পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ‘সরবরাহ করা’ ‘দুর্নীতির খবর’ যাচাই ছাড়া বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার প্রেক্ষাপটে ‘১/১১’-এর কুশীলবদের (কারিগর) বিচারের দাবি আবারো তুলেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার বিকালে এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই দাবি তোলেন।
তিনি বলেন, ইদানীং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ বলছেন, ১/১১ জরুরি সরকারের সময়ে যারা রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে মিথ্যা লেখালেখি করেছেন, তাদের বিচার হওয়া উচিত। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, যারা দুই নেত্রীসহ অসংখ্য নেতাকে কারাগারে অন্যায়ভাবে নিক্ষিপ্ত করেছে, দুই নেত্রীকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করেছিল, আমরা তাদের বিচার চাই প্রথম। তারপরে যারা ওই বেআইনি সরকারকে সমর্থন করে লেখালেখি করেছে, তাদের বিচারও আমরা চাই। কিন্তু তার আগে জরুরি আইনের সময়ে কুশীলবদের বিচার আমরা চাই।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
১/১১ সময়ে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা চারদলীয় জোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ বলেন, ১/১১ জরুরি আইনের সময়ে যারা বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে দেশ পরিচালনা করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, যারা এদেশে নেতৃবৃন্দের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছিল, বিরাজনীতিকরণ করার জন্য যারা দায়ী ছিল, আজকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে। এটা আমরা সব সময় বলে আসছি, আজকেও এই দাবি আমরা এখান থেকে করতে চাই।
সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডিজিএফআইয়ের ‘সরবরাহ করা’ শেখ হাসিনার ‘দুর্নীতির খবর’ যাচাই ছাড়া প্রকাশ করার ‘ভুল’ মাহফুজ আনাম স্বীকারের পর তা নিয়ে আলোচনা চলছে; অনেকগুলো মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে সোমবার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী ওই প্রসঙ্গ তুলে ভুলের দায় নিয়ে সম্পাদক মাহফুজ আনামের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
সেইসঙ্গে জরুরি অবস্থার সময় দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে পরিকল্পিত ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ ‘বাস্তবায়ন চেষ্টার সহায়ক ভূমিকায়’ থাকা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদে ১/১১ কুশীলবদের বিচার চেয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা কথা বলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরে দেখা গেল, হঠাৎ তাদের (আওয়ামী লীগের এমপিরা) বক্তব্য বন্ধ হয়ে গেল। পত্রিকায় ওই সময় খবর প্রকাশিত হয়েছিলো যে সরকারের প্রধানের নির্দেশে ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের কুশীলবদের বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ করে দেয়া হয়।
দেশে ‘গণতন্ত্রহীন’ অবস্থা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনার ছিলো গণতন্ত্র যার মধ্য দিয়ে এদেশে মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের মতামত অনুযায়ী সব কিছু চলবে। অর্থাৎ গণতন্ত্রকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। কিন্তু আমরা যে দেশে বসবাস করছি, সেখানে আজ গণতন্ত্র ভুলন্ঠিত। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনে এই সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। পরবর্তিকালে উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচনে এই চিত্র দেথা গেছে কীভাবে প্রহসনের নির্বাচন করে তারা একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করার পথে এগুচ্ছে।
দেশের বাক স্বাধীনতাকেও সরকার রুদ্ধ করে রেখে গেছে অভিযোগ করে ড. মোশাররফ বলেন, আজ মিডিয়ার স্বাধীনতা ভূলণ্ঠিত। মানুষের বাক স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নেই। আমরা যে ভাষার জন্য আন্দোলন করেছি, সেই ভাষাকে বিকৃত করা হচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র নেতা।
বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের দল। গণতন্ত্রকে পূনরুদ্ধার করা, সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজকে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল জাতীয়তাবাদী শক্তি, গণতান্ত্রিক শক্তিসহ দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয্ েএনে জনগনের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সংগঠনের সভানেত্রী শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।