পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। আজ বুধবার থেকে শিক্ষগণ শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন। তবে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেননি শিক্ষকরা। কর্মসূচি স্থগিত করলেও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরছেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব প্রফেসর এ এস এম মাকসুদ কামাল।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব প্রফেসর এ এস এম মাকসুদ কামাল। সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক ঘণ্টা বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনা শেষে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, কর্মবিরতি কর্মসূচি আমরা স্থগিত করেছি। কাল থেকে আমরা ক্লাসে যাব। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষার পর আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণে বিলম্ব কিংবা খন্ডিত আকারে পূরণ করা হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মাকসুদ কামাল বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে আমাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অথবা কূটকৌশল প্রয়োগ করে বা দাবিগুলো খন্ডিতভাবে মানা হলে আমরা ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
ফেডারেশনের মহাসচিব আরো বলেন, কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো তাঁর কাছে পেশ করেছি। তিনি আমাদের দাবিগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে গিয়েছি। চা-চক্রের সময় তিনি আমাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বঠক করেছেন। সেখানে আমাদের সঙ্গে অনেক সচিবও উপস্থিত ছিলেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছি। দাবিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে অনুরোধ করেছেন। তিনি আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।
এর আগে শিক্ষকদের দাবি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ১০ দিন পর প্রকাশিত গেজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। এরপর ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করে ৩৭ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিগুলোর জোট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
গত সোমবার বিকালে শিক্ষক নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনরত ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।