পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাগেরহাটের র্যাব ও কোস্টগার্ডের তিন সদস্য হত্যা মামলায় বিভক্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার নিয়মিত আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল (মঙ্গলবার) বিভক্ত এ রায় দেন।
রায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বিচারিক আদালতের দেয়া ছয় ডাকাতের ফাঁসি ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ থেকে খালাস দিলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি সব আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় দিয়েছেন।
আদালতে এক আসামির পক্ষে ছিলেন প্রবীর হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান (রুবেল) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ। পলাতকদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মমতাজ বেগম।
২০১৪ সালে এ মামলার পলাতক আসামি ইলিয়াস হোসেন দেশে এসে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন। সে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করে গতকাল হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণা করলো।
জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী, দ্বিধাবিভক্ত রায় এলে মামলা নিষ্পত্তির জন্য একজন বিচারপতির বেঞ্চ (একক বেঞ্চ) গঠন করে দিবেন প্রধান বিচারপতি।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীতে অভিযানে যায় র্যাব ও কোস্টগার্ডের একটি দল। অভিযানে ডাকাতদের একটি ট্রলারে র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উঠে পড়লে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা কোস্টগার্ড সদস্য এমএইচ কবির, এমএ ইসলাম ও র্যাব সদস্য পিসি কাঞ্চনকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরদিন পশুর নদী থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের নয় বছর পর ছয় ডাকাতের ফাঁসি ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। নিম্ন আদালতের রায়ে ফাঁসি দ-প্রাপ্তরা হলেন- মোড়েলগঞ্জ উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের রফিকুল শেখ, কুদ্দুস শেখ, ইদ্রিস শেখ, বাবুল শেখ এবং খাল খুলিয়া গ্রামের আলকাত ফকির ও ইলিয়াস শেখ। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেন- গাবগাছিয়া গ্রামের আকরাম শেখ, আলম শেখ, বাদশা শেখ, জামাল শেখ, কামাল ওরফে সুমন শেখ, রিয়াজুল শেখ ও হোগলা ডাঙ্গা গ্রামের আসলাম শেখ। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় নান্না শেখ ও মিজানুর রহমান নামে দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আসামিদের মধ্যে খালাস পাওয়া দুজন ছাড়া বাকিরা পলাতক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।