পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে। বাংলাদেশে উৎপাদিত চা বিশ^মানের। সরকার চায়ের চাহিদা পূরণ করতে আমদানির বদলে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে আন্তরিক। মন্ত্রী বলেন, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার চাঁদপুরে স্পেশাল ইকনমিক জোনের কারণে যাতে চা বাগানের কোন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিবে। চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার স্বল্প সুদে লোন প্রদান এবং নিম্নমানের চা আমদানির বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হবে।
গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান আর্দাশির কবীর এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের চায়ের গৌরব উজ্জ্বল অতীত রয়েছে। এ মুহূর্তে প্রায় এক লাখ শ্রমিক চা বাগানে সরাসরি কাজ করছে। এ চা শিল্পের সাথে দেশের প্রায় দশ লাখ মানুষ জড়িত। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের মাটি উন্নত চা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এখানে উন্নত মানের চা উৎপাদিত ও বিদেশে রপ্তানি হয়। আমাদের ঐতিহ্যবাহী চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।
চা সংসদের পক্ষ থেকে বিদেশ থেকে নিম্নমানের চা আমদানি বন্ধ বা উচ্চ শুল্কহার আরোপ, চা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানের জন্য স্বল্প সুদে লোন প্রদান এবং চুনারুঘাট উপজেলায় চা বাগান নষ্ট করে স্পেশাল ইকনমিক জোন তৈরী বন্ধের আহ্বান জানালে মন্ত্রী বিষয়গুলো সহানুভূতির সাথে বিবেচনার জন্য আশ^াস প্রদান করেন। চা বাগানের নামে ইজারা প্রদত্ত জমি স্পেশাল ইকনমিক জোন নির্মাণে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, চা শিল্প রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। চা শিল্প বিকাশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যা যা করনীয় আছে সবকিছুই করা হবে। চা বাগান সষ্ট করে কিছু করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই। বিষয় গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। চা শিল্পের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশী চা সংসদের সিনিয়ন ভাইস চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান, কমিটি মেম্বার ওয়াহিদুল হক, মো. সাপওয়ান চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান একিউআই চৌধুরী, সিলেট প্ল্যানটার্স লি.-এর এমডি এ কে আজাদ, সাবাজপুর টি কোম্পানী লি.-এর পরিচালক তপন চৌধুরী, ফিনলে টি-এর চেয়ারম্যান আজম জে. চৌধুরী এবং হালদা ভেলি টি কোং লি.এর এমডি নাদের খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।