লাভ হলো। কারণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে ১৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হতো। অপরদিকে কোম্পানি যদি মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হয় এবং শেয়ার হোল্ডারদেরকে কোন লভ্যাংশ প্রদান না করে তবু কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশনে যাবার বা মামলা করার সুযোগ কম। কারণ কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারদের সংখ্যা কয়েক হাজার, যারা সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং যাদের মধ্যে কোন ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম নেই। এমনকি কেউ কাউকে চেনেও না। তাই তারা কোম্পানির বিরুদ্ধে একত্রিত হবার সুযোগ পায় না। আবার তারা ১০০০ টাকা বা এর গুনিতক সংখ্যক শেয়ার মূল্যের জন্য বা এর লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য মামলা করতে যায় না। তারা এই ক্ষতিটাকে স্বাভাবিক হিসাবে মেনে নেয়। এই সুযোগে কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রদান না করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। এই প্রবণতাও আমাদের শেয়ার বাজারে কমবেশি বিদ্যমান। শেয়ার বাজারের অস্থিরতার জন্য এটাও কিন্তু অনেকাংশে দায়ী।
এ অবস্থায় শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতা চলছে। শেয়ার বাজারে জড়িতদের অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ একটি পক্ষ কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে এবং মাঝখান থেকে মুনাফা করে শেয়ার মার্কেট থেকে বেরিয়ে পড়েছে। এ কারণে শেয়ার বাজারকে গতিশীল করার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে। শেয়ারবাজারে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং তা গতিশীল হবার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার স্বার্থেই পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে হবে। ফটকাবাজদের হাত থেকে একে রক্ষা করতে হবে। কেউ যাতে কোন অবস্থাতেই বাজারকে কৃত্রিমভাবে ম্যানুফুলেট করতে না পারে, সে জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। শেয়ার বাজারের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাজ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। আমি মনে করি, পুরো জিনিসটাই আবার নতুনভাবে শুরু করতে হবে। শেয়ার বাজারকে পুর্নগঠন করতে হবে। আর যারা পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ করছে, তাদের উচিত এ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। আর তাড়াতাড়ি ধনী হবার প্রবণতা বাদ দিতে হবে। কারণ না বুঝে তাড়াতাড়ি ধনী হবার চেষ্টায় পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে তার পরিণতি শুভ হবে না। মনে রাখতে হবে, শর্ট টার্ম গেইন, মানে হচ্ছে লং টার্ম পেইন।
য় লেখক : প্রকৌশলী ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।