পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন কমিটির নেতাদের সাথে সিরিজ বৈঠক
স্টাফ রিপোর্টার : দলের বিভিন্ন স্তরের কমিটির নেতাদের সাথে সিরিজ বৈঠক করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের কথা শুনেছেন। নেতারা স্ব স্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, অভিযোগও করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া নেতাদের কথা যেমন শুনেছেন, পাশাপাশি বলেছেনও। প্রাধান্য ছিল নতুন সিইসি ও সাংগঠনিক। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নোট নিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠকে অংশ নেয়া নেতারা ইনকিলাবকে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন নেতাদের প্রস্তুত হবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সংগঠনকেও প্রস্তুত করার জন্য ভূমিকা রাখতে বলেছেন। এ প্রস্তুতি আন্দোলন ও নির্বাচনকে ঘিরে। জনগণের কাছে যেতে বলেছেন।
গতকাল দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছেন। এর আগে রোববার রাতে দলের ভাইস-চেয়ারম্যানদের সাথে। দুই বৈঠকে প্রায় শতনেতা অংশ নেন। রাত ৯টা থেকে কোনোদিন দেড়ঘণ্টা আবার কোনটি তার চেয়েও বেশি সময় ধরে করেছেন।
রোববার রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভাইস-চেয়ারম্যানরা জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিগত দিনের হবু সিইসির কার্যক্রম, সিইসি হওয়ার পর ফুলেল শুভেচ্ছা প্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারা বলেছেন, নতুন কমিশনের অন্যদের বেলায় সমালোচনা না থাকলেও সিইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। নতুন সিইসির অভিজ্ঞতার স্বল্পতা, করপোরেট একটি গ্রুপে চাকরি করা, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে দায়িত্ব পালনকরাসহ বিভিন্ন বিষয়েও কথা বলেছেন তারা। নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
দলীয় প্রসঙ্গ টেনে নেতারা বলেছেন, দলীয় ও জাতীয় ইস্যুভিত্তি আন্দোলনে থাকতে হবে। একই সাথে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। শক্তিশালী সংগঠন ও অপ্রতিরোদ্ধ আন্দোলন-এই দুইয়ের মিশ্রণে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করা সম্ভব বলে মত দেন নেতারা। তবে নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া না নেয়ার বিষয়টি এখনই ফোকাসে আনার স্বপক্ষে নন নেতারা। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা আদায়ের জন্য আন্দোলনের কর্মকৌশল প্রণয়নের জন্য চেয়ারপারসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বেশ কয়েজন ভাইস-চেয়ারম্যান।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ মাহমুদ ইনকিলাবকে বলেন, সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবগঠিত নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকারসহ নেতাদের মামলার বিষয়াদি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। নেতাদের প্রতি চেয়ারপারসনের নির্দেশনা হলো- নিজ নিজ এলাকায় সাংগঠনিক ভিত শক্তিশালী করা। যাতে আগামী নির্বাচন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন-কর্মসূচি সফল হয়।
আরেক ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল মজিদ ইনকিলাবকে বলেন, বৈঠকে মূলত সিইসি ও সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন সিইসি নিয়ে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের ভাইস-চেয়ারম্যানদের মতামত জানতে চেয়েছেন।
নেতারা বলেছেন, সিইসি নিয়ে বিএনপির তরফ থেকে যে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে তার সাথে একমত। সিইসি যে নিরপেক্ষ নন সেটি প্রমাণিত। তার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বৈঠকে কেউ কেউ বলেছেন, দল পুনর্গঠনে গতি ধীর হচ্ছে। আলোচনায় বেরিয়ে এসেছে যে আন্দোলন-কর্মসূচির মধ্য দিয়েই সাংগঠনিক পুনর্গঠন চলছে। বিষয়টি নিয়ে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বলেছেন, আপনারা নিজ নিজ এলাকায় যান, সংগঠন গুছাতে সহযোগিতা করুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।