পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ জন্মের পর ভবন থেকে নিচে ফেলে দেয়া নবজাতক ২৪ দিন পর গতকাল ‘বেবি অব বিউটি’ গতকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) খাজা আবদুল গফুর।
উল্লেখ্য, গত ১লা ফেব্রুয়ারি সকালে রমনার বেইলি রোডের পিঠাঘর-সংলগ্ন ২৬ নম্বর প্রোপার্টিজ ম্যানশনের ছয়তলার বেলকনি থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ ওই ছেলে নবজাতকটিকে ফেলে দেন মা বিউটি বেগম। শিশুটি তখন দ্বিতীয়তলার কার্নিশে পড়ে। বিউটি ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। পরে আশপাশের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করে। এর দুই দিন পর সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে (ওয়ার্ড নম্বর-২১১) ‘বেবি অব বিউটি’ নামে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে ভবন থেকে ফেলে দেবার পর তার পায়ে ইনজুরি হয়েছিল। এছাড়া শরীরে ইন্টারনাল ইনজুরিও ছিল। আর চিকিৎসাধীন নবজাতকের মা বিউটি গর্ভধারণ, সন্তান প্রসব, সন্তান ছুড়ে ফেলা এবং পরবর্তী বাস্তবতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ট্রমায় ভুগছেন। তার শারীরিক সুস্থতার পর কাউন্সেলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা এবং বর্তমানে তিনি তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মাস আগে কুমিল্লায় বড় বোন লিপি আক্তারের বাসায় বেড়াতে যান বিউটি। সেখানে তার বোনের স্বামী নীরব ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি গোপন রাখেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বেইলী রোডের বাসায় তিনি প্রসব করেন। জন্মের পর জানাজানির ভয়ে তিনি নবজাতকটিকে ছয়তলার ওপর থেকে নিচে ফেলে দেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে ভগ্নিপতি অজিত ওরফে নীরবকে আসামি করে মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তিনি গর্ভধারণ করেন। সামাজিক লজ্জার ভয়ে নবজাতককে বাড়ির বারান্দা থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।