পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আইফোনের লক খুলতে এফবিআইয়ের আবেদনের আবারো সমালোচনা করলেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। গত ডিসেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনোয় হত্যাকারীদের ব্যবহৃত অ্যাপলের আইফোনের লক খোলার জন্য আদালতে আবেদন করেছে এফবিআই।
তবে টিম কুক বলছেন, এফবিআই যে অনুরোধ করেছে, তা তাদের লাখ লাখ গ্রাহককে বিপদে ফেলবে, যা অনেকটা ক্যান্সারের মতো। কারণ তিনি মনে করেন, মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মি. কুক অবশ্য দাবি করেছেন, গোয়েন্দাদের ওই দাবির বিষয়টি প্রথমে তিনি মিডিয়ার মাধ্যমেই জেনেছেন। তিনি বলেন, দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এমন কোনো ব্যাপারের ব্যবস্থাপনা এভাবে হওয়া উচিত নয়।
যদিও তার এই দাবি নাচক করে দিয়েছে তদন্তকারীরা।
নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, অ্যাপল উল্টো এমন একটি সফটওয়্যার আপডেট করছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানই আর আইফোন হ্যাক করতে পারবে না।
আজ শুক্রবার আদালতে এফবিআইয়ের ওই আবেদনের জবাব দেবে অ্যাপল।
সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক তার স্ত্রী তাসফিন মালিককে নিয়ে গত ডিসেম্বরে সান বার্নার্দিনোয় গুলি চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করেন।
অ্যাপল ও এফবিআইয়ের এই বিরোধে আমেরিকান জনগণের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেকে এফবিআইয়ের পদক্ষেপের পক্ষে, আবার অনেকের আশংকা, এর ফলে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণœ হবে।
এদিকে বুধবার এবিসি টিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে টিম কুক বলেন, এফবিআইয়ের দাবী মেনে নিতে বাধ্য করা হলে তা আমেরিকার জন্য খুবই খারাপ হবে। এ কারণে আমরা তাদের দাবী না মানার কঠিন ও সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছি। গত সপ্তাহে আমেরিকার একটি ফেডারেল আদালতের সাথে অ্যাপলের অচলাবস্থা দেখা দেওয়ার পর টিম কুকের এটাই প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য।
মার্কিন ফেডারেল আদালতের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা কেবল আইফোনের কিছু নিরাপত্তা সিস্টেম জানার জন্য অ্যাপলের সহযোগিতা চাচ্ছেন। অ্যাপল কর্তৃপক্ষ যুক্তি দিচ্ছে যে এটা করা হলে ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষ বা অপরাধীদের হ্যাকিং করার ক্ষেত্রে অন্যান্য আইফোনকে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।
অপরদিকে অ্যাপল এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ে অন্য উপায়েরও উদ্যোগ নিয়েছে। আদালতে এফবিআইয়ের মোকাবেলা করার পাশাপাশি তারা বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে যাওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছে। তারা কংগ্রেসের কাছে মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর আওতায় সুরক্ষার আহ্বান জানাবে। অ্যাপল চাচ্ছে যে তাদের বিষয়টির সিদ্ধান্ত মার্কিন কংগ্রেস থেকে আসা উচিত।
ইতিমধ্যে এফবিআইয়ের সঙ্গে অ্যাপলের এই লড়াইয়ে ফেইসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গসহ প্রযুক্তি জগতের অন্যান্য নেতাও এ্যাপলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। গুগল, ইয়াহু, ড্রপবক্স ও লিংকডিনের মতো আইটি হেভিওয়েটরা অ্যাপলের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা এই পদক্ষেপ এবং ব্যক্তির উপর নজরদারী করা ও তাদের তথ্যে প্রবেশ সংশ্লিষ্ট সরকারী আইন পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি, ফক্স নিউজ, এবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।